ভ্রমণতৃষ্ণায় ভারতে: আজমীর, জয়পুর, দিল্লি, আগরা ও মুম্বাইয়ে দারুল হুদা শিক্ষার্থীদের সোজোর্ন নামক শিক্ষণীয় যাত্রা
কেরালা রাজ্যের মালাপ্পুরাম জেলায় অবস্থিত দারুল হুদার সোসাইটাল ডেভেলপমেন্ট (সামাজিক উন্নয়ন) বিভাগের ২০২৪ বাৎসরিক ভ্রমণের গন্তব্যস্থল ছিল রাজস্থানের বিখ্যাত শহর আজমীর ও রাজধানী জয়পুর, ভারতের রাজধানী দিল্লি, মুঘলদের বাসস্থান উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহর ও স্বপ্নের শহর মুম্বাই। সত্যি এই ভ্ৰমণ হচ্ছে এক বিশাল শিক্ষা যা বই পরে অর্জন করা যাই না। এক চীনা প্রবাদে বলা হয়েছে দশহাজার বই স্ক্রল করার চেয়ে উত্তম হচ্ছে দশ হাজার মাইল ভ্রমণ করা। পবিত্র কোরান শরীফেও এই পৃথিবীতে ভ্রমণ করার আদেশ দিয়েছেন আর আল্লাহর সৃষ্টি করা জিনিস গুলি প্রদর্শন করে যেমন আল্লাহ কে বুঝতে পারি যে আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবী কি সুন্দর করে তৈরী করেছেন। এই ভ্রমণটি আমার জীবনের অভিজ্ঞতায় বৃদ্ধি করে ও আমার জীবনের এক মূল্যবান সময় হিসেবে স্মরণীয়। আমাদের যাত্রা অক্টোবর ১৩ আরম্ভ হয়ে অক্টোবর ২৬ এ সমাপ্ত হয়। আজমীর; বিশ্ববিখ্যাত দাতা হজরত মঈনউদ্দিন চিস্তী (রহঃ) যিনাকে ভারতের রাজা বলে বিবেচিত করা হয় তিনার মাজার শরীফের বাসস্থান, এত দিন শুধু শুনে এসেছিলাম এখন সচক্ষে দর্শনের সুযোগ পেলাম।
ভ্রমণ আরাম্ভ
১৩ অক্টোবর রবিবার ঠিক মাগরিবের পর আমরা কয়জন মিলে আজমীর যাওয়ার ট্রেন মরুসাগর এক্সপ্রেস ধরার উদ্দেশ্যে রাত ১১ টাই কোজিকোড রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম। আমরা দু জন ছাত্র মাত্র কেরলের বাইরে থেকে বাকি সকলই কেরলের বাসিন্দা যাদের মালয়ালি হিসেবে জানা যায়। সকল ছাত্র ঠিক করল যে তারা সবাই নিজ নিজ বাসভবন থেকে স্টেশন পৌঁছাবে আর স্বল্পমাত্রায় আমরা কয়েকজন ক্যাম্পাস এ বাকি থেকে যায়, আমাদের এক বন্ধু মহসিন আমাদের কথা ভেবে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দেয় যেন সকলেই এক হয়ে স্টেশন এ পৌঁছাতে পারি। সে আমাদের নৈশভোজ করায় এবং আটটা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ আমরা তার বাড়ির নিকটবর্তী বাস স্টেশনে কে আর সি টি সি বাস ধরে সোজা কোজিকোড স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম।
আজমীর প্রায় দুই দিন এবং আনুমানিক সাতটি রাজ্যকে পেরিয়ে পৌঁছাব। ট্রেনের যাত্রা আবার স্লীপার কোচ মানে বিশাল ক্লান্তি ভোগ করা। এক টানা দুই দিন এক সিটে বসে যাত্রা ভেবে বিরক্তিকর বোধ হয়। যায় হোক তবুও সঙ্গে ছিল প্রিয় বন্ধু স্মার্ট ফোন যা ছেড়ে কোনো জায়গা যাওয়া যায় না তাই কখনো কখনো বিরক্ত বোধ না হওয়ার জন্য এই বন্ধুর সঙ্গে খেলতে শুরু করতাম আর কখনো কখনো ট্রেনের জানলার বাইরে দৃষ্টি পাত করে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন আবহাওয়া কে অনুভব করতাম। সময় সময় চলন্ত ট্রেন সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে লম্বা পাহাড় ভেদ করে আবার কখনো লৌহ কপাট দিয়ে নির্মিত ব্রিজ যা দুই পাহাড় কে সংযুক্ত করে ও তার নিচে আঁকাবাঁকা নদীর জলস্রোত যা সত্যিই এক আলাদাই অনুভব করছিলাম যে আল্লাহ এই দুনিয়া কে কি সুন্দর করে তৈরী করেছেন। মোটামোটি আমরা সাতটি রাজ্য কেরল, কর্ণাটক, গোয়া,মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যে প্রদেশ পেরিয়ে রাজেস্থান প্রবেশ করলাম। যা দেখে আমাদের পুরনো ধারণায় একদমই বদলে গেল, আমরা মনে করি যে রাজেস্থান রাজ্য মানে পুরো মরুভূমি ও সাহারা। কিন্তু না সেই ধারণাটা আমাদের ভুল ছিল।
রাজেস্থান (আজমীর ও জয়পুর)
১৪ তারিখ মোটামোটি দুপুর আড়াইটে বাজে, আজমির জংশন পৌছালাম। ট্রেন থেকে নেমে কেরলের এক এজেন্টের দ্বারা আজমির দরগা শরীফের নিকটেই একটি রুম ভাড়া করে সোজা সেই রুমের দিকে রওনা দিলাম। রুমে পৌঁছালাম ওখানে ফ্রেশ হয়ে আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল যে দরগার পাশেই কেরালা হোটেলে গিয়ে কেরল জাতীয় খাবার খাওয়া, কেননা উত্তর ভারতের খাবারের স্বাদ ও তেল দক্ষিণ ভারত থেকে ভিন্ন। আমাদের প্রত্যেকের পেটে অসুবিধা না হওয়ার জন্যে আমরা প্রত্যেক জাগায় কেরল হোটেলের সন্ধান লাগায়। আহরণের পরে আমাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল খাজা বাবা হজরত মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) এর মাজার শরীফ পরিদর্শন করা। কিন্তু তার পূর্বেই এক দুঃখের ঘটনা সামনে আসে, আমাদের এক সাথি পকেটমারের কাছে নিজের মোবাইল হারিয়ে ফেলে। এর দুঃখে আমার মনে দীর্ঘ আঘাত পৌঁছায়, কিন্তু যায় হোক সেটা তো ক্ষণস্থায়ী, আর মোবাইলও ফেরত পাওয়া যাবে না তাই আমরা নিজের গন্তবের দিকে পারি দেই। এই মুহূর্তে প্রথমবার খাজা সাহেবের মাজারের ভিতরে গিয়ে জিয়ারত করার তৌফিক পেলাম, দাঁড়িয়ে মোনাজাতও করলাম। সেখানকার কর্তৃপক্ষরা ভিতরে বেশিক্ষন দাঁড়াতে দেয় না তবুও আমরা আলিম বলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন দুআ করার সুযোগ পেলাম। বাইরে এসে মাওলিদ ও সূরা ইয়াসিন তিলায়াত করে আবার দুআ করলাম ও কিছু তিনার জীবনীর সম্পর্কে আলোচনা সংলাপ করা হল। এই মুহূর্তটি আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত বিবেচিত করা যায় কারণ এই রকম শান্তি আমি কখনও অনুভব করিনি।
পুস্কার মরুভূমি
পরের দিন অর্থাৎ ১৫ তারিখ সকালে আমরা যথাক্রমে রাজস্থানের মরুভূমির উট সাফারি, এবং রাজস্থানের বিখ্যাত কিষানগড়ঃ যেখানের সাদা মার্বেল পাথর সারা ভারতে বিখ্যাত, যা দেখলে একদম সুইজারল্যান্ড বরফের দেশের দৃশ্য অনুভাব হয়, ভ্রমণ করব। যাইহোক সবাই সকাল সকাল অটো ধরে পুষ্কর ডেজার্ট নামক জাগায় রওনা দিলাম, যা আজমির দরগাহ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে আবার আলাদা ঝামেলা। সেখানকার লোকদের বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। পর্যটকরা মুরুভুমি ঘুরবে বলে সেখানে যায় কিন্তু তারা শুধু সাধারণ রাস্তায় উটের গাড়িতে চাপিয়ে মরুভূমি না ঘুরিয়ে গ্রাম ঘুরায়। সেখানে উটের উপরে চেপে স্মরণীয় হিসেবে কিছু ছবি তুলে মোটামোটি দেড় ঘন্টার মধ্যে ফিরে এলাম। ফিরে এসেই সেখানকার কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে কিছুক্ষন ঝামেলায় পরি, যা অনিচ্ছাকৃতভাবে মারপিটের রুপ ধারণ করে। যায় হোক আমরা বেশি ঝামেলা না করে, পরবর্তী গন্তব্যের দিকে রওনা দিই। কিষানগড়ঃ ডাম্পিং ইয়ার্ডস। সেখানে কিছুক্ষন থেকে আজমীরের নিকটবর্তী আনা সাগর নামক স্থানের দিকে পারি দিই, আনা সাগর, খুব সুন্দর দৃশ্য, বৃহৎ রাস্তা আর এর মধ্যে এক বিশাল আকৃতির হ্রদ যা রকমারি লাইট দিয়ে সাজানো রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকিতিক সুন্দর্যের জন্য পরিচিত।
১৬ তারিখ সকাল সাড়ে চারটের সময় আমরা যাব আজমীর জংশন থেকে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর শহরে যা গোলাপি শহর নামে পরিচিত। যা মহারাজা সওয়াই জয় সিং ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত করেন। জয়পুর "দ্য পিঙ্ক সিটি" হিসাবে পরিচিত ১৮৭৬ সালে হয়ে ওঠে যখন মহারাজা রাম সিং ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার একটি সফরের প্রস্তুতির জন্য - আতিথেয়তা রঙ -গোলাপী রঙকে পছন্দ করেন। আজ, শহরটি তার বাজার, দুর্গ, মন্দির, প্রাসাদ এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জন্য পরিচিত। সেখানে আমরা স্টেশন থেকে বের হয়ে গাড়ি ভাড়া করে মোট ছয়টি জায়গা ভ্রমণ করলাম। প্রথমত গেলাম একটি যাদুঘর যা রয়্যাল অ্যালবার্ট মিউজিয়াম নামে পরিচিত, এটি রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় যাদুঘর। এটি রাজা আলবার্ট এডওয়ার্ডের নামে নামকরণ করা হয়েছিল, এই ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর ১৮৭৬ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন রাজা ও মহারাজাদের বিভিন্ন উপকরণ, আর্কিটেকচার ও যাবতীয় জিনিস গুলি সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে যা দেখে আলাদাই অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।
তার পরে চলে গেলাম হাওয়া মহল যা এক বিশাল আকারের মহল যা রাজারা গ্রীষ্মকাল অনুভব করার উদেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শেষে আমরা জল মহল ও আনবার কিলা বা ফোর্ট ভ্রমণ শেষ করে পুনরায় ঠিক রাত সাতটায় স্টেশনে পৌঁছায়।
আমাদের ট্রেন রাত ১টায় নির্ধারিত ছিল। তাই আমরা আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম, স্টেশনে পৌঁছেই ব্যাগগুলো ক্লক রুমে রেখে জয়পুর শহরের রাস্তার পাশের খাবারের স্বাদ নিতে বের হব। সবাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল, তবে দুঃখজনকভাবে বিশেষ কিছু আকর্ষণীয় খাবারের সন্ধান পেলাম না।
তবে আমরা চারজন—বিলাল, আসলাহ, আলী এবং আমি—বিরিয়ানি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং স্টেশনের কাছাকাছি একটি ঠেলাগাড়ির কাছে গেলাম। সেখানকার বিরিয়ানির বিক্রির পদ্ধতি আমার কাছে নতুন এবং বেশ অদ্ভুত মনে হলো। ঠিক যেমন পর্যটনস্থানে প্রবেশের জন্য টিকিট কেটে কয়েন দেওয়া হয়, তেমনই সেখানে লাইন দিয়ে টাকা পরিশোধ করে আমাদের চারজনকে চারটি কয়েন দেওয়া হলো।
আমি ভাবলাম, কী বিরিয়ানি, যার জন্য এত নিয়মকানুন! যাই হোক, কয়েন দিয়ে খাবার সংগ্রহ করলাম। বিনিময়ে পেলাম মাত্র একটি পোলট্রির মাংসের টুকরো এবং ৫০০ গ্রাম বিরিয়ানি। দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। মনে হলো, এই সামান্য বিরিয়ানির জন্য এত প্রক্রিয়া কেন?
তবু খাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু প্রথম লোকমাটি মুখে দেওয়ার পরই বুঝলাম, কেন এর জন্য এত নিয়মকানুন। এর স্বাদ এতটাই অসাধারণ ছিল যে সব হতাশা ভুলে গেলাম।
ভারতের রাজধানী দিল্লি
দিল্লি ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনে আমাদের পরিকল্পনা ছিল মুঘল স্থাপত্যের কিছু বিখ্যাত নিদর্শন ঘুরে দেখা। সকালে দিল্লির বাস ধরে সোজা পৌঁছে যাই হুমায়ুন টম্ব। এটি ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে, হুমায়ুনের মৃত্যুর নয় বছর পর তার বিধবা বেগম, হাজী বেগমের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়। টম্বটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো প্রাচীরঘেরা বাগান চত্বর (চাহারবাগ), যার মধ্যে আছে পথের পাশে জলের ক্যানেল। টম্বটি কেন্দ্রে অবস্থিত এবং ডবল গম্বুজ দ্বারা শীর্ষস্থ। প্রাচীর ঘেরের ভিতরে মুঘল শাসকদের বেশ কয়েকটি কবর রয়েছে। এখান থেকেই ১৮৫৭ সালে লেফটেন্যান্ট হাডসন শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে বন্দী করেছিলেন।
এরপর আমরা হুমায়ুন টম্বের কাছাকাছি অবস্থিত হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহঃ)-এর মাজার শরীফ পরিদর্শনে যাই। এই মাজারের গম্বুজটি সাদা রঙের এবং এর মূল কাঠামো ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ বিন তুঘলক নির্মাণ করেছিলেন। পরে ফিরুজ শাহ তুঘলক কাঠামোটির সংস্কার করেন এবং গম্বুজ থেকে সোনার কাপ ঝুলিয়ে দেন। হায়দ্রাবাদের পাইগাহ পরিবারের নবাব খুরশিদ জাহ কবরটির চারপাশে মার্বেল দিয়ে ঘিরে দেন। বর্তমানে দেখা যায় যে, গম্বুজটি ১৫৬২ সালে ফরিদুন খান দ্বারা নির্মিত। মাজার কমপ্লেক্সে প্রবেশের সময় দেখা যায় আমীর খসরু, জেহান আরা বেগম সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির সমাধি। এখানে প্রায় ৭০টিরও বেশি কবর রয়েছে।
মাজার শরীফে নাস্তা শেষে আমরা রওনা দিই দিল্লির বিখ্যাত লাল কিলার দিকে। টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করার পর দেখতে পেলাম, বাইরে থেকে যতটা আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল, ভেতরে তত কিছু দেখার নেই। শুধু আওরঙ্গজেবের মসজিদ ও বিশাল প্রাঙ্গণ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু চোখে পড়েনি। যদিও জাদুঘর ছিল, তবে সেটির জন্য আলাদা টিকিট কাটতে হতো। সময়ের অভাবে জাদুঘর দেখা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ ঘুরে আমরা আমাদের পরবর্তী গন্তব্যে রওনা দিই।
পরবর্তী গন্তব্য ছিল দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুদ্দিন আইবকের তৈরি কুতুব মিনার। এটি লাল কোটের ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছিল। কুতুব মিনার নির্মাণ শুরু হয় কুতুবুদ্দিন আইবকের আমলে, কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদের সম্পূর্ণ নির্মাণের পরে। পরে শামসুদ্দিন ইলতুমিশ এটি শেষ করেন। মিনারটি কুতুবুদ্দিন আইবকের নামে নামকরণ করা হলেও অনেকের মতে এটি খাজা কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকির নামেও হতে পারে, কারণ ইলতুমিশ তার ভক্ত ছিলেন।
এরপর আমরা কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে চলে যাই ইন্ডিয়া গেট, রাজ্যসভা, বিধানসভা, এবং রাষ্ট্রপতি ভবন দেখতে। এগুলোর ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় দূর থেকেই এগুলো দেখে দিল্লি ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটাই।