বেদবাক্যে বিশ্বনবী ‘মুহাম্মদ ইন দ্যা হিন্দু স্ক্রিপচার্স’- এর ওপর মৌন দৃষ্টি’
লেখক – বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়
প্রকাশক – এ এস নূ্রদীন (এ.এস.এন এস), কাওলা লামপুর
“ধর্মের মৌলিক মূলতত্ত্বের বিবেচনায়, এই দুয়ের মধ্যে কোন ভেদ নায়।” (পৃ. ৭৫)
প্রয়াগ ইউনিভার্সিটি অফ ইন্ডিয়া’র সাংস্কৃতির অধ্যপক, গবেষক ড. বেদ প্রকাশ উপাধ্যয়ের প্রমান্য রচনা “মহাম্মাদ ইন দ্যা হিন্দু স্ক্রিপচার্স” পরিপূর্ণ বাধ-শক্তির সঙ্গে এক চূড়ান্ত উপ্সংহারের পথ প্রদর্শন করে।
গবেষনা মাধ্যম প্রাপ্ত অগাধ জ্ঞান তাঁর উজ্জল উপ্লদ্ধিকে দেশবাসী তাছাড়া আন্তর্জাতিক সদস্যদের অধ্যয়ন করাতে এবং তাদের মন মস্তিক থেকে ক্ষতিপ্রাপ্ত ও নকল বিশ্বাসক মুছে ফেলার জন্য লেখকের হৃদয়কে জাগ্রত করে।
দূরবর্তী ঐতিহাসিক বিকৃতি ও অবক্ষয়ের কোপে পরেও প্রাচীন ধর্মগ্রন্থসমূহ নানা আলোচনা এবং জটিল বিষয়বস্তুতে সক্রিয় সমর্থন করে। বিভিন্ন দুরুহ ও কঠিন সমস্যার সমাধান সূত্রের নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়ায়। ড. বেদ প্রকাশের উদ্যগ এবং গবেষণা সম্ভাব্য জ্ঞানের জোহর সন্ধানে সহায়তা করছে যদিও এই পথ সূলভ প্রাপ্য নয়।
সংক্ষীপ্ত হৃদয়বিদ্ধ বিবরণ ও অপ্রশ্নসূচক প্রমান পাঠকবৃন্দের বাস্তব উপলদ্ধিতে নিমিষেই আকৃষ্ট করে; এক অন্যের প্রতি শদ্ধাশীল করে তুলে। কিন্তু যথেষ্ট সতর্কতা না থাকার ফলে ‘এক ঈশ্বর’ –এর বিশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটার প্রবণতা দেখা যায়। এরই নিরিখ ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মাদ আলমগির তাঁর উপসংহরে জরুরি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রকাশিত বিভিন্ন জীবনীতে নবী মুহাম্মাদ (স:)-এর প্রতি ‘প্রতিশ্রুত দূত’, ‘প্রত্যাশিত দূত’, ‘ভবিষ্যতে আগত দূত’ –এর মতো ভবিষ্যত বর্ণাকারী নাম উৎসর্গ করা হয়েছে। এগুলি সবই আজও গভীর গবেষণা এবং বিশ্লষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুচিত বিষয়।
বিকৃতি-আক্রন্ত হয়েও বেদ, পুরান, মহাভারত এবং অন্যান্য হিন্দু শাস্ত এরই প্রমান, যা ড. বেদ প্রকাশ পশ্চিমা পণ্ডিতদের দাবি দিয়ে নিপুনভাবে বিশ্লেষণ করেছেন এবং অবশ্য শিকার করেছেন যে এটা তাঁর ‘আন্তরিক’ প্রয়োগ।
‘মুহাম্মাদ ইন দ্যা হিন্দু স্ক্রিপচার্স’ আসল তিনজন লেখকের ফল সমস্টি।
পরিচ্ছেদ এক, পরিচ্ছেদ দুই এবং পরিচ্ছেদ তিন ড. প্রকাশের হাত ধরে প্রথম প্রকাশীত হয়। পরিচ্ছেদ গুলির বাংলা অনুবাদের সাথে সাথে আশিত কুমার বন্দোপাধ্যায় 'মহাভারতে মুহাম্মাদের ব্যাখ্যা' রুপারন করেন। তারপর নামন্তরের সাথে ইংরেজি অনুবাদ করেন মুহাম্মাদ আলঙ্গির।