পরিচয়ের রাজনীতিতে বিপর্যস্ত অসম: উচ্ছেদ, বর্জন ও নাগরিক অধিকার সংকট

ভূমিকা

অসম, ভারতের উত্তর-পূর্বের একটি ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ কিন্তু রাজনৈতিকভাবে অস্থির রাজ্য, ২০২৫ সালে আবারও গভীর অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত উচ্ছেদ অভিযান, নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) বাস্তবায়ন এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রয়োগের প্রস্তুতির কারণে অসম এখন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এই অস্থিরতার মূল প্রশ্নটি শুধু আইন ও শৃঙ্খলা নয়, বরং আরও গভীর একটি সংঘাত: অসমের আসল নাগরিক কে? আর সেটা কে নির্ধারণ করবে?

এই নিবন্ধে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে অসমের বর্তমান সংকট ঐতিহাসিকভাবে গঠিত এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত পরিচয়ের ধারণার সাথে জড়িত, যেমন গ্যারেথ প্রাইসের প্রভাবশালী গবেষণাপত্র "দ্য অসম মুভমেন্ট অ্যান্ড দ্য কনস্ট্রাকশন অফ অসমিজ আইডেন্টিটি"-এ আলোচিত হয়েছে। অতীত ও বর্তমানের সংযোগ করে এই বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে যে অসমের বর্জনমূলক নীতিগুলি শুধু একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়, বরং ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয়তা, নাগরিকত্ব এবং মানবাধিকারের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন।

বর্তমান সংকট: জমি, পরিচয় এবং ক্ষমতা

২০২৫ সালে অসম সরকার তথাকথিত ‘অবৈধ দখলকৃত’ জমি খালি করার প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন যে ১০ লাখ একরের বেশি সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে, বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলিমদের দ্বারা, যাদের রাজনৈতিক আলোচনায় "মিঞা মুসলিম" বলা হয়। উরিয়ামঘাট, ধুবড়ী, কাছাড় এবং গোয়ালপাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলির বেশিরভাগই পুনর্বাসন পরিকল্পনা ছাড়াই করা হচ্ছে, যার ফলে পরিবারগুলি—নারী ও শিশুসহ—বিনা আশ্রয়ে ও আইনি সহায়তা ছাড়াই উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে।

একই সময়ে, অসমে নথিহীন ব্যক্তিদের বিতাড়নের হার বেড়েছে। মাত্র এক মাসে ৮৮ জনকে—রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ—বিতাড়ন করা হয়েছে। সরকার দাবি করছে যে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন যে যদি এনআরসি থেকে বাদ পড়া কেউ সিএএ-এর অধীনে নাগরিকত্ব পায়, তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন—এমন একটি বক্তব্য যা বিতর্ককে আরও তীব্র করছে।

এই আক্রমণাত্মক কৌশল—উচ্ছেদ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সাংস্কৃতিক একরূপতা—নতুন নয়। এটি অসম আন্দোলনের সময়কার পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: অসম আন্দোলন ও পরিচয়ের রাজনীতি

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে অসম আন্দোলন রাজ্য জুড়ে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি করেছিল, যেখানে "অবৈধ" অভিবাসীদের চিহ্নিত করে বিতাড়নের দাবি উঠেছিল। অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AASU)-এর নেতৃত্বে এই আন্দোলন ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে ২৪ মার্চ ১৯৭১-কে অসমের বৈধ বাসিন্দা নির্ধারণের শেষ তারিখ হিসেবে ধরা হয়।

গ্যারেথ প্রাইস তাঁর ১৯৯৭ সালের গবেষণায় যুক্তি দিয়েছিলেন যে অসম আন্দোলন শুধু অভিবাসন বা জনসংখ্যার চাপের বিষয় ছিল না। বরং, এটি ছিল অসমীয় অভিজাতদের একটি কৌশলগত প্রকল্প, যার মাধ্যমে তারা একটি একক, জাতিগতভাবে সীমাবদ্ধ পরিচয় গঠন করতে চেয়েছিল। প্রাইসের মতে, অভিজাতরা সাংস্কৃতিক স্মৃতি, নির্বাচিত ইতিহাস এবং ভাষাগত গর্ব ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী "অসমীয়াত্ব" তৈরি করেছিল। এই নির্মিত পরিচয়ের লক্ষ্য ছিল "অপর"—প্রধানত বাংলাভাষী হিন্দু ও মুসলিমরা, যাদের অসমের জমি, ভাষা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল।

এই বর্জনমূলক পরিচয় পরবর্তীতে সরকারি প্রতিষ্ঠান, আইন এবং নির্বাচনী কৌশলে গেঁথে যায়। পরের বছরগুলোতে অসম গণ পরিষদ (AGP) এবং উগ্রপন্থী সংগঠন ইউএলএফএ (ULFA)-এর উত্থান জাতিগত পরিচয়কে আরও সশস্ত্র ও রাজনীতিকরণ করে। যদিও এই গোষ্ঠীগুলি সময়ের সাথে দুর্বল হয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক যুক্তিই আজকের রাজ্য নীতিকে প্রভাবিত করছে।

এনআরসি ও সিএএ: অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের হাতিয়ার

২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে অসমের নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) হালনাগাদ করা হয়। ১৯ লাখের বেশি মানুষ বাদ পড়েন—যাদের অনেকেই গরিব, অশিক্ষিত এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়ের। আপিলের আইনি পথ থাকলেও এই প্রক্রিয়াটি ভুল, পক্ষপাত এবং স্বচ্ছতার অভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছে।

২০১৯ সালে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়। যদিও এটি ভারতের অনেক অংশে উদযাপিত হয়েছে, অসমে এটি হিন্দুদের মধ্যেও তীব্র প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে। কেন?

কারণ সিএএ-কে অসম চুক্তির লঙ্ঘন হিসাবে দেখা হয়। এটি ১৯৭১-এর পর আসা বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিতে পারে, যা অসমের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে স্বীকৃত "আদিবাসী" এর সংজ্ঞাকে দুর্বল করে। এই বৈপরীত্য প্রাইসের থিসিসকেই প্রতিফলিত করে: অসমে পরিচয় ভৌগোলিক, ধর্মীয় নয়। এখানে শুধু মুসলিম অভিবাসনের ভয় নয়, বরং সব "বহিরাগত"—ধর্ম নির্বিশেষে—দ্বারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে।

সরকারি বক্তব্য: জনসংখ্যা ও জাতীয়তাবাদ

মুখ্যমন্ত্রী শর্মা দাবি করেছেন যে বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে অসমের প্রায় ৫০% জনসংখ্যা মুসলিম হতে পারে। এই বক্তব্য উচ্ছেদ অভিযান, জমি পুনর্বিন্যাস, আধার-ভিত্তিক নাগরিক যাচাই এবং এমনকি পরিবার-বৃক্ষ ম্যাপিং ব্যবহার করে ভোটার তালিকা "পরিষ্কার" করার প্রস্তাবকে ন্যায্যতা দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই জনসংখ্যাগত উদ্বেগ প্রাইসের চিহ্নিত সেই অভিজাত-নির্ভর বক্তব্যেরই প্রতিফলন, যেখানে অসমীয় পরিচয়কে হুমকির মুখে দেখা হয়। ১৯৮০-এর দশকে হুমকি ছিল অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা; ২০২৫ সালে এটিকে একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ হিসেবে ফ্রেম করা হচ্ছে। যা অপরিবর্তিত রয়েছে তা হল এই বিশ্বাস যে অসমীয় পরিচয়কে রক্ষা করতে হবে—কখনও কখনও সংবিধানিক অধিকার ও মানবিক নীতির বিনিময়েও।

আইন ও বিচারব্যবস্থার ভূমিকা

সুপ্রিম কোর্ট এনআরসি-র তত্ত্বাবধান করলেও অসমের সংকটে বিচারিক হস্তক্ষেপ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের জন্য শক্তিশালী প্রতিকার দেওয়া হয়নি, এবং সিএএ-এর বিরুদ্ধে আবেদনগুলি মুলতবি রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ভারত অধিকার-ভিত্তিক নাগরিকত্ব থেকে সম্প্রদায়-ভিত্তিক মডেলের দিকে এগোচ্ছে, যেখানে পরিচয় ব্যক্তির মর্যাদাকে ছাড়িয়ে যায়।

প্রাইস সতর্ক করেছিলেন যে এই পরিবর্তন জাতিগত কর্তৃত্ববাদের জন্য উর্বর ভূমি তৈরি করে। যখন রাষ্ট্রই সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তির বিচারক হয়ে দাঁড়ায়, তখন সংখ্যালঘুদের জন্য আইনি সুরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ে।

সুশীল সমাজ ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর প্রতিক্রিয়া

অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AASU) এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি সরকারের পদক্ষেপগুলিকে সংবিধান-বিরোধী বলে প্রতিবাদ করছে। আইনজীবী ও কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে উচ্ছেদগুলি যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই করা হচ্ছে।

প্রতিবেশী রাজ্যগুলিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নাগাল্যান্ড সতর্ক করেছে যে অসমের কঠোর পদক্ষেপের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে মানুষ তাদের রাজ্যে আসতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমের বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে "ভাষাগত সন্ত্রাস"-এর অভিযোগ করেছেন। এই আন্তঃরাজ্য উত্তেজনা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয়তার ভবিষ্যৎ নিয়ে মৌলিক প্রশ্ন তুলেছে।

অসমের ভবিষ্যৎ: অন্তর্ভুক্তি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে

অসম আজ ভারতের বৃহত্তর সংঘাতের একটি আয়না: পরিচয় বনাম অন্তর্ভুক্তি, সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ বনাম বহুত্ববাদ, নাগরিকত্ব বনাম রাষ্ট্রহীনতা। যদি অসম একটি নজির হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অন্যান্য রাজ্যও পরিচয়কে বর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

কিন্তু এই পরিণতি অপরিহার্য নয়। আইন, ন্যায়বিচার এবং মানবিকতার ভিত্তিতে বিকল্প পথ রয়েছে।

সমাধান ও সুপারিশ

সমাজে ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের প্রবণতা রোধের লক্ষ্যে, নিম্নলিখিত নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে, যা সংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষা ও নাগরিক অধিকারগুলোর কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

১. সংবিধানিক প্রয়োগ ও তত্ত্বাবধান
ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে যে নাগরিকত্ব ও উচ্ছেদ সংক্রান্ত সব পদক্ষেপে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ (আইনের সামনে সমতা) এবং অনুচ্ছেদ ২১ (জীবন ও মর্যাদার অধিকার) মেনে চলা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এই অধিকারের জন্য দায়বদ্ধ রাখতে হবে।

২. স্বচ্ছ ও মানবিক এনআরসি আপিল প্রক্রিয়া
এনআরসি আপিল প্রক্রিয়াকে সংস্কার করতে হবে:

  • দরিদ্রদের জন্য স্বাধীন আইনি সহায়তা দল,
  • স্পষ্ট নথি সংক্রান্ত নির্দেশিকা,
  • স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ট্রাইব্যুনাল।
    নিশ্চিত করতে হবে যে প্রকৃত নাগরিকরা আমলাতান্ত্রিক বাধার কারণে রাষ্ট্রহীন না হন।

৩. অন্তর্ভুক্তিমূলক অসমীয় পরিচয় গঠন
রাজ্যকে বর্জনের বদলে অন্তর্ভুক্তির দিকে নজর দিতে হবে। একটি অসমীয় পরিচয় যা তার বহুজাতিক, বহুভাষিক ও বহুধর্মী ঐতিহ্যকে স্বীকার করে, তা আরও শান্তিপূর্ণ ও টেকসই হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা, সরকারি বার্তা ও রাজনৈতিক আলোচনায় এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

৪. মানবিক উচ্ছেদ নীতি
সব উচ্ছেদ অভিযানকে:

  • অস্থায়ীভাবে স্থগিত রাখতে হবে যতক্ষণ না পুনর্বাসন পরিকল্পনা তৈরি হয়,
  • শুধুমাত্র বিচারিক তত্ত্বাবধানে চালানো উচিত,
  • আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়ম মেনে করা উচিত।
    যারা দশকের পর দশক অসমে বাস করছে, তাদের অপরাধী হিসেবে দেখা উচিত নয়।

৫. যুক্তরাষ্ট্রীয় মধ্যস্থতা ও আন্তঃরাজ্য সংলাপ
কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অসম ও তার প্রতিবেশী রাজ্যগুলির (যেমন পশ্চিমবঙ্গ, নাগাল্যান্ড) মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করা, যাতে অভিবাসন সংক্রান্ত উদ্বেগগুলি সহযোগিতার ভিত্তিতে সমাধান করা যায়।

৬. সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা ও শান্তি গঠন
স্থানিক এনজিও, যুব গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় নেতাদের শান্তি রক্ষক ও শিক্ষক হিসেবে সক্ষম করতে হবে। সম্প্রদায়গুলির মধ্যে সংলাপের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে নীতি ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা উচিত।

উপসংহার: একটি সন্ধিক্ষণ

ভয় ও বর্জনের ভিত্তিতে অসমের বর্তমান পথ টেকসই নয়। রাজনৈতিক অভিজাতরা স্বল্পমেয়াদে লাভবান হতে পারেন, কিন্তু বিচ্ছিন্নতা, রাষ্ট্রহীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব অসম ও ভারতের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। গ্যারেথ প্রাইসের থিসিস, প্রায় তিন দশক আগে লেখা, সতর্ক করেছিল যে পরিচয় যখন নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন তা সম্প্রীতির বদলে বিচ্ছিন্নতা ডেকে আনে। অসমের এখনও সুযোগ রয়েছে যে সে তার অতীত থেকে শিখবে—তাকে পুনরাবৃত্তি করে নয়, বরং তা থেকে শান্তির পথ বেছে নিয়ে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter