পীড়িত ফিলিস্তিনের নামে

যুগের পর যুগ ধরে বার বার ফিলিস্তিনিরা অত্যাচারের, রাজনীতির শিকার হয়েছে। জেরুসালেম ও মসজিদুল আকসা তাদের ধর্যের, ঝড়ে যাওয়া রক্তের ও উন্মাদ সম্পর্কহারা শিশু, যুবক, মহিলা, পুরুষ, বৃদ্ধের মনোবেদনার সাক্ষী। কতবার নিজের ধবংস দেখে আবার প্রাচীন শক্তি সমহারে অটল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কত শক্তি, কত সাম্রাজ্য শুধু তাকেই প্রধান লক্ষ্য করে এলো আর গেলো। আক্রমণ-ইতিহাস বর্তমানে আবার পুনরাবৃত্তি নিচ্ছে। কেই বা জানে কোন ভবিষ্যতে থামবে?

শীঘ্রই তৃধর্মের বাস্তবতার সেই অব্যাহত প্রাচীন লড়াই এইখানেই মূল সিদ্ধান্তে উপনীত হবে। মানুষ সেই চূড়ান্ত মুহূর্তের আগেও তিন ধর্মের সংমিশ্রণে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারতো, কিন্তু তাদের স্বয়ং-অহং করতে দেয়নি। বরণ করি সেই মহা যোদ্ধাকে যিনি বিজয় পরিমিতিতে সমস্ত ধর্মের মান রেখে এক দৃষ্টান্ত দেখিয়ে গেছিলেন। কিন্তু ধিক্কার তাদের যারা নৈতিকতার পাঠ নেয়নি। আর জ্বালা না, বিনা বিলম্বেই পদার্পন করবেন প্রত্যাশিত সেই বিচারক এবং চিহ্নিত করবেন সত্য মিথ্যার বিভাজোকরেখা। 
 
অবশ্যই সেই পবিত্র মাটিতে শায়িত মহত্ব মনীষীরা তা দেখছেন, শুনছেন এবং হয়তো আরও সহ্যের উপদেশ দিচ্ছেন। সেই নিরব মহারজনীর নিঃশব্দতাকে অত্যাচারী ইসরাইলী পুলিশ প্রশাসনের গুলি, গ্রেনেড ও বারুদের আওয়াজ ভেঙে দিয়েছে। সমস্ত বাহ্যিক চিন্তা ভাবনা ও ক্রিয়াকলাপ থেকে ফিলিস্তিনের হস্তদ্বয় যখন ইশ্বর স্মরণ ও সমর্পনে পেটের ওপর আবদ্ধ তখন তাদের ওপর চোর সন্ত্রাসী হিংস্র নেকড়েশিয়ালের আক্রমণ হয় - সারা পরিবেশ, উন্মোক্ত আকাশ, প্রবাহিত বাতাস ও পুরো পৃথিবী এর দর্শক। যারা সংজ্ঞাহীন, অচেতন অজ্ঞান, অন্ধ-বোবা তারাই দেখতে পায়নি। 

নিখিল নিবাসী কোনদিন ক্ষমা করবেনা তাদের। প্রস্তুত হও, হে আশ্রয়হীন খেঁকশিয়ালের দল, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসছে মানবতার নিশানধারীরা। উড়িয়ে নিয়ে যাবে তোমাদের! তোমাদের সপ্নের বৃক্ষ শিকরও ধরে রাখতে পারবেনা!

সেই তরুণী তার বোনকে না বাঁচাতে পেরেও বিজয় উল্লাস উদযাপন করবে। বিজয় নিশান উড়াবে পিতাহারা সেই খোকা যে জন্মের পর শান্তির ধ্বনি সাফল্য আহ্বান শুনবার আগেই শিয়ালদের অত্যাচারের হাহাকার আওয়াজ তার কানে গুঁজে উঠেছিল। তবুও সে নিরাশ হয়ে ফিরে যায়নি, বরং বিপ্লবী হয়ে নবারুণের নবরুপ নিয়ে এসেছিল। শেখ জাররাহতে ঘরহারা, পরিবার হারা সেই বৃদ্ধাও অংশগ্রহণ করবে। বয়ে যাবে নালাপরা তার গাল দিয়ে সুখিয়ে যাওয়া চোখ থেকে আনন্দের অশ্রুপাত। চিৎকার করে রাস্তায় দৌড়ে বেড়াচ্ছিল সেই পিতাও থাকবে, সে জানে তার ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী এই বিজয় ভোজনে অংশ নেয়নি তবুও তাদের দুহাত দিয়ে স্বাদ চাখাবে। সব কিছু হারিয়ে সে ছোট মেয়েটি বলবে: ধন্য আমি! আমি মসজিদুল আকসায় পরম শক্তির সমীপে কৃতজ্ঞতা আদায়ে সমর্পিত হলাম।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter