সফলতা।
নবীনপুর গ্রামে এক পরিবার থাকতো । মনোজ তার বাবা-মা ও তার ঠাকুমা থাকতো। মনোজের বাবা একজন কাঠুরে ছিল । ওই কাজটি করে তাদের সংসার চলত। একদিন মনোজের মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে ।আর তার মা মারা যায় ।আর এভাবে বেশ কয়েকদিন হয়ে যায়। একদিন মনোজের ঠাকুমা তার বাবাকে বলে, যে তুই একটা বিয়ে করেনে। আমার তো খুব বয়স হয়ে গেছে। মনোজের বাবা বলে ঠিক আছে মা তাহলে আমি একটা বিয়ে করব। তারপর তার বাবা বিয়ে করে আনে মনোজ আর ঠাকুমা খুশি
হয় ।মনোজকে তার বাবা-মা প্রথম প্রথম খুব ভালোবাসতো আর এই ভাবেই বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। যেমন সময় কাটতে থাকলো মনোজের সৎ মায়ের মনোজের প্রতি অত্যাচার শুরু হল ।একদিন তার মা বলে যাও কুয়ো থেকে জল ভরে আনো ।সে না বলতে পারল না। সে ভাবলো তার মায়ের ব্যাপারে মায়ের ব্যাপারে তার বাবাকে বলবে। কিন্তু তার বাবা কোন কথা বিশ্বাস করল না ।আর তাই মনোজ ভাবল সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। আর সে তেমনটাই করল, বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। সে অনেকটা পথ চলবার পর সে খুব ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। সে সামনে একটা আশ্রম দেখতে পাই। সেখানে থাকতো একটা বৃদ্ধ পুরুষ ও বৃদ্ধ মহিলা তারা খুব ভালো ও দয়ালু ছিল ।তাদের মনোজ কে দেখে খুব দয়া হয়। আর তারা মনোজকে তাদের বাড়ি নিয়ে আসে, আর সে খুব ক্ষুধার্ত ছিল তাই সে খাবার খেলো, খাবার খাওয়ার পর মনোজকে তারা জিজ্ঞেস করে তোমার কি হয়েছে বাবা তখন মনোজ তার সব দুঃখের কথা তাদের কে জানালো, তারা বলল তুমি চিন্তা করনা। সব ঠিক হয়ে যাবে আর এই ভাবে অনেকদিন হয়ে যায় । একদিন বৃদ্ধ পুরুষটি তাকে বলে তোমাকে কিছু পরিশ্রম করতে হবে ।তুমি তবে
নিজের বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। তুমি যাও কিছু পরিশ্রম করে আমাকে পাঁচ পয়সা এনে দাও। মনোজ খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে কিভাবে তাকে পাঁচ পয়সা এনে দেবে ।কিছু পরিশ্রম করার উদ্দেশ্যে জঙ্গলের দিকে রওনা হয়। তার চোখে পরে একটি শুকনো আমের গাছ। আমের গাছের ডাল বিক্রি করে পাঁচ পয়সা আনে। সেই বৃদ্ধ পুরুষটি অনেক খুশি হয় এবং গর্ববোধ করে আর ঠিক তারপরের দিনও কাঠ দেয় ও তাকে বলে এবার আমাকে পচিশ পয়সা এনে দাও। মনোজের বাবা যেহেতু একজন কাঠুরে ছিল ।তাই তার বাবার কাছ থেকে কিছু কাজ শিখেছিল ।তাই সে ভাবল এই কাঠ দিয়ে কিছু বানাবে। আর সে কিছু বানালো সে গুলিকে বাজারে বিক্রি করে পঁচিশ পয়সা এনে দিল। মনোজের কাজ দেখে এবার তারা অনেক খুশি হল। তারা মনোজকে বলল বাবা তুমি তো সব কাজ খুব ভালো করে জানো । আর তাই এবার তোমাকে আমি কিছু কাঠ দেব তোমাকে ১০০টি মোহর এনে দিতে হবে । তাই মনোজ এবারও কিছু করার জন্য বাড়ি থেকে বের হল। সে হাঁটতে হাঁটতে একটি জায়গায় বিশ্রাম নিচ্ছিল। সেখান দিয়ে একটি রাজকুমার যাচ্ছিল ।রাজকুমারটি মনোজকে বলল তুমি কি এই কাঠ দিয়া আমার রাজকুমারের মূর্তি বানিয়ে দিতে পারবে এর বদলে আমি তোমাকে ১০০ টি মুহূর্ত দিব। মনোজ বলে হ্যাঁ কেন পারব না ।আর মনোজ এবারও সফল হলো ।মনোজের হাতে ১০০টি মোহর এনে দেয়। বৃদ্ধ পুরুষটি তাকে সব পরিশ্রম করা পয়সা গুলো মনোজের হাতে তুলে দেয়, মনোজকে বলল যাও বাবা তুমি এবার নিজের বাড়ি ফিরে যাও। মনোজ খুব খুশি হয়ে বাড়ি ফিরে যাই।।