এসো কুরাআনের দিকে

পবিত্র কুরআন এই গ্রন্থটি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে সকল মানুষের জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে।

এটিকে কালামুল্লাহ বলা হয়। যার অর্থ আল্লাহর কালাম। আল্লাহতায়ালা মোট  চারটি আসমানি কিতাব নাযিল করেন।

যথা: ১, তাওরাত হজরত মুসা (আঃ) ২, জাবুর হজরত দাউদ (আঃ)৩,ইন্জল হজরত ইসা(আঃ)।

এবং সর্বশেষ আল কুরআন যেটি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু ইসলামের উপর 23 বছর ধরে নাজিল হতে থাকে।

পবিত্র কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যেতে না আছে কোন ভুল না আছে কোন কামি।

আল্লাহ তাআলা নিজেই ইরশাদ করেছেন:

অর্থাৎ এটি এমন একটি কিতাব যেটিতে কোন রকমের ভুল নেই।

পবিত্র আল কোরআনের শব্দের অর্থ:

(১) অনেকের মতে কোরআন শব্দটি এসেছে ‘কারানা’ থেকে যার অর্থ একত্রিত করা। যেহেতু আয়াত ও সূরাকে একত্রে নিয়েই কোরআন গঠিত, তাই এই মতামত অনুসারে কোরআন শব্দের অর্থ ‘একত্রিত গ্রন্থ’। 

(২) সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামতটি এরকম: কোরআন শব্দটি এসেছে ‘কারাআ’ শব্দ  থেকে। ‘কারাআ’ শব্দের অর্থ হলো পাঠ করা। কাজেই কোরআন শব্দের অর্থ হল ‘যাকে পাঠ করা হয়’। 

পারিভাষিক অর্থ:  পবিত্র আল কোরআনের পারিভাষিক অর্থ নির্ণয় একটি কঠিন বিষয়। কেননা তা মহান আল্লাহ তায়ালার কালাম। আলেমগণ পবিত্র আল কোরআনকে অন্যান্য পুস্তক থেকে আলাদা করার জন্য সাধ্যমত এর পারিভাষিক সংজ্ঞা নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিলকৃত মহান আল্লাহর বাণী, যার তিলাওয়াত ইবাদত হিসেবে গণ্য।

আল্লাহ তায়ালা কুরআন কে আরবি ভাষায় নাযিল করেছেন এবং সেই সময় মক্কাবাসীরা সাহিত্যের সবচেয়ে গিয়েছিল।

সেই সময় পৃথিবীতে সাহিত্যের জীবন্ত ভাষাই ছিল আরবি। সহজ ও সুন্দর আরবি ভাষায় গান নাজিল করে আল্লাহ তায়ালা যুগের পর যুগ ধরে এই কোরআনকে বিনষ্ট হাত থেকে রক্ষা করে চলেছেন। এটি মানুষের তৈরি অন্যান্য বইয়ের মত নয়। বরং একটি ধর্মীয় গাইড বুকের মত- যাতে মানবজাতির জীবনের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে হিদায়েত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ধর্মীয় মৌলবিশ্বাস তথা আকিদা ও নৈতিক বিধি বিধান, শরীয়তে আইন, আল্লাহর দিকে মানুষের আহ্বান, উপদেশ, সতর্কবাণী ও সুসংবাদ।

এছাড়া ও তাওহীদ আখেরাত ঐতিহাসিক ঘটনাবলের বিবরণ আখেরাতে সাফল্য ও ব্যর্থতার উপস্থাপন করা হয়েছে। 

পৃথিবীতে প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ)-কে উহার জ্ঞান দিয়ে আলোকিত করেছেন। অতঃপর হযরত ইব্রাহিম হযরত মূসা হযরত ঈসা(আঃ)- এর কাল অতিক্রম করে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনে সর্বশেষ কিতাব আল কোরআন অবতরণ হয়েছে।

এরপর আর কোন নবী আসবেন না আর না কোন কিতাব নাজিল হবে।

আল কোরআন নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সময় যা ছিল আজও ঠিকই সেই অবস্থাতে প্রচলিত আছে। এর বিন্দু-বিসর্গ পরিবর্তন হয়নি। এটাই কোরআনের সৌন্দর্য ও অলৌকিকতা। মহান আল্লাহ এর সংরক্ষনের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে বলেছেন: "নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি এবং অবশ্যই এর সংরক্ষকও আমি।"

আল কুরআনের যখন যে অংশ নাযিল হতো সাথে সাথে লেখার ব্যবস্থা করতেন। সোহাগী বন মুখস্ত করে নিত। খেজুরের পাতা হাড় চামড়া ও পাথরে লিখে রাখা হত।

আসুন আমরা সিদ্ধান্ত নেই কোরআন শুদ্ধভাবে ও বুঝে তেলাওয়াত করবে। কোরআন মাহফিল জীবন যাপন করব এবং কোরআনের বার্তা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আবার প্রচেষ্টা চালাবো।

আসুন সকলে কুরআনের দিকে ফিরে যায়। 

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter