নীল নদের তীরে ভ্রাতৃঘাতী সংগ্রাম: সুদানের মর্মন্তুদ উপাখ্যান ও মুসলিম উম্মাহর আত্মিক সঙ্কট

যখন বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সংঘাতের অন্তহীন বাগাড়ম্বর চলিতেছে, সেই কোলাহলের অন্তরালে বহু যন্ত্রণাই উপেক্ষিত থাকিয়া যায়। কিন্তু সুদান—এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক এবং মুসলিম উম্মাহর এক বিশাল জনপদের আবাসস্থল—তাহার মর্মন্তুদ সঙ্কট আজ সর্বতোভাবেই অবহেলিত। সুদানী সশস্ত্র বাহিনী (সাফ) এবং র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যকার এই ভ্রাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিকে কেবলই শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বীয় জন্মভূমি হইতে উন্মূল করিয়াছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM)-এর ২০২৪ সালের হিসাব অনুসারে, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এক কোটি অতিক্রম করিয়াছে—যাহা এই বসুন্ধরার বুকে বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ শরণার্য়ন সঙ্কট। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (WFP) সতর্ক করিয়াছে যে, ১ কোটি ৮০ লক্ষাধিক মানুষ তীব্র অন্নাভাব ও বুভুক্ষায় পতিত, এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষের (IPC Phase 5) করাল ছায়া ঘনাইয়া আসিতেছে, যাহা দেশান্তরী হইবার এই মর্মান্তিক স্রোতকে কেবলই তীব্রতর করিয়াছে।

রাজনৈতিক পটভূমি ও বর্তমান সংঘাত

ইতিহাসের পাতা উন্মোচন করিলে দেখা যায়, ত্রয়োদশ শতক হইতে সুদান আরব শাসনের অধীন ছিল, যদবধি না ১৮২০ সালে মিশর ইহাকে করতলগত করে। ১৮৮১-৯৮ সালের মাহদিস্ট বিপ্লব ইহাকে উত্তরের প্রতিবেশীর নিকট হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেয় এবং ১৮৯৮ সালে পুনঃদখলের পর ইহা একটি অ্যাংলো-মিশরীয় যৌথ শাসনরূপে পরিচালিত হইতে থাকে। ১৯৫৬ সালে ইহা এক স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সত্য, কিন্তু উত্তরের ইসলামী ভাবধারার সরকার এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির মধ্যে এক প্রলম্বিত গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটিকে চরম মূল্য দিতে হইয়াছে।

অতি সম্প্রতি, এই সঙ্ঘাত ব্যক্তিগত ক্ষমতা বা ‘মসনদ’ দখলের এক নির্লজ্জ লড়াইয়ে পর্যবসিত হইয়াছে—যাহার এক পক্ষে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদানী সশস্ত্র বাহিনী (সাফ) এবং অন্য পক্ষে জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।

২০২৩ সালের এপ্রিল হইতে এই ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধের দাবানল ছড়াইয়া পড়িয়াছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের এক ভয়াবহ বিস্তারের নিদর্শন মিলিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, যখন আরএসএফ গেজিরা রাজ্যের ‘ওয়াদ মাদানি’ শহর দখল করিয়া লয়। এই শহরটি পূর্বে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং মানবিক সাহায্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত ছিল; ইহার পতনে অর্ধ মিলিয়নেরও অধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়, যাহাদের অনেকেই দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো এই নির্মমতার শিকার হন।

এক মানবিক মহাবিপর্যয় ও বৈশ্বিক ঔদাসীন্য

ফিলিস্তিন ইস্যুর বহু পূর্বেই এই সঙ্কটের সূচনা হইলেও, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইহা সেইরূপ গুরুত্ব পায় নাই। আফ্রিকান ইউনিয়নের (AU) ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, যেমন জেদ্দায় বারংবার ব্যর্থ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা সত্ত্বেও, কোনো পক্ষই একটি একচ্ছত্র কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে আসিতে সম্মত হয় নাই। ফলস্বরূপ, সুদানের অন্যতম বৃহৎ সঙ্কট হইয়া দাঁড়াইয়াছে একটি কেন্দ্রীয় শাসনের অভাব, যাহা এই অরাজকতা নিয়ন্ত্রণ করিয়া আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারিত।

এই যুদ্ধ সুদানের অবস্থাকে কেবলই দুর্বিষহ করিয়া তুলিয়াছে। দেশের ৫ কোটি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশই আজ শিকড়চ্যুত অথবা দেশান্তরী, যাহা পার্শ্ববর্তী দেশগুলিকেও প্রভাবিত করিতেছে। দক্ষিণ সুদান ৬০ লক্ষেরও অধিক এবং চাদ (যাহা পূর্ব হইতেই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ন্যুব্জ) ৫ লক্ষাধিক (প্রধানত দারফুর হইতে আগত) নূতন শরণার্থীতে ভারাক্রান্ত।

অধিকন্তু, এই ভয়াবহ সঙ্ঘাতের করাল গ্রাসে বিদ্যালয় ও চিকিৎসালয়ের মতো মৌলিক সেবাসমূহ ধূলিসাৎ হইয়া গিয়াছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কর্তৃক নথিভুক্ত তথ্য অনুসারে, বিশেষত পশ্চিম দারফুরের এল গেনেইনা শহরে আরএসএফ এবং সহযোগী মিলিশিয়াদের দ্বারা মাসalit সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক, জাতিগতভাবে লক্ষ্য করিয়া হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতা চালানো হইয়াছে—যাহাকে অনেকেই ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (MSF)-এর মতো সেবামূলক সংস্থাগুলি বারংবার জানাইয়াছে যে, তাহাদের চিকিৎসালয়গুলি সরাসরি আক্রান্ত, লুণ্ঠিত এবং বন্ধ করিতে বাধ্য হইয়াছে। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর দারফুরের এল ফাশের শহরের সাউথ হাসপাতালটি ২০২৪ সালের জুনে বারংবার গোলাবর্ষণের শিকার হয় এবং শেষ পর্যন্ত শত্রুকবলিত হয়, যাহা সহস্রাধিক মানুষকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা হইতে বঞ্চিত করে।

এই নিদারুণ ঔদাসীন্যের কারণ অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়, দেশটিতে বিদ্যুতের মতো মৌলিক পরিকাঠামোর অভাব সংবাদমাধ্যমগুলির দৃষ্টি এড়াইয়া যাইবার অন্যতম কারণ। অধিকন্তু, আফ্রিকা মহাদেশ তাহার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সত্ত্বেও চিরকালই বিশ্বের নিকট উপেক্ষিত। এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির নিস্পৃহতার পশ্চাতে বহুবিধ অভিসন্ধি ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে। অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে দেখা যায়, সেখানে তৈল বা অন্য কোনও মূল্যবান সম্পদ নাই যাহা আমেরিকা করায়ত্ত করিতে পারে। তদুপরি, সুদানের এই ধ্বংসলীলা বিশ্ব অর্থনীতিকে সেইভাবে প্রভাবিত করিবে না, যাহা হয়তো সুদানের এই যুদ্ধ উপেক্ষিত থাকিবার একটি প্রধান কারণ।

এই অবহেলাকে আরও জটিল করিয়া তুলিয়াছে উভয় পক্ষের দ্বারা মানবিক امداد (সাহায্য) ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করা; জাতিসংঘের OCHA জানাইয়াছে যে, সাফ এবং আরএসএফ উভয়পক্ষই আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা, প্রবেশাধিকার অস্বীকার এবং ত্রাণসামগ্রী লুণ্ঠনকে যুদ্ধের অস্ত্ররূপে ব্যবহার করিতেছে, যাহার ফলে সাহায্য সংস্থাগুলি দুর্ভিক্ষপীড়িতের ৯০ শতাংশের নিকট পৌঁছাইতে ব্যর্থ হইতেছে।

আত্মিক অবক্ষয় ও পরিচয়ের সঙ্কট

সুদানের রাজনীতির চলমান গতিধারায় সাম্প্রতিক যে সংঘাত ও আলোড়ন, তাহা এক চিরন্তন জিজ্ঞাসার উদ্রেক করে: সুদানের এই ‘যুগান্তকারী পট পরিবর্তন’ বা অচলাবস্থার সহিত, সেই উপেক্ষিত, প্রবাহমান ‘মুসলিম সঙ্কটের’ কোনও গভীর যোগসূত্র রহিয়াছে কি?

ভূ-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের অভ্যন্তরে ক্রিয়াশীল ঘাত-প্রতিঘাতের একনিষ্ঠ বিশ্লেষণে ইহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সুদানী মুসলমানগণ এক গভীর ‘পরিচয়-সঙ্কট’ অন্তরে লালন করিয়া আসিতেছেন। যাঁহারা একদা ইসলামের প্রচার ও প্রসারের মূর্ত প্রতীক ছিলেন, তাঁহারাই আজ ইসলামী মূল্যবোধ ও বিধানের অবমাননাকারী, লক্ষ্যভ্রষ্ট ছায়ামূর্তিতে পর্যবসিত হইয়াছেন—এমনকি অ-ইসলামী (বরং ইসলাম-বিরোধী) আদর্শের নিকট তাহারা অত্যন্ত ভঙ্গুর হইয়া পড়িয়াছেন।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের যুদ্ধের বিভীষিকার মধ্যে রহিয়াছে ব্যাপক লুণ্ঠন, যৌন সন্ত্রাস এবং যোদ্ধাদের কর্তৃক মসজিদ দখলের মতো জঘন্য পাপাচার, যাহা ইসলামে সুস্পষ্টরূপে ‘হারাম’ বা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংস্থাও এইসকল অনাচারের সাক্ষ্য বহন করে।

বিশ্ব মুসলিম সংস্থা ও মহাজোটগুলি সুদানের প্রান্তিক পরিস্থিতি লইয়া যতখানি সোচ্চার, সুদানী মুসলিমদের প্রকৃত ‘নবজাগরণ’ ঘটাইয়া তাঁহাদের ‘হারানো সওগাত’ (পরিচয়) ফিরাইয়া আনিবার পথে ততখানি প্রয়াস তাঁহাদের নাই। যদিও অতীতে অনুরূপ প্রচেষ্টা গৃহীত হইয়াছিল; যেমন, ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট নুমেইরির ‘শরীয়াহ-ভিত্তিক পন্থার’ নামে এক জবরদস্তিমূলক ঐক্যের প্রয়াস। ১৯৮৩ সালের সেই ‘সেপ্টেম্বর আইন’ ইহার এক জাজ্জ্বল্যমান দৃষ্টান্ত, যেখানে নুমেইরি জনসমক্ষে ‘হুদুদ’ (ইসলামী দণ্ডবিধি), এমনকি অঙ্গচ্ছেদের মতো শাস্তিও কার্যকর করেন। সমকালীন পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট যে, ইহা কোনও প্রকৃত সামাজিক বা রূহানিয়াতের জাগরণ ছিল না, বরং স্বীয় পতনোন্মুখ শাসনকে রক্ষা করিতে ইসলামপন্থী শক্তির সমর্থন আদায়ের এক রাজনৈতিক চক্রান্ত মাত্র।

ঔপনিবেশিক বিভেদ ও উত্তরণের পথ

ঐতিহাসিকভাবে, সুদান ছিল এক শোচনীয়রূপে অনগ্রসর ভূখণ্ড, যাহা একপাক্ষিক গতানুগতিকতার ভিত্তিতে প্রোথিত সামাজিক কুসংস্কার ও ঔপনিবেশিক ভেদবুদ্ধির দ্বারা অবহেলিত ছিল। অ্যাংলো-মিশরীয় ঔপনিবেশিক শাসনামলে “ক্লোজড ডিস্ট্রিক্ট” অধ্যাদেশ এই বিচ্ছিন্নতার এক নির্লজ্জ প্রমাণ, যাহা দক্ষিণের আদিবাসী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে আরব্য-ইসলামী উত্তর হইতে সচেতনভাবে বিচ্ছিন্ন করিয়া বিভেদের বিষবৃক্ষ রোপণ করিয়াছিল। বিশ্ব ব্যবস্থার গতিপথ পরিবর্তনের সাথে সাথে, সুদানও ‘নবীকরণের’ নামে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের স্রোতে ভাসিয়া যায়। কিন্তু সেই স্রোতধারায় আধ্যাত্মিকতার যে মূল সারাৎসার, তাহা ব্যাহত হইয়া সুদানী জনতা ইসলামী সংস্কৃতি হইতে বিচ্যুত হইয়া পড়ে।

সুদানী জনপদ, যাহা একদা ইসলামী ইতিহাসের এক অবিচল অবস্থানে অধিষ্ঠিত ছিল, তাহারাই দুর্বল ও কলুষিত ব্যবস্থার নিকট নতি স্বীকার করিল। অনতিবিলম্বেই সুদান ধর্মনিরপেক্ষতার পথে ধাবিত হইল; কিন্তু এই পরিবর্তন সামগ্রিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করিয়া দিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও সামরিক শক্তির উন্মত্ত আস্ফালন সুদানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বুননে এক গভীর ক্ষতচিহ্ন আঁকিয়া দেয়। ইহার এক প্রধান উদাহরণ ২০০৩ সালে শুরু হওয়া দারফুর যুদ্ধ। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অভিযোগপত্রে যেমনটি নথিভুক্ত রহিয়াছে, সরকার-সমর্থিত ‘জানজাউইদ’ মিলিশিয়াদের দ্বারা পরিচালিত ব্যাপক গণহত্যা, গ্রাম ভস্মীভূতকরণ ও জাতিগত নির্মূল অভিযান লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে এবং আনুমানিক তিন লক্ষ মানুষের প্রাণ কাড়িয়া লয়।

উপসংহারে বলা যায়, দেশটিতে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ মজুত থাকা সত্ত্বেও (যাহা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্রদের মাধ্যমে অবৈধ চোরাচালান চক্রের দ্বারা আরএসএফ-এর অর্থায়নের অন্যতম প্রধান উৎস), সুদানের এই মহাবিপর্যয় আন্তর্জাতিক স্তরে উপেক্ষিত হইতেছে। সুদানী জনগণ বর্তমানে এক ‘আদর্শহীনতার শূন্যগর্ভ’ (state of anomie) দশায় নিপতিত, যাহা বিশ্ব ব্যবস্থার নিরিখে অত্যন্ত অকার্যকর।

এই স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা নিরসনের প্রথম সোপানটিই হইল—জাতিগত বিভেদ নির্বিশেষে—প্রত্যেক মুসলমানের মধ্যেকার ঈমানী বন্ধনকে সুদৃঢ় করা। বিখণ্ডন ও আত্মিক অবক্ষয়ের যে প্রলয়ঙ্করী কেন্দ্রাতিগ শক্তি, তাহাকে প্রতিহত করিতেই হইবে। অন্যথায়, এই সকল তথাকথিত পরিবর্তন একটি কার্যকরী ব্যবস্থার পথে ইতিবাচক না হইয়া, কেবল নেতিবাচক অনুষঙ্গ হিসাবেই কায়েম থাকিবে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter