ইমাম নাওয়াবি (রহঃ)
ইমাম নাওয়াবি (রহঃ) ছিলেন সুফিদের মধ্যে একজন সুবিখ্যাত ব্যাক্তি ছিলেন। তিনার জন্ম ৬৩১ হিজরির মহরম মাসের ১-১০ তারিখ , মতান্তরে ১১-২০ তারিখের মধ্যে। তিনার প্রকৃত নাম মুহিউদ্দিন ইবনে শারাফুদ্দিন । তিনার পিতা শারাফুদ্দিন ইবনে মুরি (রহঃ) ছিলেন একজন বিখ্যাত সুফি , তার জন্যই তিনি তার ছেলে নাওয়াবি (রহঃ) কে অনেক ভালো ভালো বিষয়ের উপর শিক্ষা দিতেন । যখন নাওয়াবি (রহঃ)এর বয়স ১০ বছর , তখন সকলেই তার সিদ্ধান্তকে অলির সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করত ; কারন তিনার শিক্ষক তার ব্যাপারে বলেছেন যে “এই বালক তার সময় কালে সবচাইতে বড় আলিম হবে, তার সমকক্ষ কেউ থাকবেনা । লো্কেরা দলে দলে তার কাছে উপকার নেওয়ার জন্য আসবে”।
দে্মেস্ক ছিল সিরিয়ার রাজধানী । সেইসময়ে সেখানে বিখ্যাত আলিমদের বস্তি ছিলো । তারা সকলকে দীনি পথে আসার জন্য আল্লাহর ভৃতি প্রদর্শন করত ও ইসলামি প্রয়াস ও প্রসারের জন্য সকলকে শিক্ষা প্রদান করতেন । তার জন্য শারাফুদ্দিন ইবনে মুরি (রহঃ) তার ছেলে নাওয়াবিকে একজন ভালো ও সুবিখ্যাত আলিম করার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন । এবং ৬৪৯ হিজরিতে ইমাম নাওয়াবিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হই । তখন তার বয়স ১৮ বছর । দামস্কে পৌঁছানোর পর তিনি কয়েকজন আলি্মের সাথে সাক্ষাত করতে থাকেন , এবং তাদের সহচার্যে থেকে শিক্ষা লাভ করতে থাকেন । এবং দেখতে দেখতে সে অনেক বড় ফকিহ ও মুহাদ্দিস হয়ে গেলো । তার পরে তিনি চিকিৎসা বিদ্যার জ্ঞান কিছু অর্জন করেছিলেন । বর্তমানে দেখা যায় যে কমবেশী ঔষধে হারাম দ্রব্য মেশানো হয় , কিন্তু হজরত ইমাম নাওয়াবি (রহঃ) এর ঔষধে কোনো্রকম হারাম দ্রব্য মেশানো হতনা । এর কিছুদিন পর তিনার মন চিকিৎসা সম্পর্কে আর অধিক পড়বার জন্য অনেক উৎসাহিত ও উদগ্রিব হয়ে উঠেছিলেন । তার জন্য সে বিখ্যাত চিকিৎসক ইবনে সিনার লেখা “ কানুন ’’ বই ক্রয় করলেন । এবং সেটা পড়াতে তার মন প্রান ডুবিয়ে দিলো । কিন্তু হাই হাই ! একি তার অন্তর একেবারে অন্ধকার হয়ে গেছে । কোনো্রকম বিষয়ে তার মন বসেনা । এইরকম অবস্থা হওয়ার কারনে সে ভাবতে থাকে “আমার এই রকম অসুখ হলো কি করে ?” যখন তিনি এইভাবে সাত পাঁচ ভাবছিলেন , তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে ইলহাম দিলো “তোমার এই অসুখের কারন তুমি তোমার মন প্রানকে চিকিৎসা সম্পর্কে পড়বার জন্য ডুবিয়ে দিয়েছ।
ইলহাম পাওয়া মাত্র তার কাছে যত চিকিৎসার বই ছিলো সব বাজারে বিক্রয় করে দিলেন , এবং আল্লাহ তায়ালার পথে নিজেকে বিলিয়ে দি্লেন , পরে তিনি বহু ইসলামিক বই অধ্যায়ন করেছিলেন , যার ব্যাক্ষা লিখে শেষ করা যাইনা । ৬৫১ হিজরিতে মুরি (রহঃ) নাওয়াবি (রহঃ) কে নিয়ে মক্কা শরিফে হজ্জ করতে যান । এবং হজ্জ সম্পুর্ণ করার পর তিনি বলতে থাকেন “সমুদ্রে জল যত আছে তার চেয়েও অধিক বেশি আমার ছেলেকে আল্লাহ তায়ালা জ্ঞান দান করেছেন” । এরপর মুরি (রহঃ) তার ছেলেকে জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতে কাটানো্র জন্য শেখ ইয়াসিন ইউসুফ মারাকাশির সহচার্যে রেখে আসেন । দামেস্ক শহর ইমাম নাওয়াবি (রহঃ) এর সেখানে শিক্ষা দানে ও শিক্ষা উপার্জন করাতে অনেক প্রসিদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন । কেননা তিনি ছিলেন একজন মুত্তাকি , ফকিহ , মুহাদ্দিস ও আল্লাহ তায়ালার প্রিয়তমদের মধ্যে একজন । তিনি কোনোদিন পেটপুরে আহার করতেননা ও সর্ব অবস্থাতেই আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন ।তিনার এই গুনাবলির সাথে সাথে অনেক ভালো ভালো বই লিখতেন , যা চিরকাল সকলের উপকারি বন্ধু হিসাবে চলে আসছে । তিনার প্রসিদ্ধ বই গুলি ; শারাহাল মুসলিম , আররাওযা , আলমিনহাজ , আল আযকার , আত্তাবিয়ান , আত্তাহরির , আলইরশাদ ,আত্তাকরিব , বুস্তানুল আরিফ , দাকায়িকুল মিনহাজ ও আররাওযা ইত্যাদি,,,,। এই এত বড় আলিম যিনি প্রত্যেক বিষয়ে পারদর্সী ছিলেন তিনিও তার শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিলেন । তিনি ৬৭৬ হিজরিতে ইহকাল থেকে পরলো্ক গমন করেন ।
দে্মেস্ক ছিল সিরিয়ার রাজধানী । সেইসময়ে সেখানে বিখ্যাত আলিমদের বস্তি ছিলো । তারা সকলকে দীনি পথে আসার জন্য আল্লাহর ভৃতি প্রদর্শন করত ও ইসলামি প্রয়াস ও প্রসারের জন্য সকলকে শিক্ষা প্রদান করতেন । তার জন্য শারাফুদ্দিন ইবনে মুরি (রহঃ) তার ছেলে নাওয়াবিকে একজন ভালো ও সুবিখ্যাত আলিম করার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন । এবং ৬৪৯ হিজরিতে ইমাম নাওয়াবিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হই । তখন তার বয়স ১৮ বছর । দামস্কে পৌঁছানোর পর তিনি কয়েকজন আলি্মের সাথে সাক্ষাত করতে থাকেন , এবং তাদের সহচার্যে থেকে শিক্ষা লাভ করতে থাকেন । এবং দেখতে দেখতে সে অনেক বড় ফকিহ ও মুহাদ্দিস হয়ে গেলো । তার পরে তিনি চিকিৎসা বিদ্যার জ্ঞান কিছু অর্জন করেছিলেন । বর্তমানে দেখা যায় যে কমবেশী ঔষধে হারাম দ্রব্য মেশানো হয় , কিন্তু হজরত ইমাম নাওয়াবি (রহঃ) এর ঔষধে কোনো্রকম হারাম দ্রব্য মেশানো হতনা । এর কিছুদিন পর তিনার মন চিকিৎসা সম্পর্কে আর অধিক পড়বার জন্য অনেক উৎসাহিত ও উদগ্রিব হয়ে উঠেছিলেন । তার জন্য সে বিখ্যাত চিকিৎসক ইবনে সিনার লেখা “ কানুন ’’ বই ক্রয় করলেন । এবং সেটা পড়াতে তার মন প্রান ডুবিয়ে দিলো । কিন্তু হাই হাই ! একি তার অন্তর একেবারে অন্ধকার হয়ে গেছে । কোনো্রকম বিষয়ে তার মন বসেনা । এইরকম অবস্থা হওয়ার কারনে সে ভাবতে থাকে “আমার এই রকম অসুখ হলো কি করে ?” যখন তিনি এইভাবে সাত পাঁচ ভাবছিলেন , তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে ইলহাম দিলো “তোমার এই অসুখের কারন তুমি তোমার মন প্রানকে চিকিৎসা সম্পর্কে পড়বার জন্য ডুবিয়ে দিয়েছ।
ইলহাম পাওয়া মাত্র তার কাছে যত চিকিৎসার বই ছিলো সব বাজারে বিক্রয় করে দিলেন , এবং আল্লাহ তায়ালার পথে নিজেকে বিলিয়ে দি্লেন , পরে তিনি বহু ইসলামিক বই অধ্যায়ন করেছিলেন , যার ব্যাক্ষা লিখে শেষ করা যাইনা । ৬৫১ হিজরিতে মুরি (রহঃ) নাওয়াবি (রহঃ) কে নিয়ে মক্কা শরিফে হজ্জ করতে যান । এবং হজ্জ সম্পুর্ণ করার পর তিনি বলতে থাকেন “সমুদ্রে জল যত আছে তার চেয়েও অধিক বেশি আমার ছেলেকে আল্লাহ তায়ালা জ্ঞান দান করেছেন” । এরপর মুরি (রহঃ) তার ছেলেকে জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতে কাটানো্র জন্য শেখ ইয়াসিন ইউসুফ মারাকাশির সহচার্যে রেখে আসেন । দামেস্ক শহর ইমাম নাওয়াবি (রহঃ) এর সেখানে শিক্ষা দানে ও শিক্ষা উপার্জন করাতে অনেক প্রসিদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন । কেননা তিনি ছিলেন একজন মুত্তাকি , ফকিহ , মুহাদ্দিস ও আল্লাহ তায়ালার প্রিয়তমদের মধ্যে একজন । তিনি কোনোদিন পেটপুরে আহার করতেননা ও সর্ব অবস্থাতেই আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন ।তিনার এই গুনাবলির সাথে সাথে অনেক ভালো ভালো বই লিখতেন , যা চিরকাল সকলের উপকারি বন্ধু হিসাবে চলে আসছে । তিনার প্রসিদ্ধ বই গুলি ; শারাহাল মুসলিম , আররাওযা , আলমিনহাজ , আল আযকার , আত্তাবিয়ান , আত্তাহরির , আলইরশাদ ,আত্তাকরিব , বুস্তানুল আরিফ , দাকায়িকুল মিনহাজ ও আররাওযা ইত্যাদি,,,,। এই এত বড় আলিম যিনি প্রত্যেক বিষয়ে পারদর্সী ছিলেন তিনিও তার শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিলেন । তিনি ৬৭৬ হিজরিতে ইহকাল থেকে পরলো্ক গমন করেন ।