গির্জা মসজিদে রূপান্তর, যেভাবে ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে
সারা বিশ্বব্যাপী যখন ইসলাম বিরোধীগোষ্ঠী ও পশ্চিমারা বিভিন্ন দিক দিয়ে ইসলামকে বদনাম করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কখনো ইসলামওফোবিয়া তো কখনো মুসলিম জাতি জঙ্গির তকমা দিয়ে ইসলামকে বদনাম করার চক্রান্ত করছে। সেই সময় অন্যদিকে ইসলাম হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। শিল্পী থেকে ব্যবসায়ী,পণ্ডিত থেকে গির্জার ফাদার এক এক করে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছেন।
এক উর্দূ কবিতায় কবি কতই না সুন্দর বলেছেন:
“ইসলাম কি ফিতরাত মে কুদরাত নে লাচাক দি হে,
এ ইতনাহি উভ্রেগা জিতনাকি দাবাওগে।”
যার বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় যে, প্রভু ইসলামে এমন নমনীয়তা দিয়েছেন, যে তুমি যতোই না তাকে চাপ দাও সে আরও উদ্ভাসিত হবে। ইসলামের আলো চাইলে নিভাতে তা আরও তার বিপরীতকে অনুসরণ করে উজ্জলিত হবে। ইতিহাস সাক্ষী আছে আজ নয় প্রায় হাজার বছর ধরে ইসলাম বিরোধী পশ্চিমারা ইসলামকে সারা বিশ্বের সামনে বদনাম করতে হাজার ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আর আজ সেই ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হয়ে একে একে ধেয়ে আসছে। কেও তো ইসলামের সরলতা বা কুরআনের সরলতা দেখে এগিয়ে আসছে ইসলামের দিকে কেও আবার মুগ্ধ হচ্ছে কুরআনের সরলতা ও সহজসাধ্য দেখে। ইউরোপ থেকে আমেরিকার দেশগুলি আকৃষ্ট হচ্ছে ইসলামের দিকে আর ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু বছর ধরে ইসলাম হয়ে আসছে এক প্রিয় ধর্ম আর গ্রহণ করছে পপ সংগীত শিল্পী থেকে অনেকজন।
যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামের ইতিহাস
নতুন বিশ্বের মুসলমানদের প্রাথমিক ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইতিহাসবিদরা যুক্তি দেখান যে মুসলিমরা প্রথম ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে বর্তমান আমেরিকার নিউ মেক্সিকো এবং অ্যারিজোনায় এসেছিল। সমস্ত বিশ্লেষক একমত যে প্রথম অভিবাসন আফ্রিকান ক্রীতদাসদের মাধ্যমে হয়েছিল।উত্তর আমেরিকায় ইসলামের সম্ভাব্য উপস্থিতির প্রথম দিকের বিবরণগুলির মধ্যে একটি ১৫২৮ সালের, যখন মুস্তাফা আজেম্মৌরি নামে একজন মরোক্কোর ক্রীতদাস টেক্সাসের বর্তমান গ্যালভেস্টনের কাছে জাহাজডুবি হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি এবং তিনজন স্প্যানিশ জীবিত মেক্সিকো সিটিতে পৌঁছানোর আগে আমেরিকান দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মেক্সিকোর অভ্যন্তরের বেশিরভাগ অংশ ভ্রমণ করেছিলেন। তারপর কিছু বিপ্লব নিয়েও বলা হয় যে আমেরিকান বিপ্লব যুদ্ধের রেকর্ড থেকে জানা যায় যে অন্তত কয়েকজন সম্ভাব্য মুসলমান আমেরিকার পক্ষে লড়াই করেছিল। আমেরিকান সৈন্যদের রেকর্ড করা নামগুলির মধ্যে রয়েছে "ইউসুফ বেন আলি" (দক্ষিণ ক্যারোলিনা তুর্কি সম্প্রদায়ের সদস্য), "বামপেট মুহামেদ" এবং সম্ভবত পিটার সালেম।
বিলালি "বেন আলী" মুহাম্মদ বর্তমান গিনি-কোনাক্রির ফুতা-জালনের টিম্বোর একজন ফুলা মুসলিম ছিলেন, যিনি ১৮০৩ সালে সাপেলো দ্বীপে এসেছিলেন। দাস ত্বরান্বিত থাকাকালীন তিনি ধর্মীয় নেতা এবং ইমাম হন একটি ক্রীতদাস সম্প্রদায়ের জন্য যার প্রায় আশি জন মুসলিম পুরুষ তার বাগানে বাস করে। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ এবং তার নেতৃত্বে আশি জন মুসলিম পুরুষ তাদের মাস্টারের সাপেলো দ্বীপের সম্পত্তিকে ব্রিটিশ আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। জানা যায়, তিনি রমজান মাসে রোজা রাখেন, ফেজ ও কাফতান পরিধান করেন এবং পাঁচটি ওয়াক্ত ফরজ নামায ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করার পাশাপাশি মুসলিম ভোজ পালন করেন। ১৮২৯ সালে বিলালি ইসলামিক বিশ্বাস এবং অযুর নিয়ম, ফজরের নামাজ এবং প্রার্থনার আহ্বানের উপর তেরো পৃষ্ঠার আরবি রিসালা রচনা করেন। “বিলালি ডকুমেন্ট” নামে পরিচিত, এটি বর্তমানে এথেন্সের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এই রকমই ধীরে ইসলাম হয়ে উঠেছে তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল ধর্ম।
মুসলিম জনসংখ্যা ও বৃদ্ধির ভবিষ্যৎবাণী
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতাংশের পরিমাপে দেখতে গেলে খ্রীষ্টান ধর্ম ৬৩% শতাংশ , ইহুদি ধর্ম ২% শতাংশ আর ইসলাম ধর্ম ১.৩% শতাংশ। কিন্তু সম্প্রতি এক রিপোর্ট অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে খ্রিস্টানদের পরে মুসলমানরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৪৫ মিলিয়ন মুসলিম বসবাস করে যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.১ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে, পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে।
বর্তমানে, দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে ইহুদি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মুসলমানদের চেয়ে বেশি তবে এটি ২০৪০ সালের মধ্যে পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হচ্ছে কারণ "মার্কিন মুসলিম জনসংখ্যা দেশটির ইহুদি জনসংখ্যার তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাবে", রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকান মুসলমান ২০৫০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৮.১ মিলিয়ন বা ২.১ শতাংশ হবে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ১০০,০০০ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ মুসলমানদের অভিবাসন এবং মুসলিম আমেরিকানদের মধ্যে উচ্চ প্রজনন হারের কারণে, পিউ সেন্টার তার জনসংখ্যাগত এবং জরিপ গবেষণার সময় খুঁজে পেয়েছে। "মুসলিম আমেরিকান জনসংখ্যার আকার সম্পর্কে আমাদের প্রথম অনুমান [২০০৭] থেকে, মার্কিন মুসলিমদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে," এটি বলে। জনসংখ্যার প্রায় ৭১ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে খ্রিস্টধর্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ধর্ম ।
ইসলামে ধর্মান্তর
ইসলামের বৃদ্ধির কারণ হতে পারে বিভিন্ন দিক যেমন বংশবৃদ্ধি,স্থানান্তর ও ধর্মান্তর। ধর্মান্তর যেটি বর্তমান যুগে প্রধান একটি ইসলামের বৃদ্ধির কারণ যার ফলে দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহন করছেন।আর সেটি না কোনো বাধ্যতার চাপে বরং ভালোবাসা দিয়ে আর ইসলামকে পথ সঠিক ভেবে আকৃষ্ট হওয়ায়।
মোহাম্মদ আলেকজান্ডার রাসেল ওয়েব একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম, যিনি ১৮৯৩ সালে ম্যানহাটনে একটি মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার দ্বারা কিছু প্রাথমিক ইসলামী মিশনারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল; যদিও তহবিলের অভাবে এটি বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। ১৯১০-১৯১২ থেকে, ইনায়াত খান ইসলাম প্রচারের জন্য আমেরিকার প্রধান শহরগুলি ভ্রমণ করেন; তিনি প্রচুর দর্শককে আকৃষ্ট করেছিলেন যদিও অনেক ধর্মান্তরিত হয়নি। আমেরিকানদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ক্ষেত্রে আরও সফল ছিলেন মুফতি মুহাম্মদ সাদিক, যিনি ১৯২০ সালে শিকাগোতে একটি মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধর্মান্তরিত সাদিক আফ্রিকান আমেরিকান হতে আকৃষ্ট হয়েছিল। এর পরপরই আদিবাসী আফ্রিকান-আমেরিকান মুসলিম গোষ্ঠী গঠন করা শুরু হয়: ১৯২৫ সালে শিকাগোতে মুরিশ বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩০ সালে নেশন অফ ইসলাম গঠিত হয়।
২০১৩ সালে বিশ্ব বিখ্যাত মার্কিন সংগীত শিল্পী জেনিফার গ্রাউট ইসলাম গ্রহণ করেন।এছাড়া আরো অনেক জন আছেন যারা ইসলামকে স্বইচ্ছায় গ্রহণ করেন। আর এই ভাবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ইসলামী দাওয়াতী দলগুলির প্রচেষ্টায় আমেরিকায় ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে।
মসজিদে রূপান্তর
যেখানে ইসলামের প্রতি ধর্মান্তর ঘটেছে সেখানে উপাসণালয়ও মসজিদে রূপান্তর হয়েছে। আর তার উদাহরণ স্বরূপ ভারতের অনেক মন্দির মসজিদে রূপান্তর আর ইস্তানবুলের হাগিয়া সোফিয়া পূর্ববর্তী গির্জা মসজিদে রূপান্তর। সেই রূপ আমেরিকাতেও অনেক গির্জা রূপান্তর হয়েছে আল্লাহর মসজিদে।
নিউ ইয়র্ক সিটি
নিউ ইয়র্ক সিটির সবচেয়ে সাদা আশেপাশের একটিতে , একটি প্রাক্তন গির্জা দাঁড়িয়ে আছে যা প্রায় এক দশক ধরে পরিত্যক্ত ছিল। উপাসনালয়টি একটি পশুর আবাসস্থলে পরিণত হয়েছিল, যেখানে র্যাকুনরা ভেলা থেকে লাফিয়ে উঠছিল, পাখিরা সুবিধার ভিতরে ও বাইরে উড়ে বেড়ায় ।
এক সময় সুন্দর সেন্ট জন'স এপিস্কোপাল চার্চটি চোখের মণিতে পরিণত হয়েছিল এবং বাজারে থাকাকালীন আট বছর ধরে এটি এমনই ছিল। এটি বিক্রির জন্য যাওয়ার আগে, চার্চটি অবিচ্ছিন্নভাবে সদস্যদের হারাতে থাকে। তবুও যখন বে রিজের ব্রুকলিন আশেপাশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় সঙ্কুচিত হচ্ছিল, তখন এর আরব এবং মুসলিম সংখ্যা বেড়েই চলেছে ।
তাই ২০২০ সালে, মুসলমানদের একটি দল একত্রিত হয়েছিল, $2.6 মিলিয়ন সংগ্রহ করেছিল এবং গির্জাটি কিনেছিল। স্থানীয় কমিউনিটি বোর্ড গ্রুপটিকে ৯৮ শতাংশ অনুমোদনের রেটিং দিয়েছে এবং সম্প্রদায় তাদের স্বাগত জানিয়েছে। তিন বছর পরে, বাইরের সম্মুখভাগ একই রয়ে গেলেও ভেতরটা বদলে গেছে।
যেটা একসময় গির্জা ছিল সেখানে চলে যান এবং বাম দিকে যান, এবং আপনার দেখা মিলবে মক্কার দিকে মুখ করে সারি সারি প্রার্থনা মাদুর। কক্ষের সামনে একটি মিম্বর অবস্থিত, যেখানে একজন যুবক ইমামের সামনে কুরআন তেলাওয়াত করছিলেন।
ওয়াশিংটন সিটি
ধর্ম উপাসণালয় যেটা নিয়ে ধর্মগুলি একে অপরের সাথে প্রায়শই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, ওয়াশিংটন ডিসির একটি উপাসনালয় ঐক্কতার ঠিকানা হিসাবে দাঁড়িয়েছে৷ প্রতি শুক্রবার একটি ঐতিহাসিক গির্জার অভ্যন্তরে, প্রার্থনার আহ্বান হয় -- খ্রিস্টান আইকন দ্বারা বেষ্টিত শত শত মুসলমান সাড়া দিয়ে হাজির হন। দুই ধর্ম একই জায়গা ভাগ করে নেয়। ফারুক সৈয়দ এই জুমার নামাজের আয়োজন করে আসছেন যখন থেকে চার্চ অফ দ্য এপিফেনি সেই মুসলিম বিশ্বস্তদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল যাদের উপাসনার জন্য একটি জায়গার প্রয়োজন ছিল আট বছর আগে।
"এটা শুরু হয় মানুষ একে অপরকে বোঝার মাধ্যমে," সৈয়দ সিবিএস নিউজকে বলেন। "এবং তারপরে এটি একে অপরকে বোঝার ধর্মে বৃদ্ধি পায়।" ৫০ জন নিয়ে নামাজ শুরু হয়। এখন সেখানে ৩০০ জনেরও বেশি যারা প্রতি সপ্তাহে গির্জায় নামাজের জন্য হাজির হন।
দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা ব্যাপারটির সম্পর্কে বলে: "শত শত মুসলমান মেঝেতে কার্পেট বিছিয়ে নিজেদেরকে (সুজূদ) মক্কায় সেজদা করে। জামাতের নামাজে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং এফবিআই, স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমলা এবং বিচার বিভাগের আইনজীবীদের একটি দল অন্তর্ভুক্ত থাকে। ইমাম ট্রেজারি বিভাগের একজন কর্মকর্তা।" আর এইভাবে একটি চার্চ বা গির্জা হয়ে উঠেছে মসজিদে।
উপসংহার
প্রাচীন যুগে এক ধর্ম ও তার বৃদ্ধির কারণ বলা হতো তলোয়ারের ভয়ে বাধ্য হয়ে ধর্মান্তর হয়েছিল। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে দেখতে গেলে শুধু যুদ্ধ বা তলোয়ারের ভয়ে ইসলামকে আপন ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেনি বরং ভালোবাসা আর সত্যতাকে জানার পর আর ইসলাম ধর্মের মধ্যে সমতায় আকৃষ্ট হয়ে ইসলামকে স্বচ্ছাই গ্রহণ করে।
অধিকাংশ পশ্চিমা দেশগুলো হলো ইসলাম বিরোধী ধর্মের অধিকৃত। কিন্তু বর্তমান যুগে ইসলামের সত্যতা যাচাই করার পর ইসলামবিরোধী দেশগুলোর মধ্যেই ইসলামের দিকে সবাই আকৃষ্ট হচ্ছে। এক এক করে ধর্মান্তর করে ইসলামকে আপন ধর্ম হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। পৃথিবীর শক্তিশালী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানেও ইসলামের পতাকা ধীরে ধীরে আকাশছোঁয়া হচ্ছে। যেখানে বর্তমান জনসংখ্যা দিক দিয়ে দেখতে গেলে ইসলাম তৃতীয় জনবহুল ধর্ম কিন্তু বিশেষ গবেষণা ও রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যায় যে প্রায় ২০৪০ এর মধ্যে ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল ধর্ম হিসেবে মার্কিন মাটিতে নিজের পতাকা উড়াবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামের এই দ্রুতগতির বৃদ্ধির কারণ ধর্মান্তরন আর ধর্মান্তরনের ফলে বহু বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বেরা ইসলামকে আপন করছেন আর তার ফলে তার অনুরাগীরাও ইসলামকে আপন মেনে নিচ্ছেন। একাধিক গির্জা বা চার্চ থেকে মসজিদ রূপে পরিণত হয়েছে তার কারণ হলো ইসলামের প্রতি আকৃষ্টতা ও ইসলামের বৃদ্ধি। সারা বিশ্বের নজর কাড়ছে চার্চ অফ দ্য এপিফেনি, যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে অবস্থিত সদ্য গির্জা থেকে মসজিদে রূপান্তরিত হওয়া এক মসজিদ। আর এইভাবে বিশ্বব্যাপীতে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকবে আর ইসলাম দ্রুতগতি ভাবে বাড়তে থাকবে।
তথ্যসূত্র :
১ - Werner, Anna. “Washington Church Welcomes Muslims for Friday Prayers.” www.cbsnews.com, June 30, 2016. https://www.cbsnews.com/news/muslims-washington-church-friday-prayers-ramadam/.
২- www.aljazeera.com. “US: Muslims to Become Second-Largest Religious Group,” January 4, 2018. https://www.aljazeera.com/news/2018/1/4/us-muslims-to-become-second-largest-religious-group. Accessed date 19 May 2024.
৩- Guessous, Hamza (December 28, 2019). "Jennifer Grout: Moroccans Generosity Was Behind My Conversion to Islam". Morocco World News. Retrieved May 19, 2024.
৪- Iqbal, Zainab . “US: How an Abandoned New York Church Turned into a Muslim Community Centre.” Middle East Eye, April 12, 2023. https://www.middleeasteye.net/news/us-new-york-abandoned-church-turned-muslim-community-centre. Accessed date 19 May 2024.