বৈকাল

যখন হয় বিকাল তখন পুমান
বন্ধ করেতো যে দোকান,
গগন থেকে যায় ভাস্কর
অম্বরে তখন আসে সুধাকর।
যখন আলয়ে আসে রোমন্থক
তখন তাঁরা দেখায় আলোক,
বিপিনে ঢেকে গেল
কেশরী যে চুপ থাকিল।
যখন অর্ক শেষে প্রভা,
তখন সুধাংশু দেখায় বিভা।
কালো চাদরে ঢেকে গেল
সাদা নক্ষত্র নজরে এলো,
অদ্ভুত পবন ত্বকে লাগলো
চারিদিকে বইতে লাগলো।
ধেনু চালকরা মাঠ থেকে উঠে যায়
যখন সুতরা বাড়ির পথে বিদ্যালয় থেকে রওনা হয়;
যখন এলো কর্তা নন্দনকে নিয়ে
খেতে বসল দয়িতা নন্দনাকে নিয়ে,
নিলয়ে এলো পশু সব এবং যমাহন
জানতে পারলামনা নিশামুখ এলো কখন?
অভিলাষের বিহান থেকে বেরিয়ে
মদ্দা বামা আবাসে গেল ঘুমিয়ে
অগ্নিবাহ, কাসর,কুরঙ্গ, সারমেয়, কবুতর
মার্জ্জার, মূষিক, বাজি, বারণ, বিষধর
সকলে ফিরে গেল নিজের বাসাতে
সারাদিন অন্নের খোঁজের পরে আরামেতে ঘুমাতে।
সুবর্নের মত দিবাকর হয় এই লগ্নে

পাবেনা নিশিতে এর মত কখনোও
এই সময় হয় ত্রাসের শুরু
তাইতো আগারে থাকতে বলেন গুরু,
এই সময় হয় ভুতের বিবাহ
তাইতো ভবনে আসে অগ্নিবাহ।
আর্ঘা মধু নিয়ে এলো মৌচাকে
কণ্টকীও বলিল স্বাগতম ইরাভবনকে,
জন্মদাতা দোকানে রেখে এলো মাল
খোদা পাবক থেকে বানিয়েছেন বৈকাল।
বিকালে অরুনকে মনে হয় শোণিতের মতন
সায়ংকালের আগে হিরণ্যের মতন;
অবনীর অর্ধে থাকে বিকাল
বাকিতে থাকে সন্ধা,রাত ভোর বা সকাল,
অচলের মধ্যে দিয়ে যায় তখন অর্ক
অর্নর দিয়ে তখন উঠে শশাঙ্ক;
সিতাংশুর ছায়া তারসে পরা শুরু হয়
তখন তো যে বৈশাখে মাসে বাত্যা হয়।
মিহিরেমরীচি অদৃশ্য হয়ে যায়
কখনও বিধু না থাকিলে শর্বর হয়ে যায়;
মজা আসে সমীরের সাথে দৌড়াতে
দাবের ভিতরে অনিলের সাথে সাথে,
কিন্তু ভবনে আসব নিশামুখের আগে
খোদা বিকালকে রেখেছে নিশি দিবসের মধ্যে

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter