স্বদেশ প্রেম
ভূমিকা:- স্বদেশ কথাটির অর্থ হলো নিজের দেশ আর স্বদেশ প্রেম কথাটির অর্থ হলো নিজের দেশের প্রতি যে ভালোবাসা। অর্থৎ দেশের নাসরিক দেশের প্রকৃতি, ধর্ম, সংস্কতি দেশের ঐতিহ্য এর সমস্ত কিছুকে ভালোবাসলে তবেই সে দেশের প্রতি সম্মান এবং ভালোবাসা প্রকাশ পারে। আমরা আজ এই দেশে জন্মগ্রহন করি সেই দেশের প্রতি ছোটো থেকেই একটি কর্তব্য এবং দায়িত্ববোধ জন্মায় যা ধীরে ধীরে আমাদের বড়ো হওয়ার সাথে সাথে পালন করা অবশ্য করণীয় হয়ে ওঠে।
দেশ প্রেম:- আমাদের জন্ম দিয়েছেন যেই মা, সেই মাকে জন্মের পর থেকে আমরা যেমন ভালোবাসি স্নেহ করি শ্রদ্ধা করি সম্মান করি, ঠিক সেই ভাবেই নিজের দেশের প্রতিটা বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা উচিত সৎ এবং নিঃস্বার্থভাবে দেএশর প্রতি আমরা যে ভালোবাসা পোষণ করি তা হল দেশপ্রেম, নিজের দেশের প্রতি আমরা প্রত্যেকেই ধনী থাকি কারণ দেশ আমাদের জল, বায়ু, মাটি এ সমস্ত কিছু প্রদান করে। আমাদেরকে বেঁচে থাকার সাহায্য করে দেশের ভালো-মন্দ নিজের ভালো মন্দের সঙ্গে সর্বদাই জড়িত। দেশের ঐকিহ্য সংস্কৃতি রীতিনীতি সমস্ত কিছুকে সম্মান জানানো উচিত। নিজে সচেতন থেকে পাশের মানুষকে সচোতম করে আমরা দেশের সম্মান বৃদ্ধি করতে পারব। দেশের বিপদ সর্বদা নিজের বিপদ। দেশমাতৃকার যে কোনো কাজে আমরা আত্ম বলিদান করব। আমাদের ভারতবর্ষে নানা জাতি, নানা ধর্ম এবং নানা সভ্যতার মানুষের বসবাস প্রত্যেকে আলাদা হলেও তাদের মধ্যে বৈচিত্রগত ঐক্য রয়েছে অটুট। মানবের কাছে দেশের জন্য কোনো কাজ করা তার সৌভাগ্যের বিষয়।
বিপ্লবীদেশ দেশপ্রেম:- ব্রিটিশ সম্প্রদায় ভারতবর্ষে প্রায় ২০০ বছর শাসন করে গেছে। ভারতবর্ষে বিপ্লবীর দেশমাতৃকার এই পরাধীনতার জ্বালা সহ্য করতে পারেনি। তারা ইংরেজদের দেশ থেকে বিতাড়িত কর দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করেছে। তাদের দেশপ্রেম সত্যিই মনে রাখার মতো। নেতাজি, নজরুল, মাস্টারদা, সূর্যসেন, প্রফুল্ল চাকী, মহাত্মা গান্ধীর মতো দেশ প্রেমিক তৈরি করতে হলে ছাত্র জীবণ থেকেই তার অনুশীলন শুরু করতে হবে। দেশ প্রেমের মন্ত্রে তাকে দীক্ষিক করতে হবে। দেশ প্রেমর জাগরণ ঘটাতে হবে। শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ভাবলে চলবে না তার ভাবনা হবে জাতির উদ্দেশ্যে দেশের উদ্দেশ্য দশেএর উদ্দেশ্যে ।একজন সঠিক দেশপ্রেমিক যেটা জাতিকে পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে। আর যে জাতি স্বদেশকে ভালোবাসা সম্মান করে মর্যদা করে তার স্থান বিশ্বের সবার উপরে।
উরসংহার আত্মস্বার্থ ভুলে গিয়ে মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে তবেই একটা সুস্থ জাতি গড়ে উঠবে এবং সুস্থ জাতির মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হবে স্বদেশ প্রেমের চিন্তাধারা। উগ্র দেশপ্রেম বিপদের বাণী বয়ে নিয়ে আসে আর সে কারনেই দেশপ্রেমিককে হতে হবে উদার, সংকীর্ণতাহীন, মৈত্রী ও বন্ধুনে পরিপূর্ণ।