রাষ্ট্র নিপীড়নের সম্মুখীন উইঘুর মুসলিম 

উইঘুরের জনবসতি প্রায়ই নৃশংস দমনের শিকার হয় পড়েছে, প্রাথমিকভাবে তাদের বাসস্থান  উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে। প্রায় ২০১৭ সাল থেকে তারা সরকারি নিপীড়ন ও  অত্যাচারের শিকার।

উইঘুরের ভাষা এবং জীবনধার

উইঘুর হল আলতাইক পরিবারের তুর্কি ভাষার একটি ক্ষুদ্র শাখা। ঐতিহাসিকভাবে, উইঘুর সাহিত্য আরবি লিপিতে লেখা হয়েছিল। ১৯৩০ দশকে, একটি পরিবর্তিত ল্যাটিন বর্ণমালা চালু হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নে একটি পরিবর্তিত সিরিলিক লিপি চালু করা হয়। ২০ শতকের মধ্যেই চীন আরবি লিপি উইঘুর লেখার উপর আধিপত্য ব্যাপক ঘটিয়েছিল, যদিওবা 1969 সালে একটি সংশোধিত ল্যাটিন লিপি প্রয়োগ করা হয়েছিল। সম্ভবত ৮৩ সালে উইঘুর লেখার প্রাথমিক পদ্ধতি হিসাবে গড়ে উঠে আরবি লিপি।

উইঘুর জাতির ঐতিহাসিক দিক

"উইঘুর" শব্দ মূলত একটি যাযাবর গোষ্ঠীকে নিদৃষ্টি করে যারা 8ম শতাব্দীতে উইঘুর খানাতে প্রতিষ্ঠা হয়। বলা হয় যে আধুনিক উইঘুররা মূলত এই যাযাবর গোষ্ঠীর বংশধর যারা উইঘুর খানাতে প্রতিষ্ঠার অনেক আগে জিনজিয়াং-এ বাস করত। ২০০৯ সালে চীন সরকারের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ওইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের। 

১৯৫০ দশকের দিকে  জিনজিয়াং-এ বৃহৎ আকারের হান (জাতিগত চীনা) অভিবাসন দেখা যায়, যা ১৯৯০-এর পর মূলতভাবে বৃদ্ধি পায়। বিংশ শতাব্দী শেষের দিকে জিনজিয়াং-এর মোট জনসংখ্যার দুই-পঞ্চমাংশ হান ছিল যার কারণে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং জাতিগত উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালে উরুমকিতে (Ürümqi) বিক্ষোভ এবং অস্থিরতা হিংসাত্মক প্রাদুর্ভাবের পরিণতি হয়, যেখানে প্রায় ২০০ জন নিহত এবং ১,৭০০ জন আহত হয়। এর পরেই আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এমনকি ২০১৭ সালে জিনজিয়াং-এ উইঘুরদের উপর ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করে চীনা সরকার।

আগস্ট 2014 সালে, জাতিসংঘের মানবাধিকারের হাই কমিশনার অফিস চীনকে আটক বন্ধ করার আহ্বান জানায়, কিন্তু চীন এই ধরনের দাবি অবাধ্য করে। ২০২২ সালে অহ্চর 

 প্রতিবেদন পুনর্ব্যক্ত করে যেখানে বলা হয় যে: উইঘুরদের আটক করা এবং জিনজিয়াংয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

উইঘুর জনবস্তির উপর ঘিরে বসলো আরোপ

চীন সরকার  উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াংয়ের উইঘুর জনবস্তি এবং অন্যান্য প্রধান মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে মানবিক অপরাধ করছে ফলে দেশের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। চীনে মুসলিমদের বিশেষ করে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের ওপর বিষেশ লক্ষ্য রাখা হয়।  মুসলমানরা ধর্মীয় অনুশীলনে বাধা পায়, এবং পাশাপাশি মসজিদ এবং সমাধি স্থল কখনও ধ্বংস করা হয়।  

উইঘুর কর্মীরা আশঙ্কা করেন যে: চীন সরকার সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি মুছে ফেলার কাজ করছে। এতদ্বারা গবেষকরা মতানুসারে: চীনা সরকারের লক্ষ্য উইঘুরদের মধ্যে মুসলমানদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়া।

আজ বর্তমান যুগে, ইসলামকে মুছে ফেলার অন্যান্য প্রচেষ্টা করে চলেছে বিভিন্ন সরকার, যেমন ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেমনটা বিশ্ব ইন্টারনেটের মাধ্যমে দর্শন করছে, কিন্তু উইঘুর মুসলিমের খবর সবার দুয়ারে পৌঁছায়না কিন্ত একদিকে তদেরকেও স্থানচ্যুত করার উপায় খাটাছে চীন সরকার।

দিন দিন, উইঘুর মুসলমানদের উপর নিপীড়ন ও অবিচার বেড়ে চলছে, এবং ২০১৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারি দমন-পীড়ন তীব্রতর হয়েছে। মানবতার নামে সারা বিশ্ববাসীদের বিশেষ করে মুসলিম সমাজের কর্তব্য যে তারা এর প্রতিবাদ করে এবং অবিচারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।  



Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter