মুসলিম জীবনে কুরানি জ্ঞানের প্রয়োজন ও গুরুত্ব
কুরআন: মানব জীবনের পরম সম্পদ:
বিদ্যার্জনের দুটি প্রধান লক্ষ্য, জ্ঞানার্জন ও অর্থোপার্জন। একজন প্রকৃত ঈমানঅলা মানুষের বিচার-বিবেচনায় যেহেতু ইহকাল হলো পরকালের কৃষিক্ষেত্র স্বরূপ, তাই তার দৃষ্টিতে অর্থোপার্জনের তুলনায় জ্ঞানার্জনটাই মানব জীবনের পরম সম্পদ। এই দুর্লভ সম্পদের জোরেই সে অর্জিত বিদ্যার ভালো-মন্দ বুঝতে সক্ষম হয়, গ্রহণীয় এবং বর্জনীয়কে স্পষ্টরূপে চিনতে পারে। উপার্জনের সঠিক পথ-পন্থা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয় তথা উপার্জিত ধন-দৌলতকে বৈধ পথে খরচ করার অন্তঃপ্রেরণা লাভ করে।
কুরআনের দিকনির্দেশনা, জীবনের আলোকবর্তিকা:
নিঃসন্দেহে 'কুরআন' শরীক আল্লাহ তাআলার একমাত্র নির্ভেজাল ও সুরক্ষিত কিতাব হওয়ার অধিকারে বিশ্বমানবমণ্ডলীর জন্য সর্বোত্তম জ্ঞানার্জনের মাধ্যম, সেই সঙ্গে বৈধ পথে অর্থোপার্জনের এবং উপার্জিত সম্পদের ন্যায়সংগত ব্যয়-বিধানের পক্ষেও প্রকৃত দিগদর্শক। এজন্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর সর্বশেষ রসূল মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর আগমনের পর হতে দুনিয়ার শেষ অবস্থান পর্যন্ত গোটা মানব সমাজের জন্য কুরআনকেই সদুপদেশ, নাসীহাত রূপে ও পাথেয়রূপে বর্ণনা করেছেন। কুরআনুল কারীমে উচ্চারিত হয়েছে
هَذَا بَيَانٌ لِلنَّاسِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةٌ لِلْمُتَّقِينَ.
অর্থাৎ “কুরআন মানুষের জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবাণী এবং আল্লাহকে যারা ভয় করে তাদের জন্য পথ-প্রদর্শক ও উপদেশ” (৩/১৩৮) ।
আল্লাহ বলেন:
الٓر ۚ كِتَـٰبٌ أَنزَلْنَـٰهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ ٱلنَّاسَ مِنَ ٱلظُّلُمَـٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَىٰ صِرَٰطِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَمِيدِ.
অর্থাৎ “আলিফ-লাম-রা, হে মুহাম্মাদ। এ একখানি কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যেন তুমি মানুষদেরকে জমাট বাঁধা অন্ধকার হতে বের করে আলোকে নিয়ে আসতে পারো, তাদের প্রভু-প্রদত্ত সুযোগের দ্বারা, প্রভুর পথে, যিনি প্রবল পরাক্রান্ত ও নিজ সত্তায় নিজেই প্রশংসিত” (সূরা ইবরাহীম, ১৪/১)।
জ্ঞানার্জনের প্রকৃত অর্থ ও গুরুত্ব:
কিন্তু কাফির-মুশরিকদের পক্ষে এসব কথা সহজেই বুঝা বড়ো শক্ত। তাই আল্লাহ তাআলা ঈমানওয়ালা বান্দাবর্গকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, - আল্লাহর পথে তাদেরকে হিকমত এবং সদুপদেশ, সুমধুর বাক্যালাপ ও সদ্ব্যবহারের যারা আহবান জানাও। একাজ অর্থাৎ দ্বীনের পথে দাওয়াত দানের কাজটি মুসলিম জীবনাদর্শের এক অপরিহার্য অঙ্গ। প্রশ্ন দাঁড়ায় যে, মুসলিম ব্যক্তি স্বয়ং কুরআন ও নাবী জীবন সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত না হলে কি সে অন্যকে ইসলামের দাওয়াত সঠিকভাবে দিতে সমর্থ হবে? অন্যকে দাওয়াত দেওয়া তো দূরের কথা, খোদ সে নিজেও ইসলামের ওপর সঠিকভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেনা প্রকৃত জ্ঞানের অভাববশতঃ। বোঝা গেল যে, মুসলিম জীবনের সার্বিক সাফল্যের জন্য কুরআন-হাদীসের জ্ঞানার্জন অপরিহার্য। এজন্যই আল্লাহ তাআলা মুমিন-মুসলিম বান্দাবর্গকে কুরআনী জ্ঞান অর্জন করার জন্য নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন।
কুরআন সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَرَحْمَةً وَّذِكْرَى لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ.
অর্থাৎ “এতে রয়েছে রহমত ও নসীহত তাঁদের জন্য যারা ঈমানদার” (সূরাহ আনকাবুত, আয়াত নং ৫১) ।
কুরআনে ঈমান আনা ও নেক আমল করা ব্যক্তিবর্গকে আল্লাহ তাআলা রোজ হাশরে সম্বোধন করে বলবেন
يَـٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ
অর্থাৎ “হে আমার বান্দারা, আজ তোমাদের কোনো ভয় নেই, কোনো চিন্তা নেই” (সূরাহ যুখরুফ, আয়ত নং ৬৮) ।
উপরোক্ত আয়াতগুলোর বক্তব্য ঈমানওয়ালা এবং বেঈমান উভা মানুষদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। বিশেষতঃ মুসলিমদের গভীরভাবে চিন্তা করা বাঞ্ছনীয় যে, মুসলিম জীবনাদর্শে কুরআনী বিদ্যাজ্ঞানের গুরুত্ব ও প্রয়োজন অপরিসীম। এজন্যই আল্লাহ তাআলা মুমিনবান্দাবর্গকে সন্ধ্যা-সকাল, বিশেষতঃ ভোরবেলায় রহমতরূপী পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত করতে পরামর্শ দিয়েছেন। সহীহ হাদীসে কুরআন শিক্ষাকারী ও শিক্ষাদাতাকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয়েছে। কুরআনের প্রতিটি অক্ষরে ও সুন্দর উচ্চারণে বিশেষ বিশেষ পূণ্যার্জনের গ্যারেন্টি দেওয়া হয়েছে।
তেলাওয়াতের মাহাত্ম্য এবং সঠিক পন্থা :
পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত সম্পর্কে আমাদের এক বহু পুরাতন মারাত্মক ধারণা হলো, অশিক্ষিত ব্যক্তিদের মতন শিক্ষিত ব্যক্তিদেরও মানে-মতলব না বুঝেই কুরআন তেলাওয়াত করলেও চলবে। এই ভুল ধারণাটি আমাদেরকে নেকীর লোভে ঝড়ের বেগে কুরআন পড়তে অভ্যন্ত করে তুলেছে। বিশদ আলোচনার গভীরে প্রবেশ না করেও উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অর্থোদ্ধার ছাড়া কুরআনের গুরুত্ব ও প্রয়োজন উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। অর্থ না বুঝে বই মুখস্ত করে হয়তো দুনিয়ার পরীক্ষায় পাশ করা যায়, কিন্তু মরণোত্তর জীবনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরীক্ষায় পাশ করা সহজ কথা নয়। যে পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সিলেবাস সম্পর্কে অজ্ঞ-অনভিজ্ঞ, সে যে তার পরীক্ষার খাতায় আন্দাজে অনুমানে আবোল-তাবোল কথা লিখবেই, তাতে সন্দেহ কোথায়? অজ্ঞ-মূর্খ অশিক্ষিত এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনদের জন্য এমনটা হয়তো সাজে, কিন্তু শিক্ষিত বিদ্বান ও জ্ঞানীদের জন্য-এ আচরণ শোভনীয় কি?
অতএব আমরা যারা আল্লাহর অনুগ্রহে বাংলা-হিন্দী, উর্দু-ইংলিশ ইত্যাদি ভাষা-সাহিত্য পড়া বুঝার যোগ্যতা লাভ করেছি, তারা সবকিছু জেনেবুঝেও সর্বোচ্চ জ্ঞানের ভান্ডার কুরআনুল হাকীমকে অর্থোদ্ধার না করেই তেলাওয়াত করার কৃপণতা পরিহার করবোনা কেন? একালে তো পৃথিবীর সমস্ত সাহিত্যিক ভাষাতেই ইসলামের কথা ও কুরআনুল কারীম মূল আরীব হতে ভাষান্তরিত হয়ে গিয়েছে। বাংলা-উদু, হিন্দু, ইংরেজিতে তো অনেক আগেই হয়েছে। সুতরাং শিক্ষিতদের বানাহাবাজির এখন আর উপায় নেই। জীবন মরণের আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র সংবিধান কুরআনকে আপনাপন মাতৃভাষা সহযোগে অর্থোদ্ধারসহ অধ্যয়ন করা ছাড়া আসমানী সিলেবাস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানার্জনের অন্য কোনো উপায় নেই। আর জ্ঞানার্জন ছাড়া 'আমালে-সালেহ' সম্ভবপর নয়।
অত্যন্ত পরিতাপের কথা যে, ষাটোর্ধ্ব বয়সের পরেও আমাদের হাতে অর্থোপার্জনের জন্য যথেষ্ট সময় থাকে, কিন্তু ইসলামী জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো ফুরসত অর্থাৎ সময় থাকেনা। থাকলেও তার সদ্ব্যবহার করিনা। যৌবনকালের মতনই অকথার কথায় রাজা উজির মেরে সময় ও সুঅবসর নষ্ট করে দিই। যারা চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করেন, তেজারত ও কৃষিকাজের ব্যস্ততা হতেও মুক্ত হয়ে পড়েন, তারাও উদ্দেশ্যহীন গালগল্পে, দৈনিক সমাচারপত্র পড়ে এবং দূরদর্শনের ঝিল্লিল্মলে পর্দায় পূর্ববৎ চোখ রেখে রেখেই অস্তগামী জীবনের অমূল্য সময় কাটিয়ে দেন। এমন বদ অভ্যাস মুমিন-মুসলিমের জন্য আত্মহত্যারই নামান্তর নয়কি?
'যার শেষ ভালো, তার সবই ভালো' এ কথাটিও দ্বীন ইসলামেরই কথা, যদিও দ্বীন ইসলাম যৌবনকালের ইবাদত-বন্দেগীকে সর্বাধিক গুরত্ব দিয়েছে। কিন্তু যদি কোনো কারণে কারো ভাগ্যে এ সুযোগ না ঘটে, তবে দ্বীন ইসলাম বৃদ্ধ বয়সে মানুষের আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া ও প্রকৃত তাওবার মাধ্যমে পথে ফিরে আসাকে পাপমোচনের উত্তম উপায় বলেছে। ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষ রোজানা অর্থসহ পবিত্র কালাম তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই আশাব্যঞ্জক লিস্টে খুশী খোশালিতে নাম লেখাতে পারেন। আল্লাহর ফেরেস্তারাও ফিরে আসা বান্দাদের জন্য দরবারে ইলাহীতে মাগফিরাতের দুআ করে। আসুন আমরা সানন্দে তেলাওয়াত করি কুরআনুল কারীমের সূরাহ মুমিন-এর ৭-৯ নং আয়াতগুলো। আল্লাহ তাআলা বলেন এমন সৌভাগ্যের বিষয়টিকে জেনেবুঝে হাতছাড়া করা যাই কী? ফেরেস্তারা নিষ্পাপ, আমাদের মতন পুরাতন পাপীদের প্রত্যাবর্তনের বেলায় নিষ্পাপদের ঐকান্তিক দুআ ইন্শাআল্লাহ বহু উপকারে আসবে।
অর্থবোধ করে তেলাওয়াত: কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রত্যহ সকালে-বিকালে সন্ধ্যায় অর্থসহ অল্প অল্প মত্রায় কুরআন তেলাওয়াতের সুঅভ্যাস গড়ে তোলা বাস্তবিকই সৌভাগ্যের লক্ষণ। যে ভাষাটি যাঁর পক্ষে সহজবোধ্য, তাঁকে সে ভাষাতেই তরজমা তাফসীর সংগ্রহ করা বাঞ্ছনীয়। যে প্রখ্যাত মুফাস্সির যাঁর কাছে যতো বেশী বিশ্বস্ত, - তাঁরই রচনা প্রথমে অধ্যয়ন করা শ্রেয়। অবশ্য আরও বেশী জ্ঞানার্জনের জন্য অন্যান্য মাশহুর মুফাস্সিরদের কিতাবও অধ্যয়ন করা উদারতারই পরিচায়ক। এক একজন বিশেষজ্ঞের রচনায় এক এক রকম বৈশিষ্ট্য সহজেই চোখে পড়ে। কুরআনুল কারীম বিশ্বস্রষ্টা, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, অসীম অনন্ত জ্ঞানের অধিকারী আল্লাহ তাআলার বাণী।
এই অতলান্ত জ্ঞান সমুদ্রে বড়োই হিকমতের মাধ্যমে নিহিত রয়েছে মানুষের যাবতীয় প্রশ্নের ও প্রয়োজনের সর্বোত্তম সদুত্তর। কোনো একজনের দ্বারা এ সবের সারোদ্ধার আদৌ সম্ভবপর নয়। অতএব সংকীর্ণতা পরিত্যাগ দিয়ে একাধিক পুরাতন-নতুন মাশহুর ব্যাখ্যাতার কুরআন মাজীদ অধ্যয়ন করাই দূরদর্শিতার লক্ষণ। প্রত্যহ গভীর মনোনিবেশ সহকারে দু-তিন রুকুর অধ্যয়নকেও যথেষ্ট বলা যেতে পারে। কেননা পরিণত বয়সের তথা স্বাস্থ্যবান বৃদ্ধদের জন্য অত্যাবশ্যক পারিবারিক ও সামাজিক কাজেও সময় দেওয়া মহাপূণ্যেরই কাজ। সন্তানদের তথা নাতি-পোতাদের ইসলামের কথা শোনানো, শেখানো ফরযতুল্য। প্রতিবেশী এবং গ্রাম-মহল্লার সুখে-দুঃখেও সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ধর্মেরই কাজ। সবচেয়ে বড়ো কথা যে, পবিত্র কুরআনের অধ্যয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রিয় নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম)
এর জীবনী অধ্যয়ন করাও অত্যন্ত জরুরী। দুনিয়ার কাজকর্মের ফাঁকে ফাঁকে প্রত্যেকদিন পাঁচ-দশ পাতা পড়া এমন কিছু কঠিন দায়িত্ব নয়। প্রিয় নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর জীবনাদর্শই আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবহারিক নমুনা।
কুরআন ও প্রিয় নাবীর জীবনাদর্শের অনুকরণ মানেই 'আতিউল্লাহ এবং আতিউর রাসূল' এরই নাম পূর্ণাঙ্গ ইসলাম। শিক্ষিত রিটায়ার্ড মানুষদের এদিকটায় পূর্ণাঙ্গ নজর দেওয়া একান্তভাবেই অপরিহার্য। এরই নাম, 'যার শেষ ভালো, তার সবই ভালো।' পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে নেক কাজের তাওফীক প্রদান না করলে মানব জীবনে বাঞ্ছিত পরিবর্তন আসেনা। যে অনুতপ্ত বান্দা তাঁর দরবারে তাওফীক লাভের প্রার্থনা করে – তাকে তিনি ভালোবেসে তা দান করেন। কারণ আল্লাহ বিভ্রান্ত বান্দার প্রত্যাবর্তনকে খুবই পছন্দ করেন। একথার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ হলো, আমাদের আদি পিতার মহা অপরাধের পরে পরেই সুপথে প্রত্যাবর্তন। তাঁদের অনুতপ্ততার দুআটি আমাদেরও সুপথে ফিরে আসারই সর্বোত্তম অবলম্বন।
শেষ ভালো যার, তার সবই ভালো: কুরআনের শিক্ষা:
আল্লাহ তাআলা আমাদের এই বলে নির্ভয়তা প্রদান করেছেন- إِن تَجْتَنِبُوا۟ كَبَآئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًۭا كَرِيمًۭا
অর্থাৎ “তোমরা যদি বড়ো বড়ো গুনাহ হতে আত্মরক্ষা করো, তবে আমি তোমাদের ছোট ছোট অপরাধ ক্ষমা করে দিয়ে তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশাধিকার দান করবো” (সূরাহ আন্ নিসা, আয়াত নং ৩১)।
প্রশ্ন হচ্ছে যে, আল্লাহ তাআলার এমন অতুল্য সৌভাগ্যজনক আশ্বাসবাণী শোনার পরেও আমরা সর্বোত্তম বিদ্যাভাণ্ডার কুরআনের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করবো কেন? রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) সেই ব্যক্তিকেই সর্বোত্তম ব্যক্তি বলেছেন, যিনি নিজে কুরআন শিখেন এবং অন্যকেও শেখান। অতএব আমরা নিজেরাও সাগ্রহে ও সানন্দে সর্বোত্তম ব্যক্তিদের দলে যোগ দিতে চেষ্টিত হবো না কেন? আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন, আমীন।