কুরআনের বৈজ্ঞানিক অলৌকিক অন্বেষণ
ভুমিকাঃ
মহান করুণাময় আল্লাহ তায়ালা হযরত মহাম্মাদ (সা) এর প্রতি পবিত্র কোরাণ নাযিল করেন। অতএব এই
কোরাণই হল বর্তমান এবং অতিতের সব উন্নতির উৎস। অতএব যে, কোরান হল একটি সমুদ্রের মত যার
কোন তীরে নেই এবং যে “সমুদ্র যদি আমার প্রভুর বাণীর জন্য কালি হয়ে যায়, তবে আমার প্রভুর কথার
আগে অবশ্যই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে." ঈশ্বরের কাজের মধ্যে—তিনি উন্নীত
হতে পারেন—যাকে [তাদের বিশালতার জন্য বলা যেতে পারে] তাঁর কাজের সাগর, উদাহরণস্বরূপ, পুনরুদ্ধার
এবং রোগ, যেমন তিনি-উন্নত হতে পারেন—আব্রাহিমের বাণী বর্ণনা করে বলেছেন, "যখন আমি অসুস্থ
হই, তিনিই আমাকে সুস্থ করে তোলে।
এবং সংক্ষেপে বলা যেতে পারে, যে সমস্ত কাজ এবং উন্নতি সেই মহান আল্লাহ এবং তার গুণাবলীর
অন্তর্ভুক্ত এবং পবিত্র কোরানই হল সারমর্ম অথবা সমস্ত উন্নতির ব্যাখা। যেমন এই বিজ্ঞানের
কোন সিমার ছেদ নেয়, সেইভাবেই বিজ্ঞানের প্রতি এই পবিত্র কোরাণের প্রতিদানও কোন কম নয়।
বর্ণনাঃ
কুরআনকে সমস্ত জ্ঞানের উৎস হিসেবে বিবেচনা করার দৃষ্টিভঙ্গি নতুন নয়, এবং আমরা অতীতের
অনেক মহান মুসলিম পণ্ডিতকে দেখতে পাই যারা এই মতের প্রবক্তা। একজন পন্ডিত ইমাম আল-
গাজ্জালী রহ. তাঁর ইহিয়া 'উলুম আল-দীন (ধর্ম বিজ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) গ্রন্থে তিনি ইবনে মাসউদকে
উদ্ধৃত করেছেন যে: “যদি কেউ প্রাচীন ও আধুনিক বিজ্ঞানের জ্ঞান পেতে চায় তবে তার উচিত কুরআন
নিয়ে চিন্তা করা।
এবং দৈনদীন জিবনের প্রত্যেকটি বিজ্ঞান এবং এর উন্নতি আমরা স্বচক্ষে পরিভাব করিতে থাকি।
অর্থাৎ বর্তমান এবং অতিত আমরা অনেক লোককে দেখি বা দেখে এসেছি যে , যারা আমাদের বর্তমান
বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রতি মূল্য বা গুরুত্ব দেয় সাধারণত তারা কোরাআন আয়াত দ্বারা ব্যাখা করার
চেষ্টা করে।
শুধু এই নয় বরং ইমাম আল গাজ্জালি রহ ইহিয়া 'উলুম আল-দীন এর পরে লিখা হয়েছিল জাওয়াহির আল-
কুরআন (কুরআনের রত্ন), তিনি এই বিষয়ে আরও কিছু বলেছেন। "কুরআন থেকে প্রাচীন ও আধুনিকদের
বিজ্ঞানের কান্ড"।
এই সমস্ত বিজ্ঞানের নীতি,উন্নতি যা আমরা দিন বা দিন গণনা করেছি এবং যেগুলিকে আমরা নির্দিষ্ট
করিনি, সেগুলি কোরানের বাইরে নয়, কারণ এই সমস্ত বিজ্ঞানগুলি ঈশ্বরের জ্ঞানের একটি সমুদ্র থেকে
নেওয়া হয়েছে - তিনি যেন মহিমান্বিত হন - অর্থাৎ , তাঁর কাজের সমুদ্র। অতএব এই সমস্ত জ্ঞান ও
বিজ্ঞান এই পবিত্র কোরান এর দ্বারা মহিত।
যেমন বিজ্ঞান পৃথিবীর সৃষ্টির এই বিষয় নিয়ে নানারকম ধারণা প রি চালনা করেন বা দৈনদীন ভাবে করে
আসছে। এবং এই বিষয় নিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা 21, আয়াত 30 বর্ণনা
করে দিয়েছেন যে যারা অবিশ্বাস করে তারা কি জানে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এক টুকরো ছিল ,
অতঃপর আমি তাদের বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি এবং প্রত্যেক জীবন্ত বস্তুকে পানি দিয়ে তৈরি করেছি? তাহলে
কি তারা ঈমান আনবে না?
এবং বিজ্ঞানও সাধারণত প্রকাশ করেছে যে পৃথিবী চাদের কক্ষপ্থে অবহরণ করিতেছে, যার সম্বন্ধে
আল্লাহ তায়ালা তার পবিত্র কোরআন শরিফে ব্যাখা করেন , এবং সূর্য তার জন্য নিজের কক্ষপথের দিকে
ধাবিত হয়. এটি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়ের পরিমাপ।এবং চাঁদের জন্য আমরা প্রাসাদ নির্ধা রণ করেছি
যতক্ষণ না সে পুরানো কুঁচকে যাওয়া খেজুরজু পাতার মতো ফিরে আসে।
অতএব এই পৃথিবীর সৃষ্টির প্রতি কোরআন শরীফে এক বিশেষ ব্যাখ্যা রয়েছে , আবার যেটাকে বিজ্ঞান
বিগ বাং (Big Bang) নামে পরিচিত। এবং আরও বিভিন্ন রকমের ব্যাখা এই কোরআনের মধ্যে আল্লাহ
তায়ালা বায়ান করেছেন।
এবং বর্তমানের বিশেষ এক প্রচলিত যানবাহন অর্থাৎ বিমান যার সমন্ধে কোরআন শরীফে পাখির
সৃষ্টির দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছে।
বৈজ্ঞানিকগন যিনারা পরে ইসলাম গ্রহন করেনঃ
পৃথিবী নানারকম ধর্মের এক মৌলিক অংশ, অতএব নানারকম জাতির মানূষ বসবাস করেন। এবং
বিজ্ঞানের উন্নতির পথের প্রতি বিভিন্ন জাতির উন্নতমানের বৈজ্ঞানিক নিজেদের দায়িত্ব
পালন করেন, অর্থাৎ কোরআন হল সব তথ্যের মূল তাই তিনারা কোরআন শরীফ তিলাওত করিতে
থাকেন, এবং তিনাদের মধ্যে আবার অনেকজন এই কোরআনের আসল রহস্য জানতে পেরে ইসলাম
গ্রহন করেন তিনাদের মধ্যে কয়েকজন হলঃ
ইসলামিক অর্থাৎ মুসলিম বৈজ্ঞানিক যেমন আল বিরুনি এবং আল বাতানি যিনারা কোরআন
প্রতি মুতালা করে ইসলামের মূল রহস্যটা বুঝতে পেরে ইসলাম গ্রহন করেন। এবং আরও
বৈজ্ঞানিক যেমনঃ আমরিতা সি, হেমা মালিনি,আয়েশা টাকেয়া , রাখি সাওান্ত ইত্তাদি।
অতএব ইসলাম এক শান্তি পূর্ণ ধর্ম এবং এই ধর্মের গ্রন্থ হল কোরআন সেটি হল সব
সাফল্যের একটি উৎস।