একটি গাছ একটি প্রান 

    প্রতি বছর পরিবেশ দিবসটি বিভিন্ন স্থানে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়।  অন্যবারের  মত এই বৎসরেও চোপড়া শহরে পালিত হল পরিবেশ দিবস বা ইকো ডে। বক্তব্য রাখেন বিশেষ কয়েক জন। এই পরিবেশ দিবস উপলক্ষে যে অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল, তাতে আমি একটা জিনিস শিখলাম: পরিবেশ দিবসটি প্রথমবার পালিত হয় ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে। 
আমার আগ্রহ জেগে ওঠে এই দিবসটির কিছু মূল উদ্দেশ্য জানার। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমি এই  রেজাল্ট পায়: এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স শুরু হয়েছিল। এই কনফারেন্সটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি হয়েছিল। তখন থেকেই প্রতি বৎসর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়, এবং ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়ে আসছে।  
আমাদের পরিবেশটা দিনের পর দিন দূষিত হচ্ছে, মূল কারণ হচ্ছে এই বৃক্ষ কেটে দেওয়া। আপনারা হয়তো শ্রবণ করেছেন যে, বিশেষ করে আমাদের পরিবেশটি বায়ু দূষণের শিকার হয়ে পরেছে। প্রতিদিন গাছ কেটে ফেলা হয়, তার ফলে অক্সিজেনের বৃদ্ধি কমে গেছে; শ্বাস নিশ্বাসের কষ্ট হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে এখন কলকারখানার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই কলকারখানার ধুয়া পরিবেশে মিশে পরিবেশটাকে দূষিত করে তুলে।  
এই করোনা পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল অক্সিজেনের নিমিত্তে বয়ে আসছে কান্নার হাহাকার। হাসপাতালের বেডে শুধুমাত্র পরে আছে মৃত লাশ; পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন। পশ্চিম বঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা নরেন্দ্র মোদীর কাছে অক্সিজেন চেয়েছেন।  কিন্তু অক্সিজেন পাবে কোথায়! অক্সিজেন থাকবে তবেই তো দিবে, কিন্তু পরিবেশ থেকে গাছ কেটে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে, তাই বলে রাখি: বৃক্ষ লাগাও জীবন বাচাও।

Related Posts

Leave A Comment

2 Comments

Voting Poll

Get Newsletter