২৭ জুলাইয়ের স্মরণে: মানবতা, ক্যামেরা আর এক নিঃশব্দ মৃত্যু

তোমরা দয়াময় না হলে, দয়াময় তোমাদের প্রতি দয়া করবেন না”। - হাদীস (বুখারি)

একটি ছবি যা পৃথিবীর বিবেককে নড়িয়ে দিতে পারে, মানুষের আত্মতৃপ্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে, আর মানবতাকে আয়নায় দাঁড় করাতে পারে। সেই প্রমাণ হয়ে আছে এক ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, যার নাম The Vulture and the Little girl ছবিটি যেন ছিল শুধু একটি ক্যামেরা ক্লিক নয়, ছিল মানবজগতের সবচেয়ে বেদনাদায়ক প্রশ্নগুলোর এক নিঃশব্দ উচ্চারণ!

ছবিতে দেখা যায় যে- এক ক্ষুদার্থ শিশু দুর্ভিক্ষে কাতর হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। দূর থেকে একটি শকুন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছে, তার মৃত্যুর জন্য। এই এক মুহূর্তের দৃশ্যের মধ্যে লুকিয়ে ছিল সহস্র বছর ধরে চলা অবহেলা, দারিদ্র্য, যুদ্ধ, এবং মানব উদাসীনতার কাহিনি।বিশ্বজুড়ে এই দৃশ্য শুধু করুণা নয়, বরং প্রশ্ন জাগিয়েছে যে- আমরা কি সত্যিই মানুষ? এই শিশুর মতো আরও কতজন পৃথিবীর নানা প্রান্তে ক্রমে ক্রমে মারা যাচ্ছে। কেউ দেখছে না, কেউ জানতেও চায় না।

এই ছবিটি তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, ছবির শিশুটি একটি মেয়ে, কিন্তু পরে জানা যায়, সে ছিল একটি ছেলে। ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে, দক্ষিণ সুদানের আয়োড নামক এক গ্রামে। তিনি এই ছবিতে কেবল পুরস্কার পায়নি বরং সকলের মন জিতে নিয়েছিল, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফার নিজে পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছিলেন। এই ছবির পেছনের বাস্তবতা, এই আত্মহরনের কারণ এবং মানবতার দায়বোধ নিয়েই চর্চা।

ছবির পেছনের কাহিনি:

শিশুটি জাতিসংঘের খাদ্যশিবিরের দিকে যাচ্ছিল। ক্ষুধা আর দুর্বলতায় হেঁটে যেতে না পেরে সে পথেই বসে পড়ে। কিছু দূরেই বসে থাকা এক শকুন তার মৃত্যুর অপেক্ষায় যেন পাহারা দিচ্ছে। কেভিন কার্টার ক্যামেরায় সেই দৃশ্যটি বন্দি করেন। ছবিটি The New York Times–এ ২৬ মার্চ, ১৯৯৩ তারিখে ছাপা হয় এবং বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। পরে এই ছবিটির কারণে ১৯৯৪ সালে তিনি পুলিৎজার পুরস্কারও পায়। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই, ২৭ জুলাই, ১৯৯৪, কেভিন কার্টার আত্মহত্যা করেন। বয়স তখন মাত্র ৩৩ বছর।

১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে, দক্ষিণ সুদানের আয়োড নামক এক গ্রামে চলছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। জাতিসংঘ সেখানে একটি খাদ্য সহায়তা শিবির স্থাপন করেছিল, যেখানে দুর্বল ও ক্ষুধার্ত মানুষজন খাবারের আশায় ছুটে যাচ্ছিলেন। কেভিন কার্টার, দক্ষিণ আফ্রিকার এক পেশাদার আলোকচিত্রী, সে সময় সেখানে পৌঁছেছিলেন মানবিক সংকটের বাস্তব চিত্র ধারণ করতে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই কার্টার দেখেন একটি শিশু হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ থেমে গিয়ে নিঃশক্ত হয়ে পড়ে যায় মাটিতে। শিশুটির শরীরে প্রায় মাংস ছিল না, ক্ষুধা ও দুর্বলতায় তার নড়ার শক্তি পর্যন্ত ছিল না। আর তার কয়েক হাত পেছনে বসে ছিল একটি হুডেড শকুন, সেই শিশুটির মৃত্যুর অপেক্ষায়। দৃশ্যটি ছিল এতটাই হৃদয়বিদারক ও কাব্যিকভাবে নির্মম যে কার্টার কেবল ক্যামেরায় সেই মুহূর্ত ধারণ করেন। ছবিটি মাত্র কয়েক সেকেন্ডে তোলা হয়, কিন্তু তা বিশ্বমানবতার সামনে প্রশ্ন তোলে কয়েক দশকের জন্য।

ছবিটি বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকে জানতে চায়, এরপর কী হয়েছিল? কেভিন জানিয়েছিলেন, তিনি শকুনটিকে তাড়িয়ে দেন, এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে কান্না করেন। তবে তিনি শিশুটিকে খাদ্য শিবির পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক ছিল দীর্ঘদিন। অনেকেই তাকে প্রশ্ন করেছিল যে- ছবি তোলার চেয়ে সাহায্য করাই কি জরুরি কাজ ছিল না?

পরবর্তীতে জানা যায়, শিশুটির নাম ছিল কংনায়ং, এবং সে ওই দিন খাবার পায় ও বেঁচে যায়, কিন্তু কয়েক বছর পর ২০০৬ সালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই একটি ছবির মাধ্যমে কেভিন যেমন মানবতার বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তেমনি নিজেও প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি ক্ষুধার্ত শিশুদের ছবি তুলি, আর সেগুলো বিক্রি করি। আমি হয়তো ঈশ্বরের সঙ্গে এক চুক্তি করেছি।”

 আত্মহত্যা, এক নীরব মৃত্যু, তাই গভীর প্রশ্ন:

১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি নির্জন স্থানে, গাড়ির ভেতরে বসে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন এক তরুণ আলোকচিত্রী—কেভিন কার্টার। তিনি নিজের গাড়ির এক্সহস্ট পাইপের ধোঁয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল মাত্র ৩৩ বছর। এই মৃত্যু ছিল কেবল একজন মানুষের বিদায় নয় বরং এটি ছিল এক নিঃশব্দ চিৎকার, যা গোটা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছিল। যে ব্যক্তি এক ছবি তুলে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, যিনি পুলিৎজার পুরস্কারের সম্মান পেয়েছিলেন, সেই মানুষটিই নিজের হৃদয়ের গভীরে বহন করছিলেন অপরাধবোধ, প্রশ্ন ও মানসিক ক্লান্তির এক অন্ধকার পাহাড়।

কার্টার তার সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন-

“আমি খুব বেশি দুঃখিত। আমি বেদনাদায়ক স্মৃতি, ক্ষুধার্ত ও আহত শিশুদের, গুলি, রাগ, পাগলামী, মৃত্যুদণ্ড, ক্রোধ, যন্ত্রণা, এবং আহত আত্মাদের মুখগুলো থেকে পালাতে পারছি না”।

তিনি হয়তো শুধু একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন, কিন্তু তার দেখা প্রতিটি দৃশ্য যেন তার ভেতরেই একটা যুদ্ধের ক্ষত রেখে যাচ্ছিল। ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্না, যুদ্ধে বিধ্বস্ত জনপদের ধ্বংস, রক্ত আর চোখের জল।এসব দৃশ্য এক এক করে তার হৃদয়ের ভার হয়ে উঠেছিল। এক সময় মনে হয়েছিল, এই ভার আর বহন করা সম্ভব নয়।

এখানেই দাঁড়িয়ে ওঠে এক চিরন্তন প্রশ্ন: আমরা কি তার মৃত্যুতে কেবল এক শিল্পীর যন্ত্রণা দেখি, না কি মানবতা ও নৈতিকতার চরম পরীক্ষার মুখোমুখি হই? এমন একজন মানুষ, যিনি দুনিয়াকে দুঃখ দেখিয়েছিলেন, কিন্তু নিজে কাউকে নিজের দুঃখ দেখাতে পারেননি। এ এক ভয়াবহ নিঃসঙ্গতা।

ইসলামের পলোকে আত্মহত্যা:

ইসলামী শরিয়তে আত্মহত্যা একটি কঠিনতম পাপ, কারণ জীবন আল্লাহর দেওয়া এক পবিত্র আমানত। মানুষ নিজের জীবন নিজে নিতে পারে না, এটা তার মালিকানাধীন নয়। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট ভাষায় বলেন:

“তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু” (সূরা নিসা: ২৯)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইসলামী চিন্তাবিদগণ বলেন, মানুষ যতই কষ্টে থাকুক না কেন, তার ধৈর্য ও সবর দেখানো উচিত। কারণ জীবনের প্রতিটি পরীক্ষা হচ্ছে পরকালের পুরস্কার বা শাস্তির নির্ধারণ। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মহত্যাকারীর জন্য কঠোর সতর্কতা দিয়েছেন যে- যে ব্যক্তি নিজেকে কোনো কিছু দিয়ে হত্যা করবে, সে জাহান্নামে সেই জিনিস দিয়েই নিজেকে নিরবিচারে কষ্ট দিতে থাকবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

অর্থাৎ, আত্মহত্যা দিয়ে কেউ দুঃখ থেকে রেহাই পাবে না বরং তা দুনিয়া ও আখিরাতে আরো ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

সমাপ্তি নয়, আত্মজিজ্ঞাসার আহ্বান:

কেভিন কার্টারের আত্মহত্যা আমাদের সামনে এক কঠিন বাস্তবতা হাজির করে। যেমন- সাহায্যের অনুপস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণা, দায়িত্ব ও অপরাধবোধের ভার। কিন্তু সেই সঙ্গে তা আমাদের শেখায়, কেবল ছবি নয়, মানুষের হৃদয়ও বোঝা দরকার। আমরা যেন নিজে যেমন ব্যথা পেলে সাহায্য চাই, তেমনি অন্যের যন্ত্রণাও বুঝে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপরিহার্য। কার্টারের এই নীরব মৃত্যু যেন মানবতার প্রতি এক জোরালো ডাক হয়ে থাকে।শুধু ক্যামেরা নয়, হৃদয়ের চোখ দিয়ে দেখো। কেবল ছবি তোলা নয়, হাত বাড়িয়ে দাও। শুধু সমালোচনা নয়, সহানুভূতি দেখাও। কিন্তু এর পাশাপাশি ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, মানুষ যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, তখন তাকে দোষ না দিয়ে সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হলে তার দুঃখ ও দুর্বলতার পাশে দাঁড়ানোই হলো প্রকৃত দয়া।

 এই ছবির থেকে শিক্ষনীয়:

এই একটি ছবির পেছনে লুকিয়ে আছে বহু প্রশ্ন; আমরা কি আমাদের আশেপাশের দরিদ্র, ক্ষুধার্ত, অবহেলিত মানুষদের দেখি, নাকি কেবল মিডিয়ার আলোয় তুলে আনি, কিন্তু বাস্তবে পাশে দাঁড়াই না? আমরা কি মানবতার ছবি তুলে থেমে যাই, নাকি মানবতার জন্য কিছু করি? ইসলাম আমাদের কেবল ছবি তুলতে শেখায় না, বরং প্রতিটি অসহায়কে সাহায্য করার জন্য তাগিদ দেয়। তাই রাসূল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুনিয়ার কোনো কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করবেন। (মুসলিম)

একটি ছবি, কিন্তু তার ভাষা হাজার শব্দের চেয়েও গভীর। ‘The Vulture and the Little Girl’ ছবিটি শুধু একটি দৃশ্য নয়—এটি মানবতার এক আয়না, এক কঠিন প্রশ্নপত্র, এক নীরব চিৎকার। ছবির এক প্রান্তে একটি হাড়সার শিশু, ক্ষুধার যন্ত্রণায় ক্লান্ত ও নতজানু, আর অন্য প্রান্তে একটি শকুন, তার মৃত্যুর অপেক্ষায়। দৃশ্যটি কেবল আফ্রিকার এক গ্রামের বাস্তবতা নয়—এটি গোটা দুনিয়ার নির্লিপ্ত দৃষ্টির প্রতিচ্ছবি। ইসলাম আমাদের শুধু দৃষ্টিভঙ্গি দেয় না, বরং দায়িত্বের শিক্ষা দেয়। তাই ছবি তোলা নয়, মানবতা রক্ষা করা ইসলামের মূল আহ্বান। কুরআন বারবার গরিব, মিসকিন, ইয়াতিমের পাশে দাঁড়াতে বলেছে।

আমরা কি সেই সাহায্যকারী হব, না সেই দর্শক, যারা দূর থেকে দেখে শকুনের মতো অপেক্ষা করে?তাই এই ছবিটি কেবল কেভিন কার্টারের ক্যামেরায় ধরা একটি মুহূর্ত নয়, এটি আমাদের বিবেকের পরীক্ষা। আমরা কীভাবে দেখছি, কতটা অনুভব করছি, আর কতটুকু এগিয়ে আসছি, এই ছবিটি সেই উত্তর চায়।অতএব আসুন, আমরা ছবি না তুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ হই। ক্যামেরার নয়, করুণার চোখে দুনিয়াকে দেখি।

২৭ জুলাই,একটি মানবতার দিন:

আজ ২৭ জুলাই, এই দিনে আমরা স্মরণ করি কেভিন কার্টারের নীরব মৃত্যু। কিন্তু শুধু একজন আলোকচিত্রীর মৃত্যু নয়, এটি স্মরণ একটি মানসিক যুদ্ধের, একটি বিবেকের লড়াইয়ের, এবং আমাদের সমাজের নীরবতার। 

কেভিন হয়তো আর নেই, কিন্তু তার ক্যামেরার চোখে ধরা পড়া সেই দৃশ্য আমাদের চেতনায় স্থায়ী হয়ে গেছে। আমরা যদি শুধু সেই ছবি দেখি, কিন্তু তার অর্থ না বুঝি, তার মর্ম না উপলব্ধি করি,তবে আমরা কেবল আরেক শকুনে পরিণত হই। যারা দূর থেকে দেখে, কিন্তু কিছু করে না।

তাই এই দিনটি কেবল শোকের নয়, এটি হোক জাগরণের।

একটি প্রতিজ্ঞার দিন যে-আর কোনো শিশু যেন ক্ষুধায় কাতর না হয়।আর কোনো কণ্ঠ যেন নিঃশব্দ না হয়।আর কোনো আলোকচিত্র যেন শুধু স্মৃতি না হয়, বরং হোক মানবতার এক জ্বলন্ত প্রদীপ।

ইসলামের শিক্ষা আমাদের বলে, একজন মানুষের প্রাণ রক্ষা করা গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করার সমান (সূরা মায়েদা)। তাই আজ আমরা কেভিনের মৃত্যুকে শুধু এক দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে নয়, বরং একটি নতুন সূচনার আহ্বান হিসেবে স্মরণ করি।

শেষ কথা:

এই ছবির বার্তা যেন আমাদের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে যায়। মানবতা কেবল আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি এক মহান দায়িত্ব। এমন একটি দায়িত্ব, যা শুধু মুসলমানদের নয়, বরং প্রতিটি বিবেকবান মানুষের।এই দায়িত্ব আমাদের শিখিয়ে দেয় যে- কেবল ক্যামেরায় ধারণ করলেই দায় শেষ হয় না বরং দরকার হৃদয়ে ধারণ করা, আর বাস্তবে এগিয়ে আসা। কেভিনের ক্যামেরা হয়তো একটি দৃশ্য তুলে ধরেছিল, কিন্তু আমাদের দায়িত্ব সেই দৃশ্যকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার করে তোলা।

তাই আসুন, আমরা মানবতার প্রতি আমাদের এই দায়িত্বকে হৃদয়ে ধারণ করি ও স্মরণ করি ছবির পেছনের যন্ত্রণাকে,আলিঙ্গন করি আলোকচিত্রীর আত্মত্যাগকে,আর বেছে নিই সেই পথ, যেখানে প্রতিটি জীবন মূল্যবান,প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই।এটিই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা, এই ২৭ জুলাইয়ে।একটি ছবি থেকে শুরু হোক এক অবিরাম মানবিক বিপ্লব।







Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter