ভারতের সংবিধান কোথায়?

            ভারতে মুসলিম সমাজের উপর যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে যেভাবে নির্জাতন করা হচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে ভারতবর্ষে মুসলমানদের থাকার কোনো অধিকার নেই এবং এই দেশে বসবাস করা মুসলমানদের জন্য় বিপদজনক হয়ে উঠেছে । বর্তমান মুসলমানদেরকে অত্য়াচার ও জলম করে চলেছে। একের পর এক দূরঘটনা ঘটে চলেছে মুসলিম সমাজকে নিয়ে। মুসলমানদের মধ্য়ে গুপ্তচর হয়ে ঢুকে নিজেদের মধ্য়ে ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে দিয়ে চলেছে ,সেটা আমরা কিছুই বুঝেউঠতে পারছি না। ভারত সরকার মুসলিমজাতিকে সর্বদা খারাপ নজর ও মন্দ চক্রান্ত করে মুসলমানদের এই ভারতবর্ষ থেকে বেরকরে দিয়ে একটি হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে চলেছে। কিন্তু আজ গোটা ভারতবাসি আপসোস যে­­-আমাদের দেশের সংবিধানের কোনো মূল্যই নেই বা আমাদের সংবিধান এককথায় নেই বললে চলে। ভারতবর্ষে এমন কী হচ্ছে না যেটি আইন অনুসারে হয়না । যে কর্মগুলি সংবিধানের আইনের বাইরে সেই সব কর্মগুলি বর্তমান বেশি ঘটে চলেছে। যেই কর্মগুলি আইনের পক্ষ থেকে অপরাধিকে সাজা দেওয়া অনিবার্য সেই কাজগুলি এখন করলে কোনো বাধা কী তার উপর কোনো আইন জারি করা হয় বলে গননা করা হয় না। বর্তমান এটাই হচ্ছে যে- যে অপরাধির সাজা হল মৃত্য়ুদন্ড তাদের কে কিছু দিনের জন্য় রাখা হচ্ছে এরপর  যখন এই মামলাটির ব্যাপারে জনতা ভুলে যায় সেই সময় তাদেরকে বেকুসুর খালাস করে দেওয়া হয় । যারা কিছু ভালো জিনিসের জন্য় কাজ করবে তাদের আইন অনুসারে সাজায় নতিভুক্ত হয়। এবং এই সমস্ত কর্মে মুসলিম ব্য়াক্তিকে জড়িয়ে দেয়। মুসলিম সমাজকে অপদস্থ করা হচ্ছে ও ইসলাম ধর্মের প্রতি বিভিন্ন প্রকারের অভিযোগ করা হচ্ছে। ইসলাম ধর্মকে সরা-বিশ্বে পদ-দলিত করছে এই ভারত সরকার।

          ভারতের সংবিধান কোথায়? এই ভারতবর্ষে  সকল প্রকারের ধর্ম ও জাতি বসবাস করে। সকল ধর্মকে যথাভাবে এক নজরে বা সমান ভাবে দেখার কথা ও সমান অধিকারও  দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অতএব সকল ধর্ম নিজের কর্ম করতে পাবে। অথচ বর্তমান ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্মের সমস্ত রকমের  কর্ম বা যেটি আমাদের জন্য় অপরিহার্য ইবাদাত ও ইসলাম ধর্মের  নিয়ম-কানুনকে অমান্য করার জন্য় কঠর ভাবে নিষেদ্ধ করছে।  এই দেশে ইসলামের  আদর্শ ও পরিবেশকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

          মুসলমানদের প্রতি যে অত্যাচারগুলি করা হচ্ছে সেইগুলির কিছু ঘটনা যেমন – এরপর  ঘটনা—মুসলমানদের পবিত্রস্থান  মসজিদ যেখানে মুসলমান তার রব আল্লাহ র কাছে নিকর্টবর্তি হওযার জন্য় ইবাদাত করে। সেই স্থানকে বর্তমান ভারত সরকার ভাঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে। যেমন— আমাদের প্রাচীন বা ইতিহাসিক মসজিদ মুসলমানদের গর্ব অযোধার বাবরি মসজিদকে শহিদ অর্থ – মসজিদটিকে ভেঙ্গে দেয়। এই মসজিদকে  ভেঙ্গে রাম মন্দির কার কেশ বা আদালতে অনেক দিন পর্যন্ত  লড়াই ও বিক্ষব চলেছিল। তাদের বক্তব্য় ছিল যে- বাবরি মসজিদে তাদের প্রভু  শ্রী রাম এর লিঙ্গ পাওয়া যায় এর  এর অর্থ হল যে বাবরি মসজিদে তাদের প্রভু শ্রী রাম এর জন্মস্থান।  এর জন্য় তারা  সেখানে রাম মন্দির বানানর মন্তব্য় করে। শেষ পর্যায়ে এসে 6 ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে সুপরিম কোর্টের আদেশ হয় বাবরি মসজিদকে শহিদ করে দেওয়ার ও অযোধার  জমিনে রাম মন্দির বানানর আদেশ জারি করে। এবং সেই দিন (6 ডিসেম্বর ১৯৯২) মুসলমানের প্রাচীন বা ইতিহাসিক  বাবরি মসজিদকে শহিদ করে দেওয়া হয়। হিন্দুরা জায়গা করে নিয়েছে মসজিদে, রাম মুন্দির বানানোর কাজ চলছে।

           এরপর  ঘটনা — হিজাব ইস্য়ু, মুসলমানদের মুসলিম নারীদের হিজাব পরে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আসা নিষেদ্ধ। চলতিবছরের প্রথম দিকে কার্নাটাকে  হিজাব ইস্য়ুতে উত্তাল হয়ে উঠে রাজ্য়-রাজনিতি। কার্নাটাক রাজ্যের এক মুসলিম বোনকে (মুসকান খান)  হিজাবপরে তার কলেজে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এবং সেখানে থাকা কিছু হিন্দু পড়ুয়া তাকে হিজাব খুলতে মাজবুর করে  ও জয়-শ্রী রাম বলে সলোগান দিয়ে ওঠে। এর পরিবর্তে মুসকান খান আল্লাহু আকবার বলে ওঠে। এর পর সারা ভারতবর্ষে হিজাব নিয়ে আন্দলোন শুরু হয়।  এবং এই রকম ঘটনা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ঘটতে শুরু হয়। বর্তমান আমাদের ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে করে দেওয়ার জন্য় কিছু হিন্দু ব্য়াক্তি গুপ্তচর হয়ে  মুসলমানদের মধ্য়ে ঢুকছে। আমাদের ইসলাম ধর্মের সমস্ত কর্ম ও ইবাদত করা থেকে সর্বদা সমস্ত রকমের পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে এই ভারত সরকার। এই হিজাব ইস্য়ু মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এখনও এই ইস্যুতে সমাধান সুত্র মেলেনি।

           এরপরেই — জায়গা করে নিয়েছে বুলডোজার ইস্য়ু। সামান্য় অজুহাতে বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের বাড়ি-ঘর , দোকানপাট সব গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।  এর জন্য় আইন-আদালত কিছুই পরোয়া করা হচ্ছে না এবং করছে না বর্তমান ভারত সরকার। এই সমস্ত ঘটনাগুলি  সব যৌগির রাজ্য়ে ( উত্তর প্রদেশ ) ঘটে চলেছে মুসলিমদের উপর। উত্তর প্রদেশের মুক্ষমুন্ত্রী যৌগি আদিত্য় নাথ, তিনি উত্তর প্রদেশের বসবাসকারি মুসলমানদের উপর বিপজ্জনক ভাবে অত্য়াচার করছে।

           এরপর  ঘটনা — বাবরি মসজিদকে শহিদ করার পরে তারা থেমে থাকতে চায়না, তারা এর পর আমাদের ভারতবর্ষের যে মসলিম  ঐতিহাসিক জায়গা রয়েছে যে জায়গায় মসজিদ, মিনার ও প্রাসাদ রয়েছে সেইগুলির উপর নৃত্য়-নতুন পরিকল্পনা করে অভিযোগ তুলে আনছে।  যেমন — মুঘল সোমরাট রাজা শাহজাহান তিনার স্ত্রীর জন্য় যে তাজমহল বানিয়েছিলেন, সেই তাজমহলের উপর অভিযোগ করে সেটিকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য় এবং এর বিক্ষোব হতেই রয়েছে। তাজমহলকে নিয়ে বর্তমান কোর্টে মামলা এখনো জারি রয়েছে। কিন্তু এর কোনো ফলাফল প্রকাশ পায়নি বা এখনও এর  সমাধান হয়নি।

           এরপর  ঘটনা —  গ্য়ানয়াপ্পি মসজিদের বিপক্ষে ইসলাম বিরোধিরা উত্তলে উঠে পড়ে লেগেছে ,বাবরি মসজিদের মতো এটাকেও শহিদ করে দেওয়ার জন্য়। এই মসজিদটি শ্রী কাশিনাথ মন্দির এর পাশে অবস্থিত রয়েছে তাই তাদের মন্তব্য় যে- এই মসজিদ বানানো হয়েছিল মন্দিরকে ভেঙ্গে। কিন্তু এটা অযথা কথা এইরকমটা হয়েছিলনা তারা রামের লিঙ্গ নিয়ে পড়ে রয়েছে। একেরপর এক বিপদ করে চলেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের।  কোথায় গেলো  ভারতবর্ষের সংবিধান ও আইন?

            এরপর  ঘটনা — দলবদ্ধ ধর্ষন, এই ঘটনা পক্ষে আমি মনে করি  কিছু বলার দরকার নাই কেননা এইরকম ঘটনা বর্তমান ভারতবর্ষে খুবিই  বেশি হয়ে পড়েছে। 2002 সালের গুজরাটের  ঘটনা বিলকিস বানুকে  দলবদ্ধ ধর্ষন ভাবে ধর্ষন করে তাকে মারডের করা হয়েছিল,  সেই অপরাধিদের কে আদালত জেলের শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই অপরাধিদের কে কিছুদিন পূর্বে (2022 সালে সেপ্টেম্বর)  জেল থেকে বেকুসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। এই কর্মগুলি কী আইন অমান্য় করছেনা। তাদের উপর এতো বড়ো একটি অপরাধের শাস্তি থাকা সত্য়েও আজ তাদেরকে এই ভাবে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে  মানে হল যে তাদের কে দ্বিতীয় বার দলবদ্ধ ধর্ষন করার জন্য় ছেড়ে দেওয়া। বর্তমান এই ঘটনা নিয়ে চলছে বিক্ষোব এবং বিলকিস বানুর পরিবার সদস্য় এর বিরুদ্ধে উঠে আসে কারন- বিলকিস বানুর নায়-বিচার পায়নি তারা। ভারত সংবিধানের আইন কোথায় রয়েছে।             

             6বছর পূর্বের (2017 সালে) কাশ্মিরের 7বছরের এক ছোট্টো নাবালিকাকে 8জন মিলে দলবদ্ধ টানা 12দিন ধর্ষন করেছিল এর পর তাকে হত্য়া করাহয়েছিল। সেই মেয়েটির নাম- আসিফা। সেই 8জন অপরাধিকে পুলিশ কিছুধরে তল্লাশি করে তার পর তারা কিছু আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কিন্তু   সেই একই রকম আসিফাকে তারা নায়-বিচার করে দিতে পারেনি। সেই আসামিরা এতো বড়ো অপরাধ করছে তবুও তাদের ছেড়ে  দেওয়া হচ্ছে। আইন মুতাবিক এই রককম আসামিকে মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা হচ্ছেনা বরনচ  তাদেরকে কিছু দিনের জন্য় জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পরে আবার রেহা  করে দেওয়া হচ্ছে।

           বছর কয়েক আগের ঘটনা যেটি একটি  লেডি পুলিশ অফিসারের সাথে ঘটে- সেই লেডি পুলিশ অফিসারটি তার ডিওটি শেষ করে বাড়ি ফিরছিল রাত্রি বেলায়, তাকে দলবদ্ধ ধর্ষন করা হয় এবং এরপর তার বুকের স্তনদুটি কাটে ও  তার শরীরে 31 বারের বেশি আঘাত করে হত্য়া করা হয়েছিল। তবুও তাকে নায়-বিচার করতে পারেনি ভারতের সংবিধান।এবং এই ভাবে বর্তমান ভারতে দলবদ্ধ ধর্ষন বেড়েই চলেছে যার ফলে আমাদের মা, বোনকে (ভারতীয় নারীদের) বাড়ির বাইরে  বেরতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। নারীদের সাধীনতা কে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।  এর সাথে সাথে বর্তমান এই ভাবেই তাদের অধিকার ও তাদের মান-সন্মান সমস্ত কিছু  ধুলোর সাথে মিসিয়ে দিচ্ছে।

          ভারতের বহু রাজ্য়ে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এবার নানা কান্ডে মুসলিমদের নিশানা করা হচ্ছে বলে সরব হল অ্য়ামনেস্টি ইন্টারনাশনাল। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক দিনে  বেশ কয়েকটি ঘটনায় একের পর  এক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সংখ্য়ালঘু  মুসলিম সমপ্রদায়ের। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে  এবার কেন্দ্রকে নিশানা করে অ্য়ামনেস্টি ইনটেরন্য়াশনাল এক কড়া বিবৃতি জারি করে ভারত সরকারকে মুসলিমদেরদিকে নিশানা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এবং আরো বলেছে যে — বিক্ষোব দমনে ভারতীয় কতৃপক্ষ যেন অবিলম্বে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। শান্তিপূর্ণ  উপায়ে যাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাদের যে কায়দায় আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। একই সঙ্গে মুসলিমদের নিশানা করে সরকার ক্রমাগত যে পদক্ষেপ গ্রহন করছে তাও চিন্তার বিষয়। বিবৃতিতে তারা লিখেছে,  ভারত সরকার প্রতিশোধমূলকভাবে বেছে  বেছে সেই সমস্ত মুসলিমের উপর নিপীড়ন নামিয়ে আনছে যারা মুখ খোলার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন বা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের উপর হওয়া বিদ্বেষের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

                আমি মুসলিম সম্প্রদয়কে এটাই বলতে চাই যে – হে মুসলিম সম্প্রদয় আপনারা একে ওপরের সাথে জুড়ে থাকো। অর্থ যে – আপনারা নিজেদের মধ্য়ে  ঝগড়া-বিবাধ করা হতে বিরত থাকুন। কেননা মুসলিম সম্প্রদায়কে শেষ করে দেওয়ার জন্য়  আমাদের ইসলাম বিরোধিরা সর্বসময়ে প্রস্তুত থাকে। তারা শুধু সুযোগ খুজেঁ। আমাদেরকে  ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য় ও আমাদের ইসলামকে আল্লাহ তাআলার ধর্মকে ধবংস করেদিতে। হে মুসলিম সম্প্রদয় আপনারা আল্লাহ তাআলার বার্তা ও আমাদের নাবী মহাম্মাদ ﷺ এর আদেশ অনুসারে তিনার দ্বিনের মধ্য়ে একসঙ্গে ঐকবধতা হয়ে থাকা ।  আমাদের বেশি বেশি করে ইসলামিক কাজ কর্ম বা ইবাদাত করতে হবে। যার ফলে তারা বুঝতে পারে যে আমাদের দ্বিনের মধ্য়ে সাবিত ও ঐকবধতা ভাবে রয়েছি । আমাদের ঈমানকে অনেক তাকওয়া বা শক্তিশালি করে তুলতে হবে।

           আমি সকলকে জানায় যে আমাদের ভারতে যে সংবিধান তৈরি করে দিয়েগিয়েছিলেন তাদের কথা হিসেবে আমাদের সংবিধান ও আইন ব্য়বস্থা নিয়ে দেশকে শাষন করা। যদি এমন না হয় তাহলে আমাদের দেশের কোনো মর্যদা ও বিশেষ কিছু আছে বলে গননা করা হবেনা। যেসব সমস্ত কর্ম আইন প্রযুক্তির বাইরে করা হচ্ছে  সেগুলিকে সংসধন করা। এবং দেশেকে দেশের জনগনদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে। জনগনদের উপর বিশেষ তল্লাশি চালানো যে তাদের উপর কোনো রকমের অশান্তুস্টি আছে কী না। সকল ভারত বাসিকে তাদের নিজেস্ব স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে । আজাদি সকলের সমান হওয়া উচিত ও এটাই হওয়া চাই, সকলের জন্য় একই অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে ভরত সরকার। 

 

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter