লকডাউনের দাপটে বিচ্যুতি শিক্ষার গতি
চিনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালে ভারতে জমিতে পা দেয় এই মহামারী। মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে হরিয়ানা, দিল্লি, পশ্চিম বঙ্গ ইত্যাদি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে অগ্নি তিলে ছড়ার মতো। জনতা কার্ফু থেকে শুরু করে পূর্ন লকডাউন পর্যন্ত সকল রকমের পদক্ষেপ নেয় রাজ্য ও রাষ্ট্রীয় সরকার। কিন্তু পাঁচ মাস ধরেও কমলো না এই মহামারী, বরণ আপসোস জনক এই যে করোনার করুণায় নানা দিন লকডাউনের কারনে গৃহ বন্দি হয় সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুল, কলেজ, হাই মাদ্রাসা, বিশ্ব বিদ্যালয় ইত্যাদি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আজ অনেক শিক্ষার্থীরা হয়ে যাচ্ছে অসহায়। TDN বাংলায় খবর পাওয়া অনুযায়ী সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আরও কতদিন বন্ধ থাকবে তা অজানা। পড়াশোনা ছাড়বে বহু ছাত্র-ছাত্রী।
লকডাউনের এমনই বিপজ্জনক পরিণতির আশঙ্কা করছেন ইউনেস্কোর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল জেফানিয়া জিয়ান্নিনি। প্যারিস থেকে ফোনে সংবাদসংস্থা পিটিআই কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন “ আশঙ্কা ড্রপ আউট এর বাড়ার। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীরাই বিপন্ন হচ্ছে। বিপজ্জনক সামাজিক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন ইউনেস্কোর অন্যতম কর্তী। তিনি বলছেন, স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি অপরিণত মাতৃত্ব, যৌন নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের প্রকোপ বাড়বে। যার কারনে সমাজ কল্যানে মানবতার উলঙ্ঘন হবে।
bangla.tdnworld.com থেকে পাওয়া সূত্রানুযায়ী "রাষ্ট্রীয়সঙ্ঘ আজ অর্থনৈতিকের দিক ভাবনা করছে যার কারনে সরকারি স্তরে পড়ার জন্য গুরুত্ব দেওয়া মহান যুক্তি বলে মনে করা হচ্ছে।" লকডাউনের জন্যে শিক্ষা থেকে দূরে রয়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী, সংখ্যায় ১৫৪ কোটি। এর মধ্যে স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় ধরা হয়েছে।
ইন্টেলিজেন্স বেউরু রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৪.৪৪ শতাংশ। তাহলে কি সাক্ষরতার হার লকডাউন ব্যাহত করবে ? করোনা ভাইরাস কিভাবে প্রভাবিত করছে ভর্তি গুলিকে ?
করোনা দাপটে ভারত সরকার তথা সকল রাজ্য সরকার স্কুলে ভর্তি নিয়ে আলোচনা সভায়। পরীক্ষার পেপার তো বিলি করা হয়েছে সকল স্কুলে কিন্তু উত্তরের খাতা জমা নেওয়ার নাম নায়। অনুমান অনুযায়ী ৭৪.৪৪% থেকে ব্যাহত হয়ে শিক্ষার হার হতে পারে ৬৫.৫০%।