বাংলাদেশের মূল রাজনৈতিক পার্টি এবং শেখ হাসিনার নীতি
নতুন বছরের নতুন সাজ সজ্জা, ২০২৩ শেষ হতে না হতে বাজারে ২০২৪ নতুন বছরের ধুম লেগেছে, আর লাগবে না কেন, লাগারই কথা, নতুন বছর বলে বেপার, নব সাজ সজ্জা, খাওয়া দাও, খেলা ধুলো, নাচ গান, হৈচৈ উৎসব ইত্যাদি কতই আনন্দিত মনোরম পরিবেশ, এই মনোরঞ্জনের মধ্যে যোবন অতিবাহিত হতে হতে একেবারে শেষ সীমানায় এসে পৌঁছায়, কারো হয়তো লণ্ঠনের তেল একেবারে ফুরিয়ে যাই, কারো প্রদীপ জ্বলতে জ্বলতে নিমেষ হয়, যৌবন যখন শেষ পেরান্তে এসে ডগমগ করে তখন জীবন কর্মের সমুক্ষে প্রচুর ধন সম্পত্তি ও তুচ্ছ মনে হয়।
কিন্তু জীবন পথে অনেক ধরণের মানুষের সাথে পরিচয় হয়, এই নিষ্ঠূর পৃথিবীতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ প্রিয়জন হয়ে ওঠে না, রাস্তার ধরে শীত, গ্রীষ্মে, বসন্তে কষ্টের সঙ্গে অতিবাহিত করা মানুষ গুলোর কথা কারো মনে পরে না, গরিব কৃষক হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে ও অন্ধকার রজনীতে সুখের ঘুম ঘুমাতে পারে না, রাস্তা ঘাটের অবস্থা তিক্ত ও মহা-জলাশের আকার ধারণ করে, ট্রাফিক জামের কারণে কত অসহায় মানুষ জীবন হারায়, শিক্ষর্থীরা পরীক্ষা লিখতে পারে না, আরো কত ঝামেলা, লিখলে লেখা হবে শুধু কলমের কালী শেষ হবে না, কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সব সম্পাদ্যর জন্য কে দায়ী? তারা কোথায় যারা মানব অধিকারী, মানুষ কল্যাণের ঠেকা নিয়া ঘুরছিলো ? এখন তাদের দেখা নাই, তারা সবাই অতি সুখে নিজ্ব অট্টলিকায়।
এই নতুন বছরের শুরুতে তাদের দেখা যাবে মানুষের দ্বারে দ্বারে, মানব কল্যাণে, কোনো নেতা চক চকে গাড়ি থেকে নেমে গরীব দুঃখী মানুষের সঙ্গে সময় কাটাবে, কেউ বস্ত্র প্রদান করবে, আবার কেউ খেত খামারে কৃষকের বেশে ফটো উঠবে, কোটি টাকা খরচ করে সেই সব চিত্র খবর মাধ্যমে দেশ ভ্যক্ত, কাপড়, মাকান, গরীবের বন্ধু সুনামের ঝড় তুলবে। কিন্তু এইসব তারা কেন করবে আর কেন করছে? বুঝতে হবে নির্ঘাত নির্বাচনের সময় খুব নিকট বর্তী, উর্দু কবি রাহাত ইন্ধুরী একটি কবিতা প্রবাদে উল্লেখ করেন : সার হদ্ মাইন্ ইতনা আত্মগ হয় কিয়া ? কুছ পাতা তো করো চুনাও হয় কিয়া ? এই নতুন বছরে অনেক কয়টি দেশে লোকশোভা নির্বাচন হবে তার মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের নির্বাচন খুবেই গুরুপ্ত পূর্ণ, এই বছরে ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশের নির্বাচন বিশ্বকে কেন্দ্র করছে, বর্তমান পার্টি আওয়ামী লীগ বিদেশী নীতি মালা সঠিক ভাবে গুছিয়ে নিতে ব্যাস্ত, কার হবে জিৎ সেই চিন্তায় এখন রাজনীতিবিদের ঘুম নাই, কার হতে হবে পরবর্তী সময়ের গদি? কে হবে সময়ের শাসক ?
আওয়ামী লীগ ও বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর প্রতিষ্ঠা
- আওয়ামী লীগের ইতিহাস
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১ ভারত থেকে বিচ্ছেদ হলো ভারতের কিছু অংশ পরে যেগুলি ধর্মান্তরিক দেশে গঠিত হয় তৎকালীন সেই সম্পূর্ণ অংশ গুলিকে উত্তর ও পূর্ব পাকিস্তান বলে জানা হতো, ওদিকে কাশ্মীর থেকে বিভক্ত হইয়া লাহোর হেয় উঠলো নতুন দেশ পাকিস্তানের নব রাজধানী, আর এই দিকে বাংলাদেশ কে দুই ভাগে বিভক্ত করে বানানো হলো নতুন দেশ তার মধ্যে একটি ভারতের রাজ্য; পশ্চিম বঙ্গ হিসাবে গঠিত। আর একটি বাংলাদেশ ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে উত্তর পাকিস্তান হতে স্বাধীনতা গ্রহণ করিল র তখন থেকে এই দেশ বাংলাদেশের নাম পরিচিত।হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের নেতৃত্বে ২৩ জুন,১৯৪৯ ঢাকায় তৎকালীন মুসলিম লীগের এক সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, পরে ১৯৫৫ সালে মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এর উদ্যোগে অসম্প্রতীক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষে সগঠনের নাম থেকে "মুসলিম শব্দ" টি বাদ দেয়া হয় আর নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।
মৌলানা ভাসানী ২৪ জুন বিকালে আরমানিটোলা ময়দানে উক্ত সমাবেশে চার হাজার জনগণের উপস্থিতে নব গঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ সামলান, তার পর ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, চোদ্দ বছর পর্যন্ত তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাঙ্ক, ডাক ঘর, টেলিগ্রাম, পুস্তক, গ্রহন্তগার, মুদ্রা, ইত্যাদি স্থান থেকে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব মুছে ফেলতে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগ আদেশ দেন, এই আদেশ অমান্য করে ১৯৪৮ সালে বর্তমান বাংলাদেশ জুড়ে এক বিশাল আন্দোলন হয়, আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্বদলের ছাত্র নেতা শামসুল হুক, নাওয়াজ খান, শওকত আলী, কাজী গোলাম মহুব,অলি আহাদ, রা বাংলা ভাষার উপরে অত্যাচার ও অবিচার মেনে নেননি। তাই ১৯৫৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগ কে হারিয়ে ২৭৩ টি মুসলিম আসনের মধ্যে ২৬৩ আসনে বিজয় হন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগকে পরাজয় করে অন্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন, ১৯৫৩ সালে ৪ ডিসেম্বর দলটি কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও নেজামে ইসলামের সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট-সরকার গঠন হয়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে,কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর দীর্ঘ সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০টি আসন লাভ করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রধান নেত্রীর পদ গ্রহণ করছেন তিনি।
- বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল (BNP)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান এবং প্রথম চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে রাজ্যনীতিক দল গঠন করেন।একেএম বদরুজ্জামান চৌধুরী এই গঠনের প্রধান সচিবের দায়ত্ব পালন করেন, এই দলের মূল বৈশিষ্ট হলো ৫৪%র ও বেশী তরুণ ছাত্র ছাত্রী, তাছাড়া অনেক যোগ্য রাজনীতিবিদ এই দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।২৮ আগস্টে ১৯৭৮ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল এর প্রধান বিধায়ক আব্দুস সাত্তার, একেই মাসে জিয়াউর রাহমানের পার্টিতে যোগ দিন করেন . স্বাধীন বাংলাদেশে সবথেকে বেশি সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ১৯৯০ এর গণতন্ত্রায়নের পর দেশের মোট চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মোট ২ টি তে জয়লাভ করে, ১৯৯১ এর সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি ১৪২ টি আসন লাভ করে, পরে জামায়তে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, এবং বিএনপি সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনের ২৮টি নিজেরা রেখে বাকি ২টি জামায়াতকে দিয়ে দেয়,২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-সহ চারদল প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে।
3.খালেদা জিয়া এবং বি এনা পি বর্তমানর অবস্থান
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে, মোট ২১০টি আসন নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় আসেন খালেদাজিয়ার দল, এই সময়ে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট এ বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের নির্মম হত্যাযজ্ঞে ১০ জনের অধিক গ্রামবাসী হত্যা, ঢাকার শণির আখড়ার বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে সাধারণ জনতার আন্দোলন- এর মত কয়েকটি আন্দোলন হয়, এছাড়াও সরকারি ত্রাণ তাহবিল থেকে ত্রাণ সামগ্রী সরকারী দলের সাংসদদের লুটপাটের ঘটনা ও ঘটে, এ সরকারের বৈধ মেয়াদ ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর শেষ হওয়ার পর ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দেশে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘাত, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন, আর এ সময় থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই বছর দেশ পরিচালনা করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এ সরকারের তত্ত্বাবধানে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০ আসন নিয়ে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে মাত্র ২৯টি আসন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ২৭টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি।
বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় দল (বি এন পি)র চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের পত্নী খালেদা জিয়া, তাকে বাংলদেশের জনগণ বেগম জিয়া বলে সমধান করেন,বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী,প্রতিবার নির্বাচনে তিনি পাঁচটি আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন,২০০৭ সাল থেকে সাবেক সংসদীয় হুইপ ও জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, কিন্তু ২০১১ সালের মার্চে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের মহাসচিবের ভার দেয়া হয়,দীর্ঘদিন সফলতার সাথে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করায় বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত মির্জা ফখরুল ইসলামকে বুধবার, ৩০শে মার্চ, ২০১৬ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বিএনপি’র ৭ম মহাসচিব এর দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়,বর্তমানে তিনিই বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘ দিন থেকে ভোটার এই পরিস্থিতি
২০২৪ বাংলাদেশ প্রধান মুন্ত্রী ভোটার পূর্বে বিরোধী পার্টি একজোট হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন বয়কট, হরতাল, এবং শেখ হাসিনাকে উত্তর কোরিয়ান সভাপতি কিম জংএর সাথে তুলনা করা সত্ত্বেও ৩০০ আসনের মধ্যে তিনি ২২২ টি আসনে বিজয় লাভ করেন। বিপক্ষের তুমুল বিরোধিতার পরেও আওয়ামী লীগ কিভাবে জয় লাভ করলো? দুর্ঘ 15 বছর ধরে এতো অত্যাচার ও অবিচারের পরেও মানুষ তাদের কেন ভোট দিচ্ছেন? অতীতে অগণিত উলামা, শিক্ষক, মাদ্রাসা ছাত্র দের উপরে নির্মম ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে এই আওয়ামী লীগ,তাছাড়া পড়াশুনো, উন্নতি, স্বাস্থ সমস্ত জায়গায় ভষ্টাচার করে চলেছে এই সরকার, এতো কিছু হবার পরেও জনগণ কেন তাদের ভোট দিয়া জয় করলেন? এমন ধরণের প্রশ্ন ঝড়ের বেগে উঠে চলছে সমাজ মাধ্যমে, মানুষের মুখে মুখে।
আন্তর্জাতিক এক সমাজ মাধ্যম আলজাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ি ১২০ মিল্লিয়ান যোগ্যতাসম্পন্ন ভোটারকে নির্বাচকের তালিকা থেকে বহিষ্কার করে হয়েছে, মানে শুধু মাত্র ৪০% মতদাতা তাদের মত দান করেছেন। শুধু এই না বিগত 2014 থেকে এই পর্যন্ত বি এন পি পার্টি বার বার বাংলাদেশ নির্বাচন বসিস্কার করেছেন, তাই বাংলাদেশ গোপন তদন্ত মিডিয়া আওয়ামী লীগের উপরে একটি তদন্ত করেন তাতে সামনে আসে আওয়ামী লীগের আসল স্বত্ব তথ্য।
২০১৮ বাংলাদেশ নির্বাচনে মানব অধিকার সংগঠন মানবতার উলংঘনের প্রশ্ন তোলেন, থাকায় থাকায় প্রতিবাদ,পুলিশের লাঠি চার্জ, আর সম্পূর্ণ এক চটি নির্বাচনের অনেক ভিডিও ও খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সামনে আসে। অক্টোবর ২০১৮,৮ তারিকে হাজারের থেকে ও অধিক জনগণ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং তাকে সত্তা থেকে ইস্তিফা দেয়ার দাবি তোলেন। ১০ হাজারের ও বেশি বৈজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও চিন্তাবিদদের কারাগারে দেয়া হয়, হাসিনার সেনা বাহিনী শুধু মাত্র প্রতিবেদন দের আঘাত করেন না বরং মহিলা, ছাত্র, দেশ কর্মী ছাড়াও অনেক গরিব দুঃখী অনীহা মানুষের প্রতি ভয় দেখিয়া জবর ধস্তি ভোট নেয়। মানব অধিকারীর এক রিপোর্ট অনুযায়ী তারা শেখ হাসিনা কে কিম জং ও হিটলার এর মতো শাসকদের সঙ্গে তুলনা করেন। ভোটার দিনে আওয়ামী লীগ কর্মী বুলেট বাক্স নিয়ে পালানোর খবর ও সামনে এসেছে, নির্বাচনের রেজাল্ট আসার পূর্বে অনেক জায়গায় শেখ হাসিনার প্রাথী সরাসরি জয় হবার খবর ও সামনে আসে।
শেখ হাসিনা আবার একবার “বঙ্গ কন্যা”
বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রণেতা শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতার আক্রমণ বরখাস্ত করেন আর সম্পূর্ণ সুস্থ পরিবেশনায় নির্বাচন হবার দাবি জানান, তিনি বলেন মোট ২৭ টির থেকে ও অধিক স্বাধীন পার্টি নির্বাচনে লড়েন, এবং সমস্ত বিধান শোভা কেন্দ্রে সম্পূর্ণন ভাবে শান্তি বজায় রেখে ভোট হয়। এই ভাবে ব্যঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সব থেকে বেশি কাল পর্যন্ত শাসন কারিনী হয়ে ওঠেন। ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ এই দুই বার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসেন, সেই আমলের অত্যাচারের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান মুন্ত্রী হাসিনা বলেন : তাদের আমলের তুলনায় আমরা কোনো রকমের জুলুম ও বর্বরতা করিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (BNP) র আবেদন
বাংলাদেশ জাতীয় দল বাংলাদেশ রক্ষণশীল পার্টি জামাতে ইসলামী ১৯৭১ বাংলাদেশ গঠনের সময় এই জামাতে ইসলামী কোনো মোতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ কে বিভক্ত করতে চান নি, এমন কি তারা বাংলা মাতৃ ভাষা বদলে উর্দু বলি মানুষ মুখে করার প্রবল চেষ্টা করেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে জামাতে ইসলামী যুক্ত হবার কারণে অনেক রকমের হৈচৈ এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ কোর্ট এই পার্টি রাজনীতিতে প্রগতিশীল হবার যোগ্য নাই বলে আদেশ দেন। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বর্তমান নেতা তারিক রহমানের উপরে বিভিন্ন ধরণের বৈধ কেস আছে। কিন্তু এতো কিছু হবার পরেও বিরোধী দলীয় নেতা একটাই আবেদন জানান যে সুস্থ ও শান্ত মত, সুশৃক্ষলা এবং গণতন্ত্রের মান মর্যদা বজায় রেখে একবার অন্তত ভোট হোক। এই ফাসাদ, দাঙ্গা, হানাহানির মধ্যে দিয়েও জনগণ খালেদাজিয়া র সমর্থন করে যাচ্ছেন, কেননা তারা জানেন সরকার যেমন ভদ্রতা মিডিয়ার সমুখে দেখছেন তেমন উন্নতি দেশে নেয় বরং শুধু অবনতি আর অবনতি এবং বাংলাদেশের ইসলামী সংস্কৃতি শিকড় থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে, তাই সরকার এই গুলো বন্দ করুক।
বর্তমান সরকার ও বিদেশ কূটনীরত প্রভাব
মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র শেখ হাসিনার এই বার আবার প্রধান মুন্ত্রী হবার পর পর একটি নোটিশ দেন যে এই বার ও তার সরকার মানবতার উলংঘন করে নির্বাচন চালায়। তা ছাড়া প্রসবর্তী দেশ ভারতের প্রধান মুন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর গৃহ মুন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে শেখ হাসিনার নির্বাচন নিয়া বিদেশে সাক্ষাৎ থাকে। ভারতের সরকার অনেক প্রকারের অত্যাচার করে চলেছে অনেক দিন ধরে আর সেই সরকার থেকে হাসিনা শিক্ষা নিচ্ছেন। এখন চিনার সঙ্গে হাসিনার ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎ ও বন্ধুত্ব,যদিও চীন সম্পূর্ণ রূপে মার্ক্সের মতধারা, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক দান পাওয়ার কারণনে অনেক উন্নতি করতে পারছে, তার মধ্যে রোহিংগাদের সাহায্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের নজর কেড়েছে, সেই জন্য তুর্কি, আরব দেশ এবং অনেক ইউরোপ মহাদেশ ও বাংলাদেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো , বর্তমান সরকারের অবৈধ কারিকার্যর জন্য তারাও এখন আস্তে আস্তে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে।
শেখ হাসিনার বিদেশ রাজ্যের সঙ্গে যে প্রকারের কুটনিনি প্রযুক্তি চলছে যদি এমন চলতে থাকে তো তাকে হারানো অসম্ভব কেননা যে দেশে গরিব দুখীর সংখ্যা অধিক তার সঙ্গে লাখ অসহায় গরিব দুঃখীর এস্থান অবতরণ হইয়েছে,তাদের সাহায্য এবং অনেক প্রশিক্ষণ ও কর্ম কার্যলেয় মহিলাদের সংখ্যা ও বেড়েছে তার কারণে আন্তর্জাতিক সাহায্য তাদের উপরে হতে থাকবে আর এভাবেই তারা জয় লাভ করতে থাকবে।
সমাপ্ত
বাংলাদেশ যেমন ভাবে এখন এক পার্টি দেশ হিসাবে চলছে, ভবিষতে ওখানে অন্য কোন রাজনৈতিক দল আবির্ভাব হতে পারবে না, চীনা, উত্তর কোরিয়া, এবং এখন ভারতের ও একেই প্রচেষ্টা এক দেশ, এক সরকার, এক সংবিধান, তাই সেই দেশে কেমন মানুষ থাকুক না কেন? মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইত্যাদি। এমন এক সমেলাচনামূলক সময়ে বাংলাদেশের জনগণকে সচেতন, ও জাগরূপের অত্যান্ত জুরুরি। সঠিক জ্ঞান উপার্জন করা আবাশক, বিরোধী সমস্ত দল মিলে মিশে একত্রে হেয় এক পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। এমন চিন্তা ও চেতনা এবং মানুষের সাড়িবদ্ধতা যদি সমাজের উপকারে আসে তাহলে সকলকে জাগরূপের দরকার আছে।
Reference:
[1] পূর্ব পা কি স্তা নী বা ঙা লি আইনজী বী ও রঞ্জনী তি বী দ, তি নি গণতন্ত্রে র মা নসপুত্র বলে আখ্যা য়ি ত হন।
[2] প্রথম আলো । ২২ জুন ২০১৫। ২৯ জা নুয়া রি ২০১৮ তা রি খে মূল থে কে আর্কা ইভ করা । সং গ্রহে র তা রি খ ২৩ জুন ২০১৫।
[3] পুরা ন ঢা কা র একটি স্থা ন। অনে ক পূর্বে এখা নে আর্মে নি য়া র অধি বা সী বা আর্মে নি য়া নরা থা কতে ন, তা ই এলা কা টির না মকরণ হয়ে যা য় আরমা নি টো লা ।
[4] বাং লা দে শ জা মা য়া তে ইসলা মী , যা র পূর্বনা ম ছি লো জা মা য়া তে ইসলা মী বাং লা দে শ,এটি বাং লা দে শে র সর্ববৃহৎ ইসলা মপন্থী রা জনৈ তি ক দল। বাং লা দে শে ইসলা মী
শরি য়া হ আইন বা স্তবা য়ন এই দলে র উদ্দে শ্য .
[5] https://www.aljazeera.com/opinions/2024/1/4/bangladesh-elections-mark-a-pro-china-tipping-point-in-south-asia
[6] বাং লা দে শ জা তী য় দল বাং লা দে শ রক্ষণশী ল পা র্টি জা মা তে ইসলা মী আবুল আলী মৌ দুদী ১৯৭৫ জা মা তে ইসলা মী না মক একটি পা র্টি গঠন করে ন,
পরে এই ধর্মী য় পা র্টি বি ভক্ত হয়ে পা কি স্তা ন, ভা রত এবং বাং লা দে শে উৎপা দন পা য়।
[7] https://www.economist.com/asia/2024/01/08/bangladeshs-prime-minister-sheikh-hasina-wins-a-fifth-term
THE ECONOMIST