হযরত কুতুবুদ্দিন বাখতিয়ার কাকি রহমতুল্লাহ
হযরত কুতুবউদ্দিন বাখতিয়ার কাকি (রহঃ) এর আসোল নাম বখতিয়ার | তিনি কুতুবউদ্দিন উপাধি নামেই বিশেষ ভাবে পরিচিত ছিলেন | হযরত কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহ হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী আজমিরি রহমতুল্লাহ এর মুরিদ এবং হজরত শেখ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ গনজেশকর রহমতুল্লাহ মুরিদ ছিলেন, এবং তিনার যখন দুই বছর তখন তিনার পিতা ইন্তেকাল করেন।তিনার মা তিনাকে অনেক কষ্টে লালন পালন করেন । তিনি মাএ পাঁচ বছর বয়সে মাওলানা আবু হাফসের কাছে প্রথম শিক্ষা গ্রহণ করেন।এবং তিনি খাজা মইনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহ এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহ সতেরো বছর বয়সেই স্বীয় মুরশিদ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহ এর কাছে ইলমে মারিফাত এবং ইলমে তরীকত শিক্ষা লাভ করে তিনি তাঁর খিলাফাতের সনদ লাভ করেন। তিনি ছেলেবেলা থেকেই আল্লাহ এর ইবাদত করতেন কিন্তূ তিনি যখন বাইয়াত গ্রহণ করেন তারপর থেকে আরো বেশি নিমগ্ন হয়ে যান তিনি। তিনি নিজেই কোনো এক গ্ৰন্থ লিখেছেন যে একজন বুজুর্গ ব্যাক্তি ছিল যে এই বুজুর্গের খানকায় অনেক নজর নেওয়াজ।দিনে রাতে যা কিছু আসতো তা গরিব দুঃখীদের বিতরন করে দিতেন । আবার তিনি ভারতবর্ষেও আসেন । তিনি স্বীয় মুরশিদ হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী আজমিরির সঙ্গে আজমিরে কিছুদিন থাকেন । এবং তিনার আদেশে দিল্লি চলে আসেন। দিল্লির সফর কালে তিনি সুলতান যান এবং সেখানে বিখ্যাত ওলী শায়খ হযরত বাহাউদ্দিন ফাকারিয়া রহমতুল্লাহ এর সঙ্গে সাক্ষাত করেন । হযরত বাহাউদ্দিন ফাকারিয়া রহমতুল্লাহ তিনার অনেক আপ্যায়ন করেন এবং তিনার খিদমাতে লেগেযান। এবং শায়খুল ইসলাম জালাল উদ্দিন বোস্তামীর ইন্তেকালের তিনাকে সুলতানের পদে নিযুক্ত করেন।
-:: সুফী হযরত কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী::-
তারপর যখন হযরত বখতিয়ার ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তখন দিল্লির অধিবাসীগণ বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহ চলে যাওয়া দেখে নীরবে অশ্রু বিসর্জন করতে লাগল। হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী আজমিরি রহমতুল্লাহ দিল্লি বাসিদের এ অবস্থা স্বচক্ষে দেখে সারগেদ এর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বলেন "কুতুবউদ্দিন" তুমি এখানে থেকে যাও, লোকের মনে কষ্ট দেওয়া হবেনা , তারপর তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন দিল্লিতেই বসবাস করেন। এবং সুলতান আলতামাস তিনাকে অনেক ভক্তি ও শ্রদ্ধা করতেন । হযরত বখতিয়ারের এর প্রতি বাদশার আঘাত শ্রদ্ধা ছিল। তিনি কোন দিন কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য কখনো গ্রহণ করেননি তিনি অনেক সময় অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতেন। তার জন্য প্রতিদিন বহু নজর নেওয়াজ আসতো, তিনি নিজে ভোগ না করে অপরকে বিলিয়ে দিতেন , তিনি ছিলেন আল্লাহর অতি প্রিয় এক ওয়ালি বা সুফী। তিনি একটি মজলিসে আল্লাহর আজকের আলোচনা করতে করতে তিনি বেহুশ হয়ে পড়েন আর এই অবস্থাতেই তিনি ইন্তেকাল করেন।তাহলে দেখুন সত্যিই যারা সত্যি কারের আল্লাহর ওলী বা সুখী হয় তারাই তাদের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আল্লাহর জিকির জিকির করতে করতে ইন্তেকাল করে। তারপর তিনাকে সেই জায়গাটিতে দাফন করা হয় যেখানে তিনি চেয়েছিলেন । এবং তিনার শেষ ইচ্ছা আল্লাহ কবুল করেন। ট্রেনে যাওয়ার আগে কিছু উপদেশ দিয়ে গিয়েছিলেন সেটি হল।
(১)-ভাগ্যবান ব্যক্তি , যে দুনিয়ার পরিহার করে আখেরাতের মোহে মও থাকে।
(২)-পিছনে কারো কুৎসা রচনা করবে না। তা বড় পাপ গুলির মধ্যে একটি।
(৩)-অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া ঈমানের অংশ।
(৫)-আল্লাহকে পেতে হলে তাঁর রসূলকে পেতে হবে তবে তিনাকে পাওয়া সহজ হবে।