আল্লাহ ও রাসুলের পরই মা-বাবার হক

হয়রত ওমার রঃ বলতেন মুআয যদি না হতো তাহলে আমি ওমার ধ্বংস হয়ে যেতাম ,তাকে রসুল কারিম ﷺ অনেক অসীয়ত করেছেন । একবার হয়রত মুআয রঃ বলেন,   রসুল আমাকে অসীঅত করেছেন যে, আল্লাহর সাথে কাওকে শরিক করবেনা যদি তোমাকে হত্যাও করা হয় এবং আগুন দিয়ে যদি জ্বলিয়েও দেওয়া হয় ,আর কখন মা-বাবার  না ফারমানি করবে না ।

মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লা রাব্বু আলামিন মানুষ কে সৃষ্টি করে তাদের প্রতি পালকের দ্বায়িত্ব  নিযেছেন তার সাথে সাথে মা-বাবাকে তাদের যত্নের সাথে লালন পালনের দায়িত্ব দিয়েছেন তার জন্য আল্লা তাআলা একজন মানুষের সৃষ্টি কর্তা এবং পালন কর্তা আর মা-বাবা হলেন লালন পালনের মাধ্যেমে তাকে গড়ে তোলার দায়িত্ববান । আল্লা পাক করআন শরিফে বলেন ,তোমরা আল্লাহ সাথে কনো কিছু কে শরিক করবে না এবং মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহার কর,প্রিয় ভাই,মা-বাবা পৃথিবীতে এমন একটি জিনিস যা আল্লাহ ও রসুলের পর মা-বাবা কে স্থান দেওয়া হয়েছে ।

কারন মা-বাবা আরাম ও আয়েশ কুরবানি করে সন্তানের প্রতি পালন করেন ,বাবা শরিরের রক্ত কে ঘাম বানিয়ে সন্তানের জন্য সারা দিন কাজ করে, এবং মা কলিজার রক্তকে পান করিয়ে তাকে বড়ো করেন , সেই ছেলে কে নিজের প্রাণের মতো ভালোবাসেন  নেজের অস্তি কে বিলিয়ে দেয়ে মা শিশু কে পালন করেন ,যে মমতাও স্নেহ নিজের কলি  জার রক্ত পান করান এবং পালন করেন,

আর শিশুর জন্য দিনের আরাম ও আয়েশ ও ঘুম অব্যহাত ভাবে কুরবানি করেন , সেই মায়ের খিদমাতের উদাহরন নেই।

এই জন্য প্রবিত্র কুরআন শরিফ মা-বাবার সাথে সুন্দর আচারনের গুরত্ব আরোপ করেছে ,

হয়রত আয়েশা রঃ বলেন, আমি নিজেকে জান্নাতে দেখতে পেলাম,সেখানে আমি একজন কুরআন পাঠকের কুরআন পাঠ শুনতে পেলাম এবং আমি জিজ্ঞেস করলাম কুরআন পাঠকারি

কোন ব্যাক্তি ?আমাকে জানান হল হারিস বিন নুমান সে ছিল একজন মায়ের সেবক।সে জান্নাতে কেন ছিল?কারন সে সব সময় মায়ের খিদমাত করতেন.আল্লাহর রসুল নাবি পাক ﷺ বলেন জান্নাত ওজাহান্নাম হচ্ছে মা-বাবার পায়ের নিচে ।

এক জন মানুষ কে দরকার যে তার মা-বাবার সাথে ভাল ব্য়াবহার করে ,যেমন একটি হাদিসে বলছে ,

হয়রত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেন আমি রসুলুল্লাহ কে জিজ্ঞেসা করলাম .

কোন নেক আমল আল্লাহর  কাছে নিকট সবচেয় বেশি প্রিয় ? নাবি কারিম ﷺ বলেন মা-বাবার সাথে ভাল ব্যাবহার করা তার পর আল্লাহর জন্য জিহাদ করা । মা-বাবার খিদমাত করা হচ্ছে জিহাদ ও হিজরির থেকে ও উত্তম নিশ্চয় মা-বাবাকে ভালো বাসলে জান্নাত পাওয়া জাবে, সে যদি নিয়ত ঠিক রাখে।যে ব্যক্তি মা-বাবাকে চেনবে না,মা-বাবার কৃতজ্ঞ হবে না সে আল্লাহর ও কৃতজ্ঞ বান্দা নয় ,আমাদের কে দরকার যে,মা-বাবার খিদমত করা ওতার সনমান করা তার সাথে ভালোব্যাবহার করা। আল্ল পাক কুরআন শরিফে বলেন, আল্লাহর ইবাদাত কর আর কারোর সাথে শরিক করবে না এবং মা-বাবার সাথ সদ্ব্যাবহার কর ।

তোমরা মা-বাবাকে সৌভাগ্য মনে করবে কারন আল্লাপাকও রসুলের পর মানুষের উপর সব চাইতে বড়ো অধিকার হল মা-বাবা। মা-বাবার অধিকারের  গুরুত সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা স্বিকারের নির্দেশের সাথে সাথে মা-বাবার কৃতজ্ঞতা স্বিকারের নির্দেশ দিয়েছেন। মা-বাবার খিদমত এবং অনুগত হওয়ার সবচেও বড়ো পুরুস্কার হলো জান্নাত ও পৃথিবীর মধ্যে সফলতা পাওয়া ,কিন্তু যদি মা-বাবার নাফারমানি করে তবে তার জন্য এমন এক পাপ যে, তার শাস্তি দুনিয়াতে ভুগতে হবে এবং আখিরাতে ভুগতে হবে। তার জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআন শরিফে বলছেন,তোমরা এক আল্লার ইবাদাত কর, তার শাথে কোনো কিছু কে শরিক করোনা আর মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহার কর।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter