পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ মোতাহার হোসেন

ডঃ মোতাহার হোসেন১৯৩২ সালের ৩১-মেপশ্চিমবঙ্গেরবীরভূম জেলার  ভীমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনার পিতা মোঃ কোরবান হোসেন। তিনি  তার পিতামাতার একমাত্র ছেলে ছিলেন এবং তারামোট ১৪ ভাইবোন ছিল। তিনি তার ১৪ বোনের নয়নের মনি, তার বাড়ির লোকজনের বান্ডিল পরিচালনা করতে তিনি খুব অভিজ্ঞ ছিলেন ও ১৪ বোনের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন। তিনি তাদের সঙ্গে কোন সমস্যা ছাড়াই তার বাড়ির ও পরিবারের দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করতেন। 

 

ডঃ সাহেবপেশায় একজন চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও তিনি  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন রাজনীতিবিদ হয়ে পরিচিত ।তিনাকেসিদ্ধার্থ শঙ্কর রাইয়ের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।১৯৫৭ সালের ২৮ নভেম্বর বর্ধমানে রওশনারা বিবিকে বিয়ে করেন।কলকাতার ঢাকুরিয়ার “এ.এম.আর.আই” হাসপাতালে ডঃ বাবু তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন এবং ২০১১  সালের ২০ নভেম্বর অনন্ত জীবনের জন্য ঘুমিয়েছিলেন। ডাঃ সাহেবের একটি বহিরাগত পটভূমি রয়েছে যে উভই পদে ডাক্তার এবং রাজনীতির মাধ্যমে সমাজে তাঁর দীর্ঘ যাত্রা সর্বদা সবার জন্য এক  নমুনা  হিসেবে রয়েগেছেন। 

 

তিনার পিতা মোঃ কোরবান হোসেনও সমাজ সেবক ছিলেন, যখন ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল এবং ভারতীয়রা তাদের শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করার জন্য ইংরেজেদের সাথে লড়াই করেছিলেন, তখন বাংলাও সেই ভারতবর্ষের একটি অংশ ছিল। লালবিহারী বাংলার একজন সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং তিনি গোর্শা, ভীমপুর, ও অন্যান্য গ্রামের মতো কিছু গোপন স্থানে স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য কোরবান হোসেনের (ডঃ মুতাহার হোসেনের পিতা) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। অতুল ঘোষ সেই সময়ে বাংলারকংগ্রেস সেক্রেটারি ছিল এবং কোরবান হোসেনের সঙ্গে তাঁর খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। 

 

একদা ভারতে ইন্দ্রা গান্ধীর সময়কালে সারা মুসলিম দেশ গুলিতে ভারতের প্রতি এক ভুল কল্পনা ছড়িয়ে পরে বিশেষ করে আরব দেশে যে ইন্দ্রা গান্ধীর শাসক কাল মুসলিম সমাজের প্রতি খুব অত্যাচার ও মুসলিম ঐতিহ্যর প্রতি বাঁধা দেওয়া হচ্ছে তার জন্য মুসলিম দেশগুলি ভারতের প্রতি আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত। 

সেই সময় এই সমন্ধে ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দ্রা গান্ধীর কাছে খবর পৌঁছায় এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি এই আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি একজন মুসলিম নেতাকে আরবদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং যা সত্য তা আরব দেশের নেতাদের সামনে প্রকাশ করার সুপারিশ করেন,  কিন্তু কে যাবে ভারতের কোন মুসলিম নেতা আরব দেশ যাওয়ার যোগ্যতা রাখেন প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ সংকর রায় তিনি 

ডঃমোতাহার হোসেনের নাম উল্লেখ করেন এবং প্রত্যেক মন্ত্রীদের সামনে তিনার কথা রাখা হল এবং সঙ্গে সঙ্গে সবাই তিনার আরব যাওয়ায়সম্মতি দিলেন এমনকি প্রধান মন্ত্রী ইন্দ্রা গান্ধীও রাজি হয়ে গেছিলেন এবং ডঃ মোতাহার হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতিইন্দ্রা গান্ধীর দূত  হিসেবে পাঠানো হয়।   

 

তিনি আরবদেশে পৌঁছায়এবং আরবদেশের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন যে ভারতের প্রতি যে মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশেষ করে মুসলিম সমাজে সেটি একটিও সঠিক নয় সেগুলো বিরোধী দলরা কংগ্রেস রাজত্ব কে সরানোর জন্য পরিকল্পনা করে। এই সব বাস্তবতা তিনাদের সামনে প্রকাশকরার সঙ্গে সঙ্গে তিনারা যে আক্রমনের  প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এটা থেকে বিরত হন  এবং ডঃ সাহেবের ভালো ভাবে অতিথিয়তাকরেন।  এই থেকেই ইন্দ্রা গান্ধী তিনার খুব প্রশংসা করেন ও তিনার একজন বিশিষ্ট  ও খুব কাছের লোক হয়ে উঠেছিলেন।     

 

বৈশিষ্ট : 

মোতাহার হোসেন খুস্তি, লাঠি খেলা, ঘোড়ায় চড়া ইত্যাদি খেলাধুলোই আগ্রহী ছিলেন। তাই বন্ধুরা যেখানে কিছু করতে চান সেখানেই তিনি নেতা হয়ে ওঠেন এবং আরো বিভিন্ন রকমের আগ্রহী জিনিস ছিল যেমন ছিপেগ্রামের পুকুরে মাছ ধরা, নিজের বাগানে বাঁশের টংগে বসে গল্প করা ও চায়ের দোকানে বসে গল্প করা। তিনি সমাজসেবায় আগ্রহী ছিলেন এবং প্রয়োজনীয়  মানুষদের সাহায্য করতেন। তিনি স্বাস্থ্যকর, সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি সব দিক থেকে মানুষকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং সমাজ  সেবা সম্পর্কে আলোচনা করতে ভালোবাসতে।  

 

শিক্ষা: 

 

সেই সময়ে যখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে শিক্ষা ও শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা জনপ্রিয় ছিল না এবং শিক্ষা ও স্কুল ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাও ছিল না। এই জন্য সেই যুগের লোকেদের লেখাপড়ার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। তবে সেই গ্রামে যেখানে আধুনিকতা থেকে দূরে থেকে ডাঃ মোতাহার হোসেন শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি ভীমপুর জেবি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন এবং  তিনার শিক্ষকগণ ছিলেন মোঃ কিয়ামত শেখ, ইমাম হোসেন (কলহপুর), মানসুর আলী (লম্বাপাড়া), মুসলিম হোসেন (লম্বাপাড়া), আবদুর রাকিব (ইদ্রাকপুর), ফজল মিয়া (কনকপুর)। ডাঃ রাজ্জাক (L.M.F) ডাঃ সাহেবের হোম ডাক্তার ছিলেন।

 

তিনি মুরারাই এ কে ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (মধ্যমিক) পাস করেন। তিনি তার বোনের বাড়ি ডুমুরগ্রাম থেকে পড়াশোনা করতেন। তিনার বাবা মোহাম্মদ কোরবান হোসেন তিনাকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন তাই তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ওই কলেজ থেকে মেডিকেলে এল.এম.এফ পাস করে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখানে এম বি বি এস পাস করেন এবং তিনি তার জীবনে প্রথমবার  রামপুরহাট দেশবন্ধু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাধারণ চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি সমাজে একজন ভালো ডাক্তার হিসেবে মানুষের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি মুরারইযে সপ্তাহে একদিন অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা শুরু করেন। এরপরেই রামপুরহাটে ডাঃ গিরিধারী সরকার ও  শৌধিরধো মজুমদারের সাথে একটি নার্সিং হোম তৈরি করে। ১৯৫৭ সালের ২৮ নভেম্বর বর্ধমানে রওশনারা বিবির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার বাবা আজীবন এই পেশা পছন্দ করেননি তাই তিনি রাজনীতিতে আসে। 

 

রাজনীতি:

 

ডাঃ মোতাহার হোসেন 1962 সালে প্রথমবার রাজনীতিতে আসেন। তিনি আমডোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। আমডোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। রাজনীতির মাধ্যমেও তিনি জনগণের সেবা করেছেন। তিনি মানুষের সেবা করতে ভালোবাসতেন তাই কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস ডাক্তার হওয়ার পর রাজনীতিতে আসেন। 1967 সালে তিনি জাতীয় কংগ্রেস দলে  যোগ দেন। 1967 এবং 1969 সালে তিনি বিধায়কের পদে দাঁড়ান কিন্তু SUCI দল থেকে মাননীয় বজলে আহমেদের কাছে পরাজিত হন। 1972 সালে, তিনি আবার দাঁড়ান এবং কংগ্রেস পার্টি থেকে বিধায়কে নির্বাচনে জয়ী হন এবং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেন সিদ্ধার্থ সংকর। 1978 এপ্রিল ডঃ মোতাহার হোসেন অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করা হয়। সরকারের উভয় সেক্টরের মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বাংলার মানুষের মাঝে আরও অনেক অবদান রেখে গেছেন যা আজও স্মরণীয়। সেই অবদান কেউ ভুলতে পারবে না।

মুরারাই সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো নিশ্চয়ই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন থেকে অনেক দূরে ছিল, সেখানে কোনো ভালো রোড, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পানীয় জলের সুবিধা, বিদ্যুতের সহজলভ্যতা, শিক্ষাকেন্দ্র ইত্যাদি ছিল না, তাই বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার ও মূর্খতায় পরিণত। মুরারই এবং রাজগ্রামের মধ্যে কোন সেতু ছিল না উভয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য এক গুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা কিন্তু টিনার আমলে এই সব জিনিস গুলি উন্নত হিসেবে দাঁড়িয়েছিল । 2002 সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে টিএমসি (তৃণমূল কংগ্রেস) তে যোগ দেন এবং সি পি আই এম-এর মনোনীয় ডঃ কামরে ইলাহীর কাছে এমএলএ নির্বাচনে পরাজিত হন। তারপর আবার তিনি টিএমসি ছেড়ে কংগ্রেস পার্টিতে ফিরে আসেন এবং মৃত্যুর আগমন পর্যন্ত তিনি সেই দলে কাজ করেন।

 

অবদানসমূহ:

 

ডঃ সাহেব বাসলৈ সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন যা মুরারাইকে রাজগ্রামের সাথে সংযুক্ত করেছিল এবং এটি ছিল তিনার জীবনের উন্নয়নের দিকে প্রথম পদক্ষেপ। শ্রী ভোলানাথ (বঙ্গ সরকারের মন্ত্রী) সেই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। রাজগ্রাম থেকে বোলপুর সড়কটিও তিনি বাংলা সরকারের স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীর সময়ে নির্মাণ করেছিলেন। মুরারাই এলাকা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেখানে পুলিশ স্টেশন, সাব-রেজিস্টার অফিস, বিডিও অফিস, হাসপাতাল ইত্যাদি অবস্থিত কিন্তু এই স্থানটি মুরারাই এলাকার উত্তর অংশের সাথে বিচ্ছিন্ন ছিল। 

 

1976 সালে তিনি পিচ  ঢালাই রাস্তা তৈরি করেন যা মুরারাই থেকে হরিশপুরের সাথে যুক্ত হয়। তিনি প্রত্যন্ত গ্রাম হরিশপুর ও আশপাশের গ্রামবাসীকে এই সুবিধা প্রদান করেন। তিনি বাঁশ নদীর পানি প্রবাহ ঠেকাতে বাঁশ নির্মাণ করেন এবং গ্রামবাসীদের কৃষি জমি ধ্বংস থেকে বাঁচার উপায় বার করেন করেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন পানীয় জলের সুবিধা, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র (প্রাথমিক) ইত্যাদি দিয়ে গ্রামটিকে উন্নত করেছিলেন। তিনি আহমেদপুরের চিনিকলের সভাপতি ছিলেন, যার মাধ্যমে তিনি কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ দেওয়ার জন্য আরও শ্রমিক নির্বাচন করেছিলেন। 

 

1977 কংগ্রেস সিপিআইএমের কাছে পরাজিত হয় অন্যদিকে মোতাহার হোসেন মুরারাই কেন্দ্রের বিধায়কছিলেন। তিনি 1972-1997 সময়কালে 6 বার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জোতি বসুর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক জড়িত ছিলেন। তিনি বীরভূম জেলায় অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন করেছেন।



তিনার সময়কালে  নির্মিত হাসপাতাল:

 

ভীমপুর কোরবান হোসেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (1975) প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী অজিত পাঞ্জা উদ্বোধন করেন।

চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (1980)

পঞ্চহার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (1975)

কাঠিয়া- এদ্রাকপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (1991)

তিনি মুরারই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে মুরারাই গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিবর্তন করেন 50টি উপলব্ধ শয্যা দিয়ে 1992 সালে বাংলার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসান্তো ঘোস উদ্বোধন করেন। তিনি অর্থের মাধ্যমেও জনগণকে সহায়তা করেছিলেন। তিনি মুরারাইতে পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রও তৈরি করেছিলেন।

1980 সালে, তিনি রামপুরহাটের  পূর্বে  মুরারাইয়ে পান করার সুবিধা নিয়ে আসেন তারপর ভীমপুরে। মুরারইয়ে  টিনার মাধ্যমে নির্মিত কবি নজরুল কলেজ যা আজও মুরারই অঞ্চলে টি নার স্মরণে খুব জনপ্রিয় কলেজ । 1973 সালে অবস্থিত তিনার পিতার স্মরণীয় হিসেবে আবস্থিত কলহপুর এম কে এইচ হাই মাদ্রাসা (এইচ.এস) ও তিনার দ্বারাই উপস্থাপন হয়। এই সমস্ত তথ্য প্রিয় ডাঃ মোতাহার হোসেন (পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) সম্পর্কে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter