দুই বোনের গল্প
এক গ্রামে এ দুই মেয়ে থাকতো তারা খুব ভালো বান্ধবী ছিল তারা সব কাজ এক সাথে কর্ত বলতে গেলে তারা খুব ভালো বান্ধবী ছিল দেখে লাগতো দুই বোন এর মতো। তাদের নাম নেহা আর কেয়া ,-- (কিন্তূ ধর্ম গত সমস্যা দিয়ে যে একজন হিন্দু আর অন্যজন মুসলিম ছিলো)
লোকে অনেকেই অনেক কিছু বলত তাদের তবুও ওরা কিছু মনে করতো না কিন্তু একদিন নেহা কি যেনো করছিলো তখন কেয়া বললেন তুমি কি করছো এয় সব ?
নেহা কিছু ক্ষন পর বলছে আমি নামাজ পড়ছিলাম ..... এটি আমাদের ইসলাম ধর্মের আরকান আমাদের আরকান ৫টি যেমন:- নামাজ ,রোজা, হজ, যাকাত, কালমা --- যখন কেউ বালিগ হয়ে যাই তখন ফরজ হয় নামাজ পড়লে অনেক শান্তি পাওয়া যায় নামাজ না পড়লে মনে হয় মাথার উপর কত বোঝ চেপে আছে । তৎক্ষণাৎ নেহার মা এলো এবং খেতে তাকলো,কেয়া একটা জিনিষ লক্ষ করল নেহার মা যেনো কি দিয়ে রেখে ছে মাথায় সে জিজ্ঞেস করলো কি এইটা,নেহার মা বললো হিজাব আমরা সবাই পরি সে আর কিছু না বলে খাওয়া শেষ করলো ---- এবং তারা স্কুল এ চলে গেলো ।
  
স্কুলে তাদের দুই জনকে দেখে সবাই হিংসা করতো কারণ তারা খুব ভালো বান্ধবী ছিল লেখা পড়াও ভালো ভাবেই করতো..... তাদের ম্যাম ও সার তাদের ভালো ব্যাস্ত
তাদের দেখেমনেই হতো না যে তারা আলাদা আলাদা ধর্মের ।একদিন বাড়ী ফিরবার পথে কেয়া , নেহাকে বললো আজ আমি তোমাদের বাড়ি যাবো তখন নেহা বললো ঠিক আছে চলো,নেহার বাড়ী গেলো এবং তাদের বাড়িতে দুই জনে গোসল করলো এবার যখন নেহা নামাজ পড়বে তখন সে কেয়া কে বললো তুমি এ খানে বসো আমি নামাজ পরে আসছি নেহা নামাজ পড়ছিল কেয়া বসে মনোযোগ দিয়ে তাকে দেখছিল ......
কেয়া তখন ভাবতে লাগলো আমি ও যদি পড়তাম কিন্তু সেতো জানে কখনোই সম্ভব না কারণ তারাতো হিন্দু সে যদি বাড়িতে বলি তো কামন হবে , কেয়ার ভাবতে ভাবতে ওর নামাজ পড়া হয়ে গেলো । আর কিছু না বলে বাড়ি চলে গেলো , এই ভাবে দিন কাটতে লাগলো কেয়া মনে করলো যে সে ও নেহার মত নামাজ পড়বো সে এইটা খুব চিন্তায় ছিল এমন সময় সে ভাবলো মা কে একবার বলেই দেখি কি বলে । সে যখন তার মা কে ভয় ভয় করে বললো মা আমার মুসলিম হবো , তখন তার মা চিৎকার করে উঠলো এবং বললো তুমি একজন ব্রাম্ভন পরিবারের তুমি হিন্দু তুমি নামাজ পড়বে কি ভাবে লোকে জানলে কি বলবে 'ছি ' তাহলে আমি করবো ইসলাম গ্রহণ তার পর তার মা ওকে মারলো নিয়ে মেয়েটার খুব মন খারাপ। পরের দিন সে স্কুল গিয়ে সব বললো নেহাকে এবং জানতে চাইলো কি ভাবে ইসলাম গ্রহণ করা যায় তার জন্য কি কি করতে হয় । তখন নেহা বললো বেশি কিছু না শুধু মালমা পড়তে হবে ,কিন্তু তুমি পুজো করতে পারবে না প্রসাদ খেতে পারো কিছু হবে না কিন্তু পর্দা করতে হবে নামাজ পড়তে হবে রোজা রাখতে হবে আর আমাদের প্রিয় ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর উপর দরুদ পড়তে হবে । বাস এ টাই, হ্যাঁ এতটা মানলেই চলবে , তারপর কেয়া ইসলাম গ্রহণ করলো...
সে লুকিয়ে লুকিয়ে আল্লাহর ইবাদত করতো ।সে হিন্দু ধর্মের কিছুই পালন করতো না এমন কি সে তার বাড়িতে থাকা মূর্তি গুলোর কাছে যেত না ,তার অন্য রকম ব্যাবহার দেখে ওর মা সন্ধেও করতে লাগলো তার মা নজর রাখতে লাগলো তার উপর । কিছু দিন পর ওর মা বুঝতে পারলো যে কেয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।তখন তার মেয়ে কে অনেক মারলো বোকল একটা ঘরে বন্দি করে রাখলো পরের দিন স্কুল না আসায় নেহা চিন্তা করতে লাগলো । দুই তিন দিন কেটে গেল খোঁজ পাওয়া যায়না স্কুল ও তো আসে না খুব চিন্তায় পরে গেলো সে ঠিক করলো তাদের বাড়ি যাবো কেয়ার মা নেহা কে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া ত দূরে থাক কথা পর্যন্ত বলে নি ,নেহা বেচারি কি করবে সে চলে গেল মন খারাপ করে আর এ দিকে কেয়া ভাবছে তাকে যদি মেরে ফেলে দেই তবুও সে হিন্দু হবে না একবার যখন মুসলিম হয়ে ছি। তাই সে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে থাকতে লাগলো দিনের পর দিন চলে যায় তবুও তার সিদ্ধান্ত চেঞ্জ হয়না তখন সে তার মা কে বলে তুমি একবার মুসলিম দের মত কুরআন আর নামাজ পরো শুধু ৪০ দিন যায় যদি তোমার মধ্যে কিছু পরিবর্তন না আসে তামিও হিন্দু হবে এবং তার মা সেটা মেনে নিল ভাবলো ৪০দিন এর ত ব্যাপার তার মা ইসলাম এর ব্যাপারে সব বুঝতে পারলো কুরআন পড়তে লাগলো ৪০দিন পর কেয়া বললো চলো মা হিন্দু হয়ে যায় তখন তার মা বললো আমি এত শান্তি কনও দিন পায়নি যেটা কুরআন পড়ে পেয়ে ছি নামাজ পড়ে নিজে কে হালকা অনুসভ করে ছি আমি আর হিন্দু হবো না এবং কেয়ে ও নেহার কাছে অনেক ক্ষমা চাই । এই ভাবে দুটো পরি বার এক সাথে থাকতে লাগলো 
মানুষ চাইলে কি না করতে পারে একটা মেয়ে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়ে গেলো কিন্তু আমরা মুসলিম হয়ে কোনো নামাজ পড়িনা গরীব দের দান করি না কোনো না আমাদের মধ্যে মানবতা নেই / বন্ধুত্ব একটা পবিত্র জিনিস তাই ত কেয়া ও নেহা কখনো আলাদা হবার কথা ভেবে নি 

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter