ইসলামের সন্ধান

 অত সহজ নয় ইসলাম ধর্মের রহস্য  এবং আকাশ পাতালের সমন্বে তথ্য জানা ।  বর্তমান যুগের বৈজ্ঞানিক বলেন এই পৃথিবী প্রকৃতির নিয়মে আহবান। কিন্তু ইসলামের হাদিশ  সে কথা বলেনা, বৈজ্ঞানিকদের বক্তব্য এবং হাদিশের নির্দেশ ও আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলামের "আলিম /আল রাজি" তাহাদের বইয়ের মধ্যে ইসলামের ইতিহাস রচনা করেছেন এবং বৈজ্ঞানিকদের বইয়ের মধ্যে লিখেছেন  পৃথিবীর সব কর্ম  কা-প্রকৃতির নিয়মেই আপনা হতেই চলেছে।  
কিন্তু হাদিশ অনুযায়ী ইসলাম ধর্মীয় চিন্তাবিদগন বলেন পৃথিবীর শ্রষ্ঠা পরম করুণাময় আল্লাহর আদেশেই সবকিছু মঙ্গল কর্ম সমাধান হয়।  আর যে সব কর্ম ক্ষতিকর, অমঙ্গল জনক সেগুলো হয়ে থাকে শয়তানি চক্রান্তে।

  সর্ব প্রথম ইসলামের প্রতিষ্ঠাকারি হলেন "হুজুর মহম্মদ মুস্তাফা (সাঃ)"।  ইসলাম সমাজের অনেক কিছু করণীয় কর্ম আছে, যেগুলো অবশ্যই করতে হবে ,সেগুলোকে বলা হয় "ফরজ"। এই ফরজগুলো হল আল্লাহর আদেশ, আর এই ফরজগুলোর পরেও নবী(সাঃ) যে আদেশগুলো করেছিলেন তাহা হল "সুন্নাত"। 
এবং কিছু কিছু আরও আদেশ আছে সেগুলোকে বলা হয় "নফল নামাজ"। এইগুলো পালন করতে পারলে ভাল, আর না পারলে গুনাহ হবেনা। কিন্তু সম্পূর্ণ ফরজ সুন্নাত ও নফল পালন করা অত সহজ নয়।  মুসলমান সমাজের
যারা গরিব তারা ইচ্ছা ও চেষ্টা করলে ফরজগুলো হয়তো পালন করতে পারে।  
তার কারণ গরিব মানুষের পালনিয় বিষয়বস্তু খুব কম। শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ,হারাম বাদ দিয়ে হালাল রুজি ভক্ষণ করা এবং নামাজ ও রোজা করা আর অসৎ অবৈধ থেকে দুরে থাকা।  ধনি ব্যক্তির কর্তব্যের কোন শেষ নেই যতক্ষণ প্রার্থি ও ধন থাকবে ততক্ষন দরজা থেকে কোনো প্রার্থিকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া নির্দেশ নেই, কিংবা কোন ভিক্ষুককে কটু কথা বলা যাবেনা অথবা কটু কথা বললে আল্লাহ তায়ালা  অসন্তুষ্ট হইবেন। যদি আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হইলে কিয়ামতের দিন লাঞ্ছিত হইতে হবে  অতএব সাবধান। 

ধনি ব্যক্তি  যারা শারীরিক পরিশ্রম করেনা তাদেরকে সারাদিনে পাঁচবারের অনুপাতে সাত আট বার নামাজ পড়তে হবে।  বসে বসে টাকা আয় করতে অথবা গন্য করতে দিন পার করলেই জান্নাতে প্রকাশ হতে পারবে না।  বস্তাই বস্তাই টাকা আয় করে রাখলে গ্রাহ্য হবে না।  অথবা পীরের মাজারে মাথা ঠুকে- ঠুকে রক্ত ঝরালেও জান্নাত/বেহেসততো দুরের কথা জান্নাতের বাতাস ও পাওয়া যাবে না, মস্ত ঠুকাতে হবে আল্লাহ তায়ালার মসজিদে ও রাসুলের স্মরণে। নামাজ ,রোজা ,ফেতরা কোরবানি, জাকাত, উমরা কোনটাই বাদ দেওয়া যাবে না বিশেষ করে ধনিদের পক্ষে, তাহাদের জন্য জান্নাত অত সহজ নয়। 
 বৈজ্ঞানিকগন এই পৃথিবীতে আগমনের ইতিহাসের গবেষণা করতে অক্ষম। তাহাদের গবেষণার ফলাফল হল ,যে প্রথমে মানুষের আকৃতি ছিল বানর ও ভাল্লুকের আকৃতির কিন্তু আল্লাহ তায়ালারকোরান, সে কথা বলেনা মানুষের আকৃতি প্রথম থেকেই মানুষেরই মতো। তবে দৈর্ঘ এবং প্রস্থের দিক দিয়ে আগেকার মানুষ পুনরায় ছিল অত্যন্ত কঠিন অথবা ভয়ঙ্কর। আদি পিতা আদম (আঃ) এর মৃত্যুর বহুদিন পরে মানুষ যখন ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিয়া কুফরির দিকে ঝুকিয়া পড়িল :সেই সময়ের কথা;নুহ (আঃ) একজন নবী ছিলেন । সেই সময়ে কিছু মানুষ নুহ (আঃ)এর উপর খুব অত্যাচার করত । নুহ (আঃ) এর দল ছিল কুফরির অপেক্ষা দুর্বল এবং ওই অবাধ্য দল ছিল খুব শক্তিশালী। তাহাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া নুহ (আঃ) ক্রন্দনরত অবস্থায় পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নিকটে প্রার্থনা করিলেন। "হে মালিক বহুচেষ্টা  করিয়াও তোমার ঐ সকল অবাধ্য বান্দাগনকে ধর্মে প্রকাশ করিতে সক্ষম হইতে পারলাম না সুতরাং ওই অবাধ্যদের ব্যবস্থা তুমিই করো প্রভু"।করুণাময় আল্লাহ তায়ালা নুহ (আঃ) এর প্রার্থনা কবুল করিলেন , তিনি নুহ (আঃ)কে নৌকা তৈরি করতে আদেশ দিলেন।  তখন নুহ (আঃ) শুকনো ডাঙায় নৌকা তৈরি করিতে লাগিলেন ,নৌকা তৈরি করতে তক্তা কমিয়া গিয়েছিল।  তখন নবি , "এওজ "নামে একজন মানুষকে দুইটি শালগাছ আনার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন , তখন সেই  এওজ কোনরুপে আপত্তি না করিয়া নীল দরিয়া পার করিয়া দুইটি শালগাছ 
এনে দিয়েছিল । নীল দরিয়া যখন এওজ নেমেছিলেন তখন তার হাঁটু থেকে ডুবে ছিলেন, তাহলে বুঝে দেখুন ওই এওজ -এর উচ্চতা কতখানি হতে পারে।  যখন নুহ (আঃ) এর নৌকা পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি হল ,তখন প্রতিবেশী কুফরির দল সব পায়খানা অথবা মলমূত্র ত্যাগ করতে শুরু করতে লাগল । এই ভাবে পুরো নৌকা পায়খানায় পূর্ণ হয়ে গেল। এই দেখে নুহ (আঃ) অতিকাতর স্বরে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নিকটে আবেদন করলেন । হে আল্লাহ্ আর সহ  করতে পারছিনা, তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন সহ করতে হবে।  সেই সময়ে এক বুড়ি নিজেকে অপরাধী ভেবে বসে আছে, কারণ সে নৌকায় পায়খানা করতে অক্ষম হয়নি । তাই সে পরের দিন নৌকার দিকে রওনা দিলেন  পায়খানা করার উদ্দেশ্য, তখন সে নৌকায় পরে যায় তখন সে নিজেকে দেখে অবাক হয়ে যায় যে বুড়ি এক সুন্দরী রূপে পরিণত হয়ে গেল । এই খবরটা ছড়িয়ে পড়ল তখন সব নৌকার ধুলো নিজে নিজে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রকাশ করতে লাগল  , যারা সর্বশেষ উপস্থিত হল তারা নৌকা ধুয়ে নিয়ে নিল, এই ভাবে পুরো নৌকা আবার পরিস্কার হয়ে গেল।  


 এরপর আল্লাহ তায়ালা কুফরির দলকে শাস্তি উপভোগ করার জন্য নুহ (আঃ) কে জোড়া পাখি পশু  এবং মুসলমান বান্দাগনকে নৌকায় রাখার জন্য আদেশ দিলেন, এবং নুহ (আঃ) তাই করল ।এরপর অত্যাচারিদের উপর আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিলেন অথবা ভয়ঙ্কর জলের ঝাপটা দিয়ে সকল অত্যাচারিদেরকে  নষ্ট করে দিলেন। তার বহু বছর পর ইসলাম প্রচারকারী পৃথিবীর বুকে এসেছিলেন , তারপর সব ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন।  এই ছিল ইসলামের ইতিহাসের একটি বিশেষ ঘটনা অথবা অংশ ।
 ইসলামের প্রকৃতি নাই কোন দেখা,
গ্রহন করো ইসলাম জান্নাত হবে দেখা।

               

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter