হরিণ ও বাঁদর।
আমি তোমাদের একটি গল্প বলবো ।সেই গল্পটা হচ্ছে একটা হরিণ ও বাঁদরের। তাদের দেখা হয়েছিল একটা জঙ্গলে। সেই জঙ্গল টাই একটি বাঁদর থাকতো। একদিন হরিণ যে জঙ্গলে থাকতো সেই জঙ্গলে খাবার ও জলের খুব অসুবিধা হতো,। সেই জন্য হরিণ অন্য একটি জঙ্গলে চলে গেল। তারপর সে জঙ্গলে পৌঁছে গেল। সে জঙ্গলে গিয়ে খুবই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই হরিণ একটা গাছের নিচে বিশ্রাম নিল। আর ওই গাছটাতেই বাঁদর বসে কলা খাচ্ছিল। তারপর যখন হরিণটার ঘুম ভাঙলো তখন সে গাছের ওপরে তাকিয়ে দেখল একটা বাদর সেই গাছেই বসে কলা খাচ্ছে। হঠাৎ বাঁদর টাও দেখল হরিণ কে। তারপরে বাঁদর নিচে নেমে এলো তারপর বাঁদর হরিণকে জিজ্ঞেস করল তুমি কে? হরিণ বলল আমি চুলবুল। তারপর হরিণ ও বাঁদর কে জিজ্ঞেস করলো তুমি কে? বাঁদর বলল আমি রক্তমুখ। বাঁদর হরিণ কে জিজ্ঞেস করল চুলবুল তুমি কোথায় থাকো? এর আগে তো তোমাকে এই জঙ্গলে দেখিনি। হরিণ বলল আমি এই জঙ্গলে থাকি না নতুন এসেছি ।এই জঙ্গলের আগে আমি এর পাশের জঙ্গলে থাকতাম তারপর হরিণ রক্ত মুখকে জিজ্ঞেস করল তুমি কোথায় থাকো? বাঁদর বলল আমি এই কাছেই থাকি। তারপর হরিণ বাঁদর কে বলল রক্ত মুখ তুমি কি আমাকে এই গাছের নিচে থাকতে দেবে ।বলল হ্যাঁ নিশ্চয়ই তুমি আমার সঙ্গে থাকতে পারো। এমনিতেও আমি এই গাছে একাই থাকি তুমি আমার সঙ্গে থাকলে ভালই হবে। তুমি আমার সঙ্গেই থাকবে ।তারপর তারা একসঙ্গে থাকার অনেকদিন পর তাদের দুজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। তার কিছুদিন পর বাঁদর হরিণ দুজনে একসঙ্গে জঙ্গলে ঘুরছিল ।হঠাৎ তারা দুজনে আমের চারা গাছ দেখল ।আর সেই কাজটা শুকিয়ে যাচ্ছিল পানির অভাবে ।তারপর বাঁদর ও হরিণ সেই গাছটাকে খুব যত্ন করলো ।এবং পানি দিল। তারপর সেই গাছ আস্তে আস্তে জীবিত হয়ে গেল। আর কয়েক বছর পর সেই গাছ টা অনেক বড় হয়ে গেল। এবং সেই গাছে অনেক মিষ্টি আমও ধরেছে। তারপর সেই গাছের আমগুলো পেড়ে নিল। তারপর সেই মিষ্টি আমগুলো বাঁদর ও হরিণ খুব মজা করে খেলো।।