বদরের যুদ্ধ
দ্বিতীয় হিজরি রমজান মাসের ১৭ তারিক বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
বদর একটি যায়গার নাম যেটা মক্কাথেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে আবস্তিত সেই যায়গায় ইসলামের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়
এই যুদ্ধে মহা নাবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজে উপস্তিত ছিলেন তাই এই যুদ্ধ কে গাজওয়াতুল কুবরা বলা হয়।এই যুদ্ধটি শুরু হয় এক প্রতিশোধ এর কারনে যখন মুসলিমরা মক্কা থেকে মদিনার দিকে হিজরত করছিল তখন মুসলিম দের কাফেলার উপর এক কাফের দল হামলা করে মুসলিমদের সমস্ত মাল লুট করে ছিল, সেই সময় মক্কার এক কাফিরদেরএক ব্যবসায়ী কাফেলা সিরিয়ার থেকে ব্যবসাকরে ফিরছিল সেই কাফেলার সর্দার ছিলেন আবু সুফিয়ান,যদিও তিনি পরে ইমান এনে মুসলমান হয়েছিলেন । আর মদিনা শহর মক্কা ও সিরিয়ার মধ্যে আবস্তিত ছিল, যদি কোনো কাফেলা বা কেউ মক্কা যেতে চাইত তাহলে তাকে মদিনা পার করতে হত। সাহাবারা এক কাফেলার খবর পেয়ে সেই কাফেলার দিকে হামলার উদ্দেশে ধাবিত হলেন। কিন্তু আবু জেহেল এই খবর জানতে পেরে তার নেতৃতে মক্কার কাফিররা জুদ্ধের জন্য এক বিরাট সৈন দল গঠিত করে যুদ্ধের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল। এবং আবু সুফিয়ান মক্কার দিকে ধাবিত হল। আল্লার নবী তিনার নেতৃতে যত সাহাবা ছিল সকল কে নিয়ে বদরের প্রান্তে অবস্তান করলেন মুসলিম সৈন সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন ৭০টি উট ও ২টি ঘোড়া ছিল তাদের সৈনিক সংখ্যা কম হলেও ইমান ছিল খুব বেশি। ৩১৩ জনের মধ্যে মুহাজির ছিল ৮২ জন, এবং আনসার দের মধ্যে আওস গোত্রের ছিল ৬১ জন ও খাজরাজ গোত্রের ছিল ১৭০ মোট হল ৩১৩ জন সাহাবি । ফলে মুসলমানদের কাউকে পায়ে হেটে বা একটা উটে দুইজন ছাড়া কোন রাস্তা ছিল না। এবং কাফিররা ১০০০ জন সৈনিক নিয়ে আবু জেহেল এই বাহিনির সর্দার হয়। যেখানে মুসলিমদের মাত্র ৭০টি উট সেখানে কাফিরদের অসংখ্য উট এবং ১০০ টি ঘোড়া ও ৬০০ লৌহবর্ম ছিল। প্রতিনিয়ত বাহিনির খাবারের জন্য ৯ টি বা কখন ১০ টি উট জবাই করাহত। তাদের মধ্যে নয় জন কাফির সৈনিক রসদ সরবরাহের দায়িত্বে নিয়েজিত ছিল। বদরের প্রান্ত কাফিরে ভরে গেল মুসলিমরা হতভম্ব হয়ে পড়ল, এবং আল্লাহর পতি ভরসা রেখে যুদ্ধে নেমে পড়ল। সেই সময় একটা ঘটনা ঘটে গেল যে হুজুর (সাঃ) যখন যুদ্ধের জন্য মুসলিম দের লাইন ঠিক করতেছিলেন সেই সময় হুজুরের হাতে একটা তীর ছিল লাইন থেকে একটু এগিয়ে ছিলেন সাওয়াদ ইবনু গাযয়্যাহ হুজুর (সাঃ) তাকে ছুয়ে বললেন হে সাওয়াদ সরে যাও তখন সাওয়াদ (রাঃ) বললেন হে রসুল আপনি আমাকে আঘাত করেছেন আমাকে বদলা দিন তখন হুজুর (সাঃ) নিজের পিঠ মোবারাক খুলে দিয়ে বললেন প্রতিশোধ নিয়ে নাও সাওয়াদ ইবনু গাযয়্যাহ হুজুরের শরীর জড়িয়ে ধরে চুম্মন করতে লাগলেন হুজুর (সাঃ) এরূপ করারা কারন জিজ্ঞেস করলেন তখন সাওয়াদ ইবনু গাযয়্যাহ (রাঃ) ইয়া রাসুল আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন আমি চাই যে আমার সঙ্গে আপনার এ স্থানে শেষ আদানপ্রদান যেন এটা হয়ে থাকে অর্থাৎআমার দেহের চামড়া আপনার দেহের চামড়ার সঙ্গে স্পর্শ করে। তার উত্তর শুনে আল্লাহর নবী খুব খুশি হন এবং তার জন্য দুয়া করেন। যুদ্ধ শুরু হয় আল্লাহর নবী বদরের প্রান্তে দুয়া করেন হে আল্লাহা তুমি যে ওয়াদা দিয়েছ সেটা পরুন কর। এবং হুজুর (সাঃ) কন্দতে কন্দতে বলেন হে আল্লাহ আজ যদি মুসলিমরা এই যুদ্ধে হেরে যায় তাহলে এই দুনিয়ায় তমার ইবাদাত করার লোক থাকবেনা, হে আল্লাহ তমার প্রিয় বান্দা দের সাহায্য কর। আল্লহ তায়ালা এই যুদ্ধে নিজের ফেরেস্তা মন্ডলী দের পাঠিয়ে এই যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় দান করেন। এই যুদ্ধে মহা পাপি আবু জেহেল মারা যায়। এবং কাফির দের ৭০ জন সৈনিক মারা যায় ও ৭০ জন কারা বন্দি হয়, বাকি আত্ম রক্ষাকরতে যুদ্ধ ছেড়ে পালায়ন করে। এদের মধ্যে জারা ধনি বাক্তি ছিলেন তারা ফিদিয়া দিয়ে মুক্ত হল, আর যারা জ্ঞানী বাক্তি ছিল তাদের ফিদিয়া ছিল যে ১০ জন মুসলিমকে লিখা পড়া শিখাতে হবে। মুসলমান দের মধ্যে মোট ১৪ সাহাবি শহিদ হন তাদের মধ্যে ৮ জন আনসার ছিলেন এবং ৬ জন সাহাবা মহাজির ছিলেন।সাহাবারা মালে গানিমাত পেলেন এবং নিজেদের যা ক্ষতি হয়ে ছিল সেটা পুরুন করলেন। এর পরে মুসলমানের সংখ্যা বাড়তে থাকে লোকেদের মধ্যে কথাবার্তা চলতে থাকে না ইসলাম সত্যর উপর আছে না কাফিররা সত্যর উপর কারন আবু জেহেল দুয়া করেছিল হে আল্লাহ তুমি যে দলের প্রতি রাজি সেই দল কে সাহায্য কর। হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজে হাদিস শরিফে বলেছেন যে সকল সাহাবি বদর যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন তাদের কে জাহান্নামের আগুন স্পর্স করতে পারবেনা অর্থাৎ তারা জান্নাতি।