ওমর বিন আব্দুল আজিজ এবং মুসলিমগনের কোসাগার
ওমর বিন আব্দুল আজিজ যিনি ইসলামের পঞ্চম খালিফা হিসেবে পরিচিত এবং যিনি সুলাইমানি ধনসম্পদের অধিকারি ছিলেন। তিনার চরিত্র এতই সুন্দরময় ছিল যে তিনার সামরাজ্য কে জাগানোর জন্য সুলাইমানি ধনসম্পদ এবং নিজেশ্য ধনসম্পদ কে বিক্রি করে যা কিছু উপার্যন পেয়েছিলেন তা সবকিছুই মুসলিমদের কোসাগারে দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর একদিন তিনি তিনার স্ত্রি সয়ং ফাতিমার দিকে অগ্রসর হলেন এবং বল্লেন এ ফাতিমা, ফাতিমা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন লাব্বাইক য়া আমিরুল মুমিনিন, তৎখন্নাত ওমরের চোক্ষু অশ্রুয় ভরে উঠল, এবং এটি ফাতিমার জন্য ভালোবাসা ও প্রেম ছিল, তারপর ওমর কান্না থামিয়ে ফাতিমা কে বললেন তোমার কাছে দুইটি পছন্দ , যে তুমি আমাকে পছন্দ কর কিংবা তোমার আব্বুজানের বানিয়ে দেওয়া সেই বস্ত্র কে যেটি আব্দুল মালেক তোমার আব্বু প্রায় সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন এবং যেটি হিরা মোতি দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলেন, যে বস্ত্রটি বানাতে প্রায় একশো হাজার দিনার ব্যায় করেছিলেন।
এবং ওমর আরও বললেনতুমি যদি তুমি আমাকে পছন্দ কর তবে আমি তোমার বস্ত্রটি কোসাগারে দান করে দিবো,এবং যদি তুমি তোমার বস্ত্রকে পছন্দ কর তবে তুমি আমার সাথি হয়ে থাকতে পারবে না।
ফাতিমা:আমি আল্লাহর কাছে রক্ষা চাইছি ঐ আমির আল মুমিনিন, আপনার কাছে থেখে দুরে থাকার জন্য, অতৎব আমার এই বস্ত্রের কোনো দরকার নেয়।
ওমার:আমি তোমার বস্ত্রটা কোসাগারে রাখবো এবং ওইটি ছেড়ে বাকি সম্পদ খরচ করব তখন যদি কোনো কারোনে সেটি দরকার হয় তবে সেটি মুসলিমগনের ভালো কামের জন্য় ব্য়ায় করব।
আর যদি বস্ত্র বাকি থেকে যায় এবং কোনো কামে দরকার না হয় ,তবে মনে হয় আমার পরে যে খালিফা হবে সে তোমাকেই সেটি ফিরিয়ে দিবে।
ফাতিমা আপনি যাকরতে চান করুন।
হঠাৎ তিনার কাছে তিনার ছেলে ছেড়া কাপড় পড়ে এল এবং তাকে কিছু বলার আগেই ওমর বলে ওঠে তুমি তোমার কপড় সেলাই করে নাও ,আল্লাহর কসম আজকের দিনে এই সময়ে আমি তোমাকে তোমার দরকারের জিনিস দিতে পারবোনা।কারণ আমি আমার সবকিছুই ইসলামের কোসাগারে রাখতে চাইছি। আব্দুললা বিন আবুল মুসওর জিকির করছিল :যে একদিন ইরাকের কবি জারির ওমারের কাছে এল আর সালাম দিয়ে বলল:” নিশ্চয় ইসলামের খালিফা গন আমাকে উপহার দিয়ে খুশি করত”। তারপর জারির তার কবিতার মাধ্য়মে তিনার সুনাম করে এবং নিজেকে অসহায় বলে তিনার হৃদয়কে নিজের দিকে করে নিল। যা শুনে ওমরের চোক্ষু অশ্রুয় ভরে গেল।
এ জারির তুমি বল তোমার কি লাগবে
জারির আপনার আগের খলিফাগন যাদিত তাই,
ওমর বলল: ওটা কি?
জারির ল:চার হাজার দিনারএবং তার অনুসারে কাপর এবং খাবার।
ওমর :তুমি কি মুহাজিরিনদের থেকে কেও?
জরির :না
ওমর :তুমি কি আনসারদের থেকে কেও?
জরির: না
ওমর: তুমি কি ফকিরদের থেকে কেও?
জরির: হ্যাঁ
ওমর: তবে এই রাজ্যের ফকিরগুলিকে জা দেওয়া হয় তাই আমি তোমার খাতায় লিখলাম,
জারির: আমি তাঁদের থেকে উঁচু স্থানে আছি , তখন জারির বায়রের দিকে অগ্রসর হল।
ওমার বলল :ওকে আমার কাছে নিয়ে এসো।
যখন জারির ফিরে এল তখন
ওমার বলল :একটি কথা বাকি ছিল যে “আমার কাছে কিছু টাকা এবং কাপড় আছে, তার থেকে আমি তোমাকে কিছু দিচ্ছি”এবং তিনি তাকে চারটি দিনার দিল।
জারির : ঐ আমিরুল মুমিনিন ,এটা আমি কোথায় কী করব ।
ওমার :আল্লাহর কসম বলছি “এটি আমার নিজের কামানো টাকা যেটি আমি তোমাকে দিলাম”।
জারির :আল্লাহর কসম নিশ্চয় আমি আগের খালিফাদের ধনের থেকে আপনার এই চারটি দিনার কে বেশি পছন্দ করব ।
তারপর জারির আমিরুল মুমিনিনের কাছ থেকে চলে গেল এবং চলতে চলতে তার সাথে কিছু মানুষের সাক্ষাত হল,তখন তারা বলল:আমিরুল মুমিনিনের কাছ থেকে কি কি পেলে তুমি ঐ জারির।
জারির বলল: আমি এমন খালিফার কাছ থেকে এসেছি যিনি ফকিরদের কে দান করেন, কবিদের না , এবং আমি তার উপর রাজি।