সিবাকের যবানিকা পড়ল, বাংলা দলের ঐতিহাসিক জয়
য়লা থেকে চতুর্থ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া দারুল হুদা ইসলামিক ইউনিভার্সিটির জাতীয় স্তরের কলা প্রতিভা প্রতিযোগিতার রবিবার রাতে সমাপ্তি ঘোষণা হল। রবিবার রাতে কেরলের চেম্মাদ শহরে ফাইনাল পর্বের ফলাফল ঘোষণা করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড: বাহাউদ্দীন মুহাম্মাদ নাদাবী ফাইজী সাহেব। অন্তিম ফলাফল অনুযায়ী দারুল হুদা মেইন ক্যাম্পাস প্রথম স্থান অধিকার করেছে, কিন্তু সমস্ত দর্শক এবং বিদ্যার্থীদের নজর কাড়ল দারুল হুদা বেঙ্গল ক্যাম্পাস বা বাংলা দলের উপলব্ধি। জাতীয় স্তরে এই প্রথমবার বাংলা দল সবথেকে ভালো প্রদর্শন করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। কেরলের বাইরে থেকে আগত কর্ণাটক এর তিনটি দল, মহারাষ্ট্রের দল, অন্ধ্রপ্রদেশের দল এবং আসামের দলকে কলার তুমূল যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয় করেছে বাংলা দল। ঈশ্বরের আপণ দেশে এই প্রথমবার নজির স্থাপন করল বেঙ্গল টিম সদস্যরা। কেরলের বিভিন্ন দৈনিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হল বাংলা দলের ঐতিহাসিক জয়গান। বেঙ্গল টাইগাররা কুল্লিয়া বা জেনেরাল বিভাগে প্রথম স্থান, আলিয়া বিভাগে দ্বিতীয়, থান্বিয়্যা বিভাগে তৃতীয় স্থান এবং উলা বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
কেরল এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে মোট ৩৬টি প্রতিষ্ঠান এই প্রতিযগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। আসাম,পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক হল কেরালার বাইরে থেকে আসা মাদ্রাসাগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ এতে মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫৬ জন। এবং কেরালার বাইরে প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ১৫২টি প্রোগ্রাম সংগঠিত হয়েছে। বাংলা দলসহ সমস্ত দলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই চূড়ান্ত পর্বে তাদের বিপুল দক্ষতা প্রদর্শন করল। এবারের বিশেষ প্রোগ্রামের মধ্যে অন্যতম ছিল প্রবন্ধ রচনা, ভিডিওগ্রাফি, নিউজ রিপোর্টিং, ম্যাথ ট্যালেন্ট,নাত, বক্তৃতা, কাওয়ালি, মাহফিল ইশক, গজল গাওয়া এবং বাইত বাজি। মনে রাখা দরকার যে এই ইভেন্টটি দারুল হুদার ইতিহাসে 'ষষ্ঠম জাতীয় প্রতিযোগিতা'। প্রতিযোগিতাটি তার অ্যাকাডেমি নিরিখে অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা, যা ভারতের অন্যান্য মাদ্রাসা এবং কলেজগুলিতে পাওয়া খুবই বিরল এবং এটিই পার্থক্য যা উক্ত প্রতিষ্ঠানকে অন্যান্যগুলি থেকে আলাদা করে। সিবাক্ অনুষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর এই লক্ষ্যে স্থাপিত যে, যেন শিক্ষকসহ সকল শাখার মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেরল কেন্দ্রে এসে তাদের জ্ঞানের মুক্তা ছড়িয়ে পরিবেশকে মনোরম করে তোলে।