বাংলাদেশের নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সমস্যা

দাঙ্গা এবং আশান্তিতে ভেঙ্গে পরলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও প্রধামন্ত্রি শেখ হাসিনার অধীনে আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় এই দাঙ্গা এবং মহাৎ হারতাল। ৬ জানুয়ারী সাকাল থেকে ৮ জানুয়ারী ৬টা পর্যন্ত চলে এই হারতাল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লজ্জাজনক ঘটনা।

 

বাংলাদেশের এক কট্টরপন্থী দল জামায়াতে ইসলামী হারতালের সমর্থন করে এবং ভোটের দিন অশান্তির আশঙ্কা ছড়ায়। বিএনপির অনুপস্থিতিতে লড়ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীনে আওয়ামী লীগ,যা স্পস্ট দেখাচ্ছে যে  চতুর্থবারের মতো দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আবার শিঙ্গাশনে বসছে শেখ হাসিনা। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় যেখাণে ১২কোটী জনসঃখা ২৯৯ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করার জনা উপস্থিত হন। ২৭টি রাজনৈতিক দল থেকে ১৫০০ টিরও বেশি পার্থী জাতীয় নির্বাচনে প্রতদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪,২০০০ টিরও বেশি ভোটকেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটাররা নির্ধারণ করবেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে এবং সোমবার ফলাফল প্রকাশ হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে ঢাকা সিটি কলেজ ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোট দেন এবং জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ভোটের সময় 170 মিলিয়ন বাংলাদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চিত্তের জন্য ৭৫,০০০০ এরও বেশি পুলিশ নির্ধারণ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এবং বিমান বাহিনী। কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট সমেত ৩০টিরও বেশি দেশ থেকে  ১৫০ টিরও বেশি বিদেশী পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকায় আসে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তিনজন সিনিয়র সদস্যও মিশনে যোগ দেন। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, আশ্বস্ত দিয়েছিলেন যে ভোট নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

 

 কিন্তু ভোটের আগে দেশ দাঙ্গায় পরিবর্তন হয়। শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগীতে আগুন লাগানো হয়। এই ঘটনায় মোট পাঁচ যাত্রী এবং দুই শিশু সহ নিহত এবং অনেক আহত হয়। ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় গোপীবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন সাকালে চট্টগ্রাম এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্র এবং সঙ্গে একটি গাড়ী জালান হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করে।


বিএনপি এবং অনেকই চেয়েছিল জ্যান ভোট নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা অস্বীকার করে। এই কারনে  বিএনপি দাল্গস্থি ভাবে অনেক রাজনৈতিক সমাবেশ আয়জন কারে। ২৮ অক্টোবর, এই গণ সামাবেশ হিংসাত্মক হয়ে উঠে। এই দিন চারজন নিহত হয় এবং ৩০০ গাড়ীতে আগুন লাগান হয়। সরকার এই জন্য বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ কর্মীদের জেলে দেয়।

বিএনপির ৭৮ বয়সী সভানেত্রী খালেদা জিয়া, অনেক অসুস্থতা সম্মুখহিন এবং দুর্নীতির অভিযোগে গৃহবন্দী আছে। তিনার আনুপস্তিতে  দলের ভারপ্রাপ্ত সাভাপতি তারেক রহমান ২০০৮ থেকে  এক আরোপিত নির্বাসনে জীবনযাপন করছেন। প্রাক্তন বাংলা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছেলে ও জিয়া ১৮ মাসের কারাদণ্ডের সম্মুখীন এবং লন্ডনেই থেকে যাই। তাই দলটি প্রথম থেকেই নেতৃত্বহীন হয়ে চলে আসছে যার কারনে আজ এই সম্যাসার  সম্মুক্ষিন হতে হচ্ছে  আজকের বিএনপ কে।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল কালাম প্রকাশ করেছেন যে, এটি সত্যিই একটি বিরোধী-হীন নির্বাচন। এমনকি জাতিয় দলও আওয়ামী লীগের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিএনপি ও তার শরিকদের সঙ্গে জাতীয় পার্টিও নির্বাচন বয়কটের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল শীঘ্রই ২৬টি আসনের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে, এবং বিরোধী দলকে মাঠে নামাই। আওয়ামী লীগ 263টি আসনে প্রার্থী নির্ধারন করেছে,যার মধ্যে মহাজোটের অধীনে তার রাজনৈতিক মিত্রদের ছয়টি আসন প্রদান করেন। তার সাঙ্গে আ.লীগ নেতাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য আরও উত্সাহিত করেছে, যেন ভোট একপক্ষী হয়ে যাই।

 

শেখ হাসিনা ২০০৮, ২০০৯, এবং ২০১৯ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে রয়েছে। তিনি হল বিশ্বের প্রথম মহিলা যে দীর্ঘকালীন সরকার প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা এই দলকে এক সুপ্রিম দল বানিয়ে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশকে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে বানানোর সপ্ন দেখায়। তিনি আরও আশ্বাস দেয় যে তার দল সর্বদা গণতন্ত্রের চেতনা রক্ষা করবে, যুবকদের মানসম্মত শিক্ষা দেবে, কৃষিকে আধুনিক করবে এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সকলের জন্য সাশ্রয়ী করবে ইত্যাদি।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter